হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন যে ব্যক্তির জুম্মার দিনে বা রাতে আমার ওপর ১০০ বার দরুদ শরীফ পাঠ করে আল্লাহ তার ১০০ টি হাজাত(চাহিদা)পূরণ করেন।৭০টি আখেরাতে আর ৩০ টি দুনিয়াতে।
(শূয়াবুল ঈমান, ওয়াযাইফ এ হাশেমীয়া)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুম্মার দিনে ও রাতে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ প্রেরণ করো, নিশ্চয়ই তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে। আমি তোমাদের পক্ষ থেকে দোয়া ও ইস্তেগফার করি।
(ওয়াযাইফ এ হাশেমীয়া)
নাবীয়ে আখিরুজ্জামাঁ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ দরুদ এর ওপর একজন ফেরেশতা নিয়োগ করেন যে আমার রওজাতে তা পৌঁছায়। যেমন তোমাদের নিকটে হাদিয়া আনা হয় তেমন ভাবে তার নাম বংশ এবং সম্প্রদায়ের নাম আমাকে বলা হয়। আমি সেটা সাদা সহীফায় (পুস্তিকা বিশেষে) তা সংরক্ষন করি।
(সুররুল কুলুব, ওয়াযাইফ এ হাশমীয়া)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি জুম্মার দিন আমার ওপর ১০০ বার দরুদ পাঠ করে যখন কেয়ামতের দিন আসবে তখন তার সাথে এমন একটি নুর থাকবে যে, যদি তা সমস্ত সৃষ্টি কে বন্টন করে দেওয়া হয় তবে তা সবার জন্য যথেষ্ট হবে।
(দালাইলুল খাইরাত, ফায়জানে সুন্নাত)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার ওপর জুম্মার দিন ও জুম্মার রাতে দরুদে পাক বেশি পরিমাণে পাঠ করে নাও। কেননা অবশিষ্ট দিনগুলিতেও ফেরেশতারা তোমার দরুদে পাক পৌঁছাতে থাকে কিন্তু জুম্মার দিন ও রাতে যে আমার উপর দরুদ পাঠ করে তা আমি নিজেই শুনে থাকি।
(নুজহাতুল মাজালিস, ফায়জানে সুন্নাত, ইউসুফ বিন ইসমাইল নাবহানি, হুজ্জাতুল আলামিন)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, জুম্মার দিন ও জুম্মার রাতে আমার ওপর বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ করো । কেননা যে এমনটি করবে আমি কিয়ামতের দিন তার সুপারিশকারী ও সাক্ষী হবো ।
(জামে ই সগির,ফায়জানে সুন্নাত,শুয়াবুল ঈমান)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি আমার উপর দরুদ পাঠ করল নিঃসন্দেহে সে নিজের সত্তার উপর রহমতের ৭০ টি দরজা খুলে নিল। আল্লাহ মানুষের মনে তার প্রতি ভালোবাসা ঢেলে দেন। সুতরাং তার সাথে সেই শত্রুতা রাখবে যার অন্তরে মুনাফিকি থাকবে।
(কাশফুল গুম্মাহ, ফায়জানে সুন্নাত)
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে জামায়াত আল্লাহর জিকিরে মশগুল থাকে ফেরেশতারা সেটিকে চারিদিক থেকে ঘিরে নেয়। আল্লাহর রহমত তাদেরকে ঢেকে নেয়। তাদের ওপর সাকিনা নাযিল হয়। আর আল্লাহ নিজের মজলিসে গর্ব করে তাদের আলোচনা করেন।
(দূররে মানসুর, তিরমিজি,হীসনে হাসিন, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)
সরকারে মদিনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যেসব লোক আল্লাহর জিকিরের জন্য জমায়েত করে আর তাদের উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের হয়। তবে আসমান থেকে একটা ফারিস্তা আহবান করে বলে তোমাদের কে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, তোমাদের পাপ গুলোকে পূণ্যে পরিবর্তিত করে দেওয়া হয়েছে।
(তাবারানী, দূররে মানসুর, ফায়জানে সুন্নাত, আহমদ)
হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ পাক কিছু লোকের হাশর এমনভাবে করবেন যে তাদের চেহারায় নূর চমকাতে থাকবে। তারা মতির মিম্বারে বসা থাকবে। অন্যান্য লোক তাদের প্রতি ঈর্ষা করতে থাকবে তারা নবী ও হবেন না শহীদ হবেন না। কেউ আরজ করল ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের অবস্থা বলে দিন যাতে আমরা তাদেরকে চিনতে পারি। তিনি বললেন তারা ঐ সমস্ত লোক হবে যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে এবং বিভিন্ন খানদান থেকে এক জায়গায় একত্রিত হয়ে আল্লাহর জিকিরে মশগুল হয়েছে।
(দুররে মানসুর, তারগীব, তাবরাণী)
জান্নাত ইয়াকুত পাথরের খুঁটি সমূহ হবে।এর উপর যাবারজাস ( যুমুররুদ) পাথরের বালাখানা হবে।এতে চারিদিকে দরজাসমূহ খোলা থাকবে। এটি অত্যন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্রের ঝলমল করতে থাকবে। এই সব বালা খানার মধ্যে ওই সব লোক থাকবে যারা একে অপরের সহিত আল্লাহর জন্য মহব্বত রাখে। যারা আল্লাহর ওয়াস্তে এক জায়গায় জমা হয় এবং যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ করে।
(জামে সগীর, মিশকাত)
সাহাবী হযরত আবু রাযীন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বললেন তোমাকে দিনের শক্তি বৃদ্ধিকারী বস্তু বলে দেবো কি? যার দ্বারা তুমি উভয় জাহানের ভালাই লাভ করবে। এটি হল জিকিরের মজলিস এটিকে মজবুত করো। আর যখন তুমি একাকী হও তখন যত পারো আল্লাহর জিকির করতে থাকো ।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ ফরমিয়েছেন-- তোমরা যখন জান্নাতের বাগান সমূহের কাছ দিয়ে যাও তখন সেখানে খুব বিচরণ করো । কেউ আরজ করল হে রাসূলাল্লাহ জান্নাতের বাগান সমূহ কি ? এরশাদ ফরমালেন জিকিরের হালকা সমূহ।
(আহামাদ, তিরমিজি)
কোন কোন সাহাবায়ে কেরাম হতে বর্ণিত রয়েছে যে, কোন মেহফিল যদি হযরত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করা হয়, তবে সেই মেহেফিল থেকে এক সুগন্ধ বের হয় যা আসমান পর্যন্ত পৌঁছায়। তখন ফেরেশতারা বলেন এটি হলো সেই মেহফিল যাতে হযরত রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি দরুদ পাঠ করা হচ্ছে।
(দালাইলুল খাইরাত)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬৯) দরুদ শরীফে যা যা আছে | (০৭১) দরুদ শরীফের মাহফিলে যেতে নাবী মুস্তাফা (সঃ) হুকুম দিয়েছেন |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |