ফ্যারিস্তারা দরুদ পাঠকারীদের খুঁজে বেড়ান, যখনই কেউ দরুদ পাঠ করেন তখনই নাবীপাকের দরবারে পৌঁছে দেওয়া হয় ৷
(নাসাঈ, মিশকাত শরীফ, হিসনে হাসীন, ,শানে হাবিবুর রহমান)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন তোমরা তোমাদের মজলিস গুলোকে আমার উপরে দরুদ শরীফ পাঠ করে সজ্জিত করো। কেননা তোমাদের দরুদ শরীফ পাঠ করা কেয়ামতের দিন তোমাদের জন্য নুর হবে ।
(জামে উস সাগীর,ফায়জানে সুন্নাত, ,গুলদাস্তায়ে দরুদ ও সালাম (হিন্দি))
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু আনহা বলেছেন, তোমরা তোমাদের মজলিস সমূহকে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম র উপর দরুদ শরীফ পাঠ করে সজ্জিত করো।
(তারিখে বাগদাদ)
আল্লামা মাজদুদ্দিন ফিরোজাবাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন --যখন কোনো মজলিশে বস আর বল বিসমিল্লা-হির-রাহমা- নির ওয়া সাল্লাল্লাহু আলা মুহাম্মদ তো আল্লাহ তোমার উপরে একজন ফারিশতা নিয়োগ করেন যে তোমাকে গীবত থেকে বাঁচাবে। আর যদি উঠবার সময় তা বল তবে ফ্যারিস্তা তোমার গীবত করা থেকে লোককে বিরত রাখবে ।
(গুলদাস্তায়ে দরুদ ও সালাম, কওলুল বদী)
যে সব লোক কোনো মজলিস এ বসে, আর তাতে আল্লাহর জিকর করল না এবং তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ শরীফ ও পড়ল না কেয়ামতের দিন তার ঐ মাজালিস তাদের আফসোস এর কারণ হবে। আল্লাহ চাইলে তাদেরকে আযাব দিবেন অথবা ক্ষমা করে দিবেন।
(তিরমিজি)
জীবনে একবার দরুদ শরীফ পড়া ফরজ । জিকরের জালসায় দরুদ শরীফ পাঠ করা ওয়াজিব নাম মুবারাক নিজে উচ্চারণ করুক বা অন্যজন থেকে শ্রবণ করুক। বারবার নাম মুবারক এলে প্রথমে কয়েকবার পড়ে নিলেই হবে। তবুও মুহাব্বাতের দাবী এটায় যে মজলিসে যদি শতবার নামে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উচ্চারণ হয়, প্রতেক বার ই দরুদ ও সালাম পড় । নাম মোবারক নিল বা শুনল সে সময়ে পড়ল না তবে অন্য সময়ে পড়ে নেবে।
(দুরুল মুখতার, বাহারে শরিয়ত)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২০) দোয়া ও মোনাজাতে দরুদ | (০২২) দরুদ ও আহলে বাইত |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |