১. পাঠ কারীর অন্তরে হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর মহব্বত সৃষ্টি হয়।
২.মুস্তাফা জানে রহমত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি দরুদ ও সালাম পাঠকারী কে ভালবাসেন।
৩. হুযুর আলাইহিস সালাতু সালাম এর জিয়ারত লাভ হয়।
৪. রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর নৈকট্য লাভ হয়।(তিরমিযি)
৫ পাঠক ও তার পিতার নাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর পবিত্র বারগাহে পেশ করা হয়। (জযবুল কুলুব)
৬ বালা মুসিবত রোগ-ব্যাধি ও ভয় ভীতি দূর হয়।
৭. শত্রুদের উপর বিজয় লাভ হয়।
৮. হৃদয় প্রাণ ও আসবাবপত্র এবং ধন-সম্পদের পবিত্রতা হাসিল হয়। (জযবুল কুলুব)
৯. পাঠকারী সচ্ছল হয়ে যায়, বরকত সমূহ অর্জিত হয় এবং চার পুরুষ পর্যন্ত বরকত থাকে। (জযবুল কুলুব)
১০. পারিশানি দূর হয়, দুঃখ দূর হয়। (মিশকাত)
১১ .গুনাহ সমূহের কাফ্ফারা হয়ে যায়। (মিশকাত)
১২. পুলসিরাতের উপর অন্ধকারের সময় দরুদ শরীফ নুর হবে এবং সাবিত কদম থাকবে।(জামেউস সাগীর)
১৩. বেশি দরুদ ও সালাম পাঠ কারী আরশের ছায়া পাবে। (আফজালুস সালাওয়াত আলা সাইয়েদিস সাদাত)
১৪. জান্নাতের সর্বাপেক্ষা বেশি হুর পাবে যে বেশি দরুদ শরীফ পড়বে।
১৫. সরকার সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর শাফায়াত নসিব হবে। ( সাআদাতুদ্দারাইন
১৬. কিয়ামতের দিন পিপাসিত হবে না। (ফায়জানে সুন্নাত)
১৭. যতক্ষণ দরুদ পাঠ করে ফেরেশতাগণ ততক্ষণ তার জন্য ক্ষমা চাইতে থাকেন। ( মুসনাদে ইমামে আজম)
১৮. প্রেমিকদের দুরুদ হুজুরে পাক আলাইহিস সালাতু সালাম নিজে শুনেন। (দালাইলুল খাইরাত)
১৯. তাকে নেফাক্বী ও দোযখ থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
২০. ওই ব্যক্তির দিন ও রাতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (আত্তার গীব ওয়াত্তার হীব
২১. দোয়া কবুল হয় দুই দারুদের মাঝে।
২২. বেশি পরিমাণ দরুদ পাঠ কারীকে কেয়ামতে শহীদের সঙ্গে উঠানো হবে।(আত্তার গীব ওয়াত্তার হীব)
২৩. বেশি পরিমাণে দরুদ ও সালাম পাঠ কারীর বিপদ আপদ দূর হয়। (আল কওলুল বাদী)
২৪. পাঠকারী কে বনের পশুরা ও সম্মান করে।(ফায়জানে সুন্নাত)
২৫. স্বপ্নেও জাগরনে নবীয়ে আখিরুজ্জামাঁ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দিদার লাভ হয়।
২৬. কথার প্রভাব বৃদ্ধি পায়, বাক্যের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। গালিগালাজ ও গীবত থেকে বাঁচা যায়।
২৭. ইলম অনুযায়ী আমল করার তৌফিক হয়
২৮. নেক কাজের প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। দিল জিন্দা হয় বা তৌফিক লাভ হয়।
২৯. বেশি দরুদ পাঠ কারীর আল্লাহপাকের নৈকট্য লাভ হবে৷
৩০. বেশি দরুদ শরীফ পাঠ কারী বখিল হবে না ।
৩১. কিয়ামতের লাঞ্ছনা থেকে বেঁচে যাবে।
৩২. মালায়ে আলাতে ওই ব্যক্তি প্রশংসা হয়।
৩৩ . ওই ব্যক্তির বয়সে ও সময়ে আল্লাহ বরকত আতা করেন।
৩৪. মিজানের পাল্লা ভারী হবে।
৩৫. ব্যবহার ভদ্র হয়, রাগ কমে যায়। তাবিয়াত এর নর্মি সৃষ্টিহয়, টেনশন হাই ব্লাড প্রেসার কমে যায়।
৩৬. ব্রেনের সমস্যা দূর হয়, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
৩৭. ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা হয়।
৩৮. দরুদ স্বয়ং তার জন্য মাগফিরাত কামনা করে।
৩৯. বেশি পরিমাণ দরুদ ও সালাম পাঠ কারীর লাশ পর্যন্ত পচে না ।
৪০ . দরুদ শরীফ এমন এক মাধ্যম যা আল্লাহ তাআলা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
৪১. একবার দরুদ পড়লে দশটি নেকী লেখা হয়, দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হয়, ১০ টি দরজা বুলান্দ করা হয়, দশটি রহমত নাযিল করা হয়, আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাহ দশবার দরুদ প্রেরণ করেন এবং সমস্ত ফেরেশতা রা দশবার তার জন্য দোয়া করবে। অথবা আল্লাহ ৭০ টি রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা ৭০ বার দোয়া করেন।
৪২. যে দরুদ পড়ে আল্লাহ তার উপর দরুদ প্রেরণ করেন। যে সালাম পরে আল্লাহ তার ওপর সালামতি নাযিল করেন।
৪৩. জুলুম, নির্যাতন থেকে নিষ্কৃতি লাভ করা যায়।
৪৪. দুনিয়ার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷৷
৪৫. আর্থিক সংকট দূরীভূত হয়ে যায়।
৪৬. ভুলে যাওয়া বিষয় স্মরণ হয়।
৪৭. ফেরেশতাগণ দরুদ শরীফ পাঠ কারী কে ঘিরে থাকে।
৪৮. দরুদ ও সালাম এর জবাব হিসাবে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং কল্যাণ ও শান্তির জন্য দোয়া করেন।
৪৯. মৃত্যু যন্ত্রণা সহজে হয়ে যায়, কিয়ামতের দিন সওয়াবের পাল্লা ভরপুর করে দেওয়া হয়।
৫০. দরুদে পাক সমস্ত পেরেশানি দূরীভূত করার জন্য এবং সমস্ত চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট।
৫১. হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এর নৈকট্য লাভ হবে জান্নাতের দরজায়।
৫২. চোখের পলক মারতে পুলসিরাত পার হয়ে যাবে।
৫৩. বেশি পরিমাণে দরুদ ও সালাম পাঠ কারি রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এর স্পর্শ লাভে ও ধন্য হয়। তার হাত মুবারক থেকে তাবাররুকও পাওয়া যায়। মদিনা শরীফ ও যাওয়া নসিব হয়।
৫৪. দরুদ পাঠের ফলে রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয় যা থেকে কাফেররা ঈমান প্রাপ্ত হয় এবং স্বর্ণ ও রুপা সৃষ্টিহয় দুনিয়াতে।
৫৫. দরুদ শরীফ ই সব দুশ্চিন্তা ও দুঃখ দূরীভূত করার জন্য যথেষ্ট হয়ে যায় এবং গুনাহের কাফফারা হবে।
৫৬. বেশি পরিমাণ দরুদ পাঠ করা সুন্নির পরিচয়।
৫৭. তরিক্বত পন্থীদের জন্য দরুদ শরীফের ওজিফা মহা বিজয়ের কারণ।
৫৮. বেশি পরিমাণে দরুদ পাঠ কারী কবরে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে চিনতে পারবে এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে।(ইনশাআল্লাহ)
৫৯. যখন আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাহর সঙ্গে কিয়ামতে সাক্ষাৎ হবে তখন মহান রব সন্তুষ্ট থাকবেন ওই ব্যক্তির প্রতি যে বেশি দরুদ পাঠকারী হবে।
৬০. হাওযে কাওসার এ হুজুর আলাইহিস সালাম তাকে চিনবেন। কেয়ামতের দিনে শহীদের সাথে থাকবে।
৬১. অল্প আমলেই কঠিন থেকে কঠিন সমস্যা ও মুসিবত দূর হয় এবং সমস্ত প্রয়োজন আদি পূরণ হয়।
৬২. ১ লাখ ৬০০০০ হজের সওয়াব হয় একবার দরুদ পড়লে।
৬৩. মজলিসে দরুদ পড়লে কিয়ামতের নুর হবে।
৬৪. সে দোযখে যাবে না।
৬৫. মুসাফার সময় দরুদ পড়লে আগে ও পরে গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় ৷
৬৬. একবার দরুদ পড়লে ওহুদ পাহাড় এর সমান নেকী দেওয়া হয়। (কওলুল বাদী)
৬৭. দরুদ ও সালাম এর মেহফিলে প্রচন্ড হারে দোয়া কবুল হয়।
৬৮. তার মৃত্যুর সময় সমস্ত সৃষ্টি তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে।
৬৯. আল্লাহ মানুষের মনে তার প্রতি ভালোবাসার ঢেলে দেন, আর মুনাফিক ছাড়া কেউ তার প্রতি শত্রুতা রাখে না।
৭০. এক বার দুরুদ পড়লে তিনদিন পর্যন্ত কাঁধের দুই ফ্যারিস্তা কোন গুনাহ লেখেন না ।
৭১. শবে বরাত এর মধ্য রাতে ইস্তেগফার এর পরে দরুদ শরীফ পড়লে দোয়া কবুল হয় ।
৭২. জুম্মার দিনে ১০০ বার দরুদ পড়লে ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হবে এবং যখন কিয়ামতের দিন হবে তখন তার সাথে এমন একটি নুর থাকবে যদি তা সমস্ত সৃষ্টি কে বন্টন করে দেওয়া হয় তবে তা সবার জন্য যথেষ্ট হবে।
৭৩. ফুল শুঁকে চোখে লাগিয়ে দরুদ পড়লে ফুলটি মাটিতে রাখার আগেই সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায়।
৭৪. কোন সময় সাদকা দিতে না পেরে দরুদ পড়লে তা সাদকার কায়েম মুকাম হয়ে যায়।
৭৫. লোকের গীবত থেকে বাঁচা যায় এবং লোকেরাও পাঠকারীর গীবত করে না।
৭৬. বেশি দরুদ পাঠ কারী কে মুস্তাযাবুত দোয়া বানিয়ে দেওয়া হয় ৷
৭৭. বন্ধু বান্ধব প্রিয় জন ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সাক্ষাতের সময় দরুদ পড়লে পরস্পরের মহব্বত বৃদ্ধি পায়।
৭৮. কোন দাওয়াতে অংশগ্রহণ করার সময় দরুদ পড়লে সম্মান মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং বরকত হয়।
৭৯. মৃত ব্যক্তিকে কবরে রাখার সময় দরুদ পড়লে মৃতব্যক্তির আরাম হয়।
৮০. ওয়াজ করার সময় দরুদ পড়া ইলম বৃদ্ধির আলামত।
৮১. কবরস্থানে ঢোকার সময় দরুদ পড়ার দ্বারা ক্ষমা লাভ হয় ৷
৮২. বিবাহের সময় দরুদ শরীফ পড়লে নতুন স্ত্রীর সাথে মহব্বত বেশি হয় ।কল্যাণ ও বরকত লাভ হয়।
৮৩. দরুদ শরীফ হলো যাকাত ও পবিত্রতা, গরিব লোকের জন্য সদকার সমতুল্য।
৮৪. প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম দোয়া করেন দরুদ ও সালাম পাঠকারী দের জন্য ।
৮৫. দরুদ সবচেয়ে উত্তম আমল। দিন ও দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি উপকৃত আমল।
৮৬.শহীদের সওয়াব পাওয়া যায় গুনাহের জাররাও বাকি থাকে না।
কাবে কে বাদরুদ্দুজা তুমপে কারোড়ো দুরুদ
তাইবা কে শামসুদ্দুহা তুমপে কারোড়ো দুরুদ
আশ হে না কোই পাশ এক তুমহারি হে আশ
বাস এহি হে আশরা তুমপে কারোড়ো দুরুদ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬৬) কখন কখন দরুদ শরীফ পড়তে হবে | (০৬৯) দরুদ শরীফে যা যা আছে |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |