রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন আমার উপর অধিক হারে দরুদ শরীফ পাঠ করো, আমার উপর তোমাদের দরুদ শরীফ পাঠ করা তোমাদের জন্য পবিত্রতা।
(মুসনাদে আবী ইয়ালা)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন --হে লোকেরা! নিশ্চই কেয়ামতের দিনের ভয়াবহতা এবং হিসাব নিকাশ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাবে সেই ব্যক্তি, যে তোমাদের মধ্যে আমার উপর দুনিয়াতে অধিক হারে দরুদ শরীফ পাঠ করতে থাকে।
(আল ফিরদাউস বিমাসুরিল খাত্তাব)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন -- আমার প্রতি আধিক হারে দরুদ শরীফ পাঠ কর, নিশ্চয় আমার প্রতি তোমাদের দরুদ শরীফ পাঠ করা তোমাদের গুনাহের জন্য মাগফিরাত স্বরুপ ৷
(ইবনে আসাকির, কানজুল উম্মাল)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে,যে ব্যক্তি একথা পছন্দ করে যে, আল্লাহ পাকের মহান দরবারে পেশ হবার সময় আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন, তবে তার উচিত আমার উপর বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ করা।
(ফিরদাউসুল আখবার, কাশফুল গুম্মাহ)
দরুদ শরীফ পাঠ কারীর জন্য রয়েছে ৪ টি বিশেষ পুরস্কার
(১) ঈমানের সাথে মৃত্যু (২) মৃত্যু যন্ত্রণা সহজ হয় (৩) হিসাব নিকাশ সহজ হয় (৪) বেহেশত নসীব হয়।
(ওয়াযাইফ-এ-হাশেমীয়া)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন কেয়ামতের দিন তিন ব্যক্তি আরশের ছায়ায় থাকবে--
- ঐ যে আমার উম্মাতের পেরেশানী দূর করে
- আমার সুন্নাত কে জীবিত কারী
- আমার উপর অধিক পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ কারী ।
(আল বাদরুস সাফিরাতু লিস সিউতি )
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে আমার উপর দরুদ শরীফ পাঠ করা পুলসিরাতের উপর তোমাদের জন্য নুর হবে । (কেয়ামতের দিনে)
(আল ফিরদাউস, কওলুল বদী, দালাইলুল খায়রাত)
আর এটাও নিশ্চিত যে যে ব্যক্তি পুলসিরাত অতিক্রম কালে নুর প্রাপ্ত হবে সে কখনও দোজখ বাসী হবে না।। ইনশাআল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লাহ
হজরত আবুবাক্কার সিদ্দিক রাদিআল্লাহু আনহু বলেছেন যে, আমাদের আকা ও মওলা সরকারে মাদিনা হুজুরে পুর নুর মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ শরীফ পাঠ করা গুনাহ সমুহকে এত দ্রুত মিটিয়ে দেয় যে পানি ও আগুন কে এত দ্রুত নিভাতে পারে না ।আর রাসুলে কায়েনাত পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম এর উপর সালাম প্রেরণ করা গর্দান সমুহকে আযাদ করা(ক্রীত দাস মুক্ত করা)'র চেয়ে ও উত্তম ।
(তারিখে বাগদাদ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে ব্যক্তি এটা চাই যে কেয়ামতের দিন তাকে সওয়াবের পাল্লা ভরপুর করে দেওয়া হোক, তার উচিত সে যেন আমার উপর বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পাঠ করে।
(সা আদাতুদ্দা রাঈন,ফায়জানে সুন্নাত)
সরকারে মাদিনা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন -- ঐ ব্যক্তি কেয়ামতের দিনে তোমাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ভয়ানক অবস্তাদি থেকে নাজাত প্ৰাপ্ত হবে, যে দুনিয়াই আমার উপর সর্বাপেক্ষা বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ কারী হবে।
(ফায়জানে সুন্নাত)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে হাওযে কাওসারের উপর আমি এমন এমন দল পাবো যাদের কে আমি বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পাঠ করার কারনে চিনবো ।
(কাশফুল গুম্মাহ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, জান্নাতে সবথেকে বেশী হুর ওই ব্যক্তিরই হবে, যে সব থেকে বেশী দরূদ শরীফ পাঠ কারী হবে ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে, যদি কারো নিকট কোন সঙ্কট এসে পড়ে তাহলে তার উচিত আমার উপর বেশি পরিমাণে দরুদ শরীফ পাঠ করা।কেননা তা সমস্যাবলীর সমাধান করে দেয় এবং পেরেশানী সমুহ দূর করে দেয় ।
(ফায়জানে সুন্নাত)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে সবসময় দরুদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও আখেরাতের সাহায্য করার নিশ্চয়তা দেবেন।
( মুসনাদে আহমদ, জান্নাত কি কুঞ্জি)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, কেয়ামতের দিনে আমার নিকটতম হবে ঐ লোকটি, যে দুনিয়াই আমার উপর যত বেশী পরিমানে দরুদ শরীফ পড়েছে।
(তিরমিজি শরীফ, কানজুল উম্মাল, আল্লামা শাখাবীর - কওলুল বদী)
হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন যে ব্যক্তি আমার উপর ১০০ বার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ পাক তার ওপর ১০০০ বার রহমত নাযিল করবেন।আর যে আমার প্রতি তার প্রেম ও ভালোবাসার কারণে পড়বে আমি কেয়ামতের দিনে তাকে শাফায়াত করব এবং তার জন্য সাক্ষী হব।
(কওলুল বদী)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমিয়েছেন, যে ব্যক্তি তার জীবদ্দশায় আমার উপর বেশী পরিমানে দরুদ পাক পাঠ করে, তার মৃত্যুর সময় আল্লাহ রব্বুল ইজ্জাত সমস্ত সৃষ্টি কে বলবেন এ বান্দার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো।
(নুজহাতুল মাজালিস, ফায়জানে সুন্নাত, ইমাম বাগাভী, শারহুস সুন্নাত,সহি ইবনে হিব্বান, বাইহাক্কী শুয়াবুল ইমান, বুখারীর তারিখুল কাবীর)
ফায়জানে দরুদ ও সালামে বর্ণিত হয়েছে যে দরুদ শরীফের বরকতে বালা মুসিবত দুর হয়, রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ হয়, ভয়-ভীতি দুর হয়ে যায়, যুলুম নির্যাতন থেকে নিষ্কৃতি লাভ করা যায়, শত্রুর উপর বিজয় লাভ হয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল হয়, অন্তরে তাঁর ভালোবাসা পয়দা হয়, ফেরেশতারা তার চর্চা করে, কর্মগুলোর পূর্ণতা অর্জিত হয়, হৃদয়, প্রাণ ও আসবাবপত্র এবং ধন সম্পদের পবিত্রতা হাসিল হয়, পাঠ কারী সচ্ছল হয়ে যায়, বরকত সমূহ অর্জিত হয় এবং বংশ পরম্পরার চার ঔরশ পর্যন্ত বরকত থাকে ।
(জযবুল কুলুব)
নাতে সারকার কি পাড়হতা হু মে
বাস ইসি বাত সে ঘার মে মেরি রেহমাত হোগী।।
ইক তেরা নাম ওসিলা হে মেরা
রাঞ্জ ও গাম মে ভি ইসি নাম সে রাহাত হোগী
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৬) হাজার বার দরুদ শরীফ | (০১৮) সর্বক্ষণ দরুদ শরীফের ওযীফা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |