হযরত মাওলা আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মাদ ও মুহাম্মাদ এর বংশধর এর উপর দরুদ পড়া না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে দোয়ার কবুলিয়ত বন্ধ হয়ে থাকে ।
(জামে সগীর ও মুজাম উল আউসাত)
সাহিবে রুহুল বায়ান বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার আল এ আতহার এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত বান্দার দোয়া আর আল্লাহ পাকের মধ্যে পর্দার আড়াল থাকে। দরুদ পড়া মাত্রই পর্দা উঠে যায় আর দোয়া কবুলিয়াতে দাখিল হয়ে যায়।
(তাফসীরে রুহুল বায়ান)
অন্যত্র একটা হাদীসে পাকে বর্ণিত হয়েছে যে,
নাবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার ওপর লেজ কাটা দুরুদ পড়ো না।সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহু আনহুম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অর্থ কি? আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যখন আমার উপর দরুদ পড়বে তখন আমার আহলে বাইত কেউ দরুদের মধ্যে শামিল করে নিও।
ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার আহলে বাইত এর ব্যাপারে খুব সুন্দর বলেছেন--
یا آلَ بَيتِ رَسول الله الله فى القرآن أنزلهكفاكم من عظيم القدر أتكممَن لم يُصَلِّ عَليكم لا صَلاةَ لَهُ
ইয়া আলা বাইতি রাসুলিল্লাহি হুব্বাকুম ফারযুম মিনাল্লাহি ফিল কুরআনি আনযালাহু। কাফাকুম মিন আযিমিল ক্বদরী আন্নাকুম মান লাম ইউ সাল্লি আলাইকুম লা সালাতা লাহু।
হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আহলে বাইত গন (বংশধর) আপনাদের মহাব্বাত আল্লাহ কোরআনে আয়াত নাজিল করে ফরজ করে দিয়েছেন। আপনাদের বুজুর্গীর জন্য এতটায় যথেষ্ট যে আপনাদের উপর দরুদ পাঠ করে না তার নামাজ ই হয় না ।
বাগে জান্নাত কে হে বাহার মাদহাখানে আহলে বাইত।
তুমকো মুজদাহ নার কা ইয়ে দুষমানাণে আহলে বাইত।।
উনকে ঘার মে বে ইজাজাত জিবরাইল আতে নেহি।
কাদর বালে জানতে হে কদর ও শানে আহলে বাইত।।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২১) মাজালিশে দরুদ শরীফ পাঠ | (০২৩) দরুদ শরীফ লিখা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |