হজরত উমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন - নিশ্চই দোয়া আসমান ও জমিনের মধ্যে খানে ঝুলন্ত থাকে এবং তা থেকে কোনো বস্তু উপরের দিকে যায় না, যতক্ষণ তোমরা নিজেদের নাবিয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ শরীফ পড়ে না নাও ।
(তিরমিজি, তাফসীরে রুহুল বয়ান)
হজরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন ---যতক্ষণ পর্যন্ত মুহাম্মদ ও আলে মুহাম্মদ এর উপর দরুদ না পড়া হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে দোয়ার কবুলীয়ত বন্ধ হয়ে থাকে ।
(গুলদাস্তায়ে দরুদ ও সালাম, কানজুল আমাল, জামে সাগীর, আবুশ শায়েখ, মুজাম আউসাত )
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ল এবং আপন প্রতিপালকের প্রশংসা করল, অতঃপর আমার উপর দরুদ পাক পড়ে তারপর নিজ প্রতিপালক থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করল, তবে সে মঙ্গল কে সেটার জায়গায় থেকে তালাশ করে নিল ।
( শুয়াবুল ইমান, আল কওলুল বদী)
হজরত শাহ আব্দুল কাদের লিখেছেন যে-- আল্লাহর নিকট হুজুরের জন্য ও তার পরিবার পরিজন্য দোয়া করলে নিঃসন্দেহে উহা কবুল হয় । হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লামের পদমর্যাদা অনুযায়ী তাঁর উপর রহমত নাযিল হয়।
(ফাযায়েলে দরুদ)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, তুমি যখন দোয়া কর তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম এর উপর কিছু দরুদ ও ওটার সঙ্গে সামিল কর। কেননা দরুদ তো নিশ্চয়ই কবুল হই আর এটি রহমতে খোদাওন্দীর শানের খেলাফ যে দোওয়ার কিছু অংশ কবুল হবে আর বাকী অংশ কবুল হবে না ।
(ফাযায়েলে দরুদ)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৯) নামাজ ও দরুদ | (০২১) মাজালিশে দরুদ শরীফ পাঠ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |