১) মিলাদ শরীফের ফযিলত সম্পর্কে হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বলেছেন
[আরবী]
অর্থ : হযরত হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন-“ আমার নিকট যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণও থাকে, তাহলে ঐ স্বর্ণ রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিলাদ শরীফে ব্যয় করে দেয়া আমার অতি প্রিয় কাজ” ।
(ইয়ানাতুত ত্বালেবীন ৩য় খন্ড ৩৬৬ পৃষ্ঠা)
২) বিশ্ব বিখ্যাত ওলী হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন
[আরবী]
অর্থঃ হযরত জুনাইদ বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন- “যারা রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিলাদ শরীফের মজলিসে উপস্থিত হবে এবং মিলাদ শরীফের মর্যাদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে- তারা ঈমানের দ্বারা সফল- কাম হবে” ।
(ইয়ানাতুত ত্বালেবীন ৩য় খন্ড ৩৬৬ পৃষ্ঠা)
৩) হযরত মারূফ কারাখী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন
[আরবী]
অর্থ : হযরত মারূফ কারাখী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন- “যারা রাসুল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিলাদ শরীফ উপলক্ষে খানা তৈরী করবে, বন্ধু বান্ধবদেরকে দাওয়াত করে একত্রিত করবে, মজলিসকে আলোকসজ্জিত করবে, নূতন পোষাক পরিধান করবে, আতর এবং খু লাগাবে ও মজলিসকে খুশবুদার করবে এবং এসব কিছুর উদ্দেশ্য হবে রাসুলে পাকের সম্মান প্রদর্শন করা- তাহলে আল্লাহ পাক তাদেরকে আম্বিয়ায়ে কেরামের সাথে হাশর নসীব করবেন।
(ইয়ানাতুত ত্বালেবীন ৩য় খন্ড পৃষ্ঠা ৩৬৬)
বিঃ দ্রঃ এই ফতোয়া গ্রন্থটি মক্কা শরীফে লিখিত এবং প্রকাশিত। চার খন্ডে সমাপ্ত । লেখক হচ্ছেন আল্লামা সাইয়েদ আবু বকর- ওরফে সাইয়েদ বাকারী (রহঃ)।
যেসব বরণীয় ও অনুস্মরণীয় উলামা ও মুজতাহিদগণ উক্ত মিলাদ ও কিয়াম করতেন - তাঁদের মধ্যে ইমাম তাকিউদ্দিন সুবকি, আল্লামা নবভীর ওস্তাদ ইমাম আবু শামা, আল্লামা ছাখাভী, আল্লামা ইবনে জওজী, আল্লামা সিব্তু ইবনে জওজী, হাফিজ ইবনে হাজর আসকালানী, হাফেজ শামছুদ্দীন শামী, হযরত হাসান বসরী, হযরত জুনাইদ বাগদাদী, ইমাম ইয়াফেয়ী, হযরত সিররী সাকতী, আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী প্রমূখ মনিষীদের নাম আল্লামা সৈয়দ বাকারী (রহঃ) তাঁর গ্রন্থে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন (উক্ত ইয়ানাতুত ত্বালেবীন ৩য় খন্ড ৩৬৫ ও ৩৬৬ পৃষ্ঠা দেখুন) ।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, মককা মোয়াজ্জমার মুফতীয়ে আযম শাইখুল ইসলাম আল্লামা সৈয়দ আহমদ ইবনে জাঈনী দাহলান মরুকী (রহঃ) মিলাদের কিয়ামকে বলছেন মোস্তাহসান, আর দেওবন্দের রশীদ আহমদ, খলিল আহমদ, আশ্রাফ আলী গং-রা বলছে বিদআত ও হারাম। কার কথা ও ফতোয়া গ্রহণযোগ্য হবে- পাঠকরাই ঠিক করবেন। কোথায় মক্কা মোয়াজ্জমার ফতোয়া- আর কোথায় দেওবন্দের ফতোয়াবাজী। (লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(২০) ফতোয়া | (২২) সংশয় নিরসন |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |