কুরায়শদের জুলুম-নির্যাতন যখন চরমে পৌঁছে, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথীদের হিজরতের অনুমতি দেন। তাঁরা জিজ্ঞাসা করেন :
ইয়া রাসূলাল্লাহ (স)! আমরা কোথায় যাব?
তিনি তাঁদের হাবশায় হিজরতের অনুমতি দেন। কারণ, সেখানকার বাদশা খৃষ্টান হলেও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন। তাঁর দেশে কোন অন্যায় অবিচার ছিল না। দেশবাসী তার সুশাসনে শান্তিতে কাটাত। কুরায়েশরা ব্যবসার জন্য সে দেশে যেত।
প্রথমবারে যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াস্লাামের অনুমতি নিয়ে হাবশায় যায়, তাদের সংখ্যা ছিল ষোল। তার ভেতর ১২ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী ছিল। এ দলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কন্যা রোকাইয়া (রা.) এবং তাঁর স্বামী হযরত উসমান ইবনে আফ্ফান (রা.)ও ছিলেন। নবূওতের পঞ্চম বছর, রজব মাসে তাঁরা ‘শুআয়বা’ বন্দর হতে জাহাজে আরোহন করে আবিসিনিয়া (হাবশা) অভিমুখে যাত্রা করেন। এর কিছুদিন পর হযরত জাফর (রা.)-এর নেতৃত্বে ৮৩ জন নর-নারী আবিসিনিয়ায় হিজরত করেন। কুরায়েশ নেতারা তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এবং তারা হতাশ হয়ে আবিসিনিয়া ত্যাগ করে। আর এভাবে ইসলামের জ্যোতি এশিয়া ছেড়ে আফ্রিকা মহাদেশের মরুভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে।