পরিপক্ক জ্ঞানের ধারক আলিমগন ও দ্বীনের সন্মানিত ইমামগন বলেছেন, একটি দরুদ দুনিয়া ও দুনিয়ার সব সামগ্রী অপেক্ষা ও উত্তম এবং উভয় জগতের জন্য যথেষ্ট। এর সওয়াব অধিকাংশ শারীরিক, আর্থিক ও মৌখিক ইবাদতের চেয়ে উর্ধে।
(ওয়াফাইফ এ হাশেমীয়া, সুররুল কুলুব ফী যিকরিল মেহবুব)
রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,যে ব্যক্তি আঁমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে দরূদ শরীফ পেশ করে,আল্লাহ পাক সেই দরূদ শরীফ দ্বারা একজন ফেরেশতা তৈরি করেন, যার একটি পাখা থাকবে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে আর একটি পাখা থাকবে পশ্চিম প্রান্তে,তার পদযুগল জমিনের প্তম স্তরে (যা সর্ব নিম্ন স্তর) দন্ডায়মান হবে। আর তার গর্দান আরশের ছায়াতলে পৌঁছবে, আল্লাহ পাক সেই ফেরেস্তাকে বলবেন, তুমি আঁমার বান্দার প্রতি দরূদ প্রেরণ করতে থাকো ।
হজরত আনাস ও হজরত বারা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহী ওয়া সাল্লাম বলেছেন - যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ শরীফ পাঠ করে, আল্লাহ পাক তার উপর ১০টি রহমত নাযিল করেন এবং তার আমলনামায় ১০টি নেকি লিখে দেন, ১০ টি গুনাহ ক্ষমা করেন এবং ১০ টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।
(নাসায়ী, মিশকাত শরীফ, তিরমিজি শরীফ, বাহারে শরিয়ত, কানজুল উম্মাল)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০০৭) দরুদ ও সালাম এর ফজিলত | (০০৯) তিন বার দরুদ শরীফ পাঠ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |