হযরত আলী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে-
مَنْ لَمْ يُصَلِّ فَهُوَ كَافِرٌ
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন- যে নামাজ পড়ল না সে কাফির ।
আবি বকর ইবনে শায়বা কিতাবুল ঈমানে এ হাদীছ বর্ণনা করেছেন-
مَنْ تَرَكَ الصَّلَواةَ فَقَدْ كَفَرَ
মান তারাক্বাস্ সালাতা ফাক্বাদ কাফারা
ইবনে আব্বাছ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন-
যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দিল সে কুফরী করলো।
ইবনে মাছউদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন-
مَنْ تَرَكَ الصَّلَواةَ فَلَادِيْنَ لَهُ
যে নামাজ ছেড়ে দিল, তার কোন দ্বীন নেই ।
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন-
[আরবী]
যে নামাজ পড়লোনা সে কাফির ।
হযরত আবি দারদা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন-
[আরবী]
যার নামাজ নেই তার ঈমান নেই ।
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আরো বলেন-
[আরবী]
নিশ্চয় নামাজ তরককারী কাফির ।
হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম এরশাদ করেন-
لَا سَهُمَ فِي الْإِسْلَامِ لِمَنْ لاَ صَلاَةَ لَهُ وَلَا صَلَاةَ لِمَنْ لَا وُضُوْءَ لَهُ
যার নামাজ নেই ইসলামে তার কোন অংশ নেই। অর্থাৎ সে মুছলিম নয়। আর যার অজু নেই তার নামাজও নেই।
জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন-
بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَ الْكُفْرِ تَرْكُ الصَّلَاةِ .
মুছলিম এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ছেড়ে দেয়া।
— আহমাদ, মুছলিম
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন
নামাজই বান্দাহ ও কাফেরের মধ্যে একমাত্র পার্থক্যকারী।
— আবু দাউদ ও নাছায়ী
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন
কুফরী এবং ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ছেড়ে দেয়া।
— তিরমিজী
হযরত বুরাইদা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন
আমি রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামকে বলতে শুনেছি ‘আমাদের এবং তাদের মধ্যে ওয়াদা হলো নামাজ। যারা এ নামাজ তরক করলো তারা কুফরী করলো’।
— আহমাদ, আবু দাউদ, নাছায়ী, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, ইবনে হাব্বান, হাকেম, আততারগীব ১ম ৩৭৯ পৃঃ
হযরত ইবনু ওমার রাদিআল্লাহু আনহু রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম হ’তে বর্ণনা করেছেন,
لَا إِيْمَانَ لِمَنْ لاَ أَمَانَةَ لَهُ - وَلاَ صَلاَةَ لِمَنْ لا طَهُوْرَ لَهُ - وَلَا دِيْنَ لِمَنْ لَا صَلَاةَ لَهُ - إِنَّمَا مَوْضِعُ الصَّلَاةِ مِنْ الدِّيْنَ كَمَوْضِعِ
الرَّاسِ مِنْ الجَسَدِ – رواه الطبراني.
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন - যার মধ্যে আমানাত নেই তার মধ্যে ঈমানও নেই। যার মধ্যে নামাজ নেই তার মধ্যে দ্বীনও নেই। দ্বীনের মধ্যে নামাজের তুলনা যেমন শরীরের মধ্যে মাথার স্থান। অর্থাৎ মাথা ব্যতীত যেমন শরীর বেঁচে থাকতে পারেনা তেমন নামাজ ব্যতীত দ্বীন বাঁচতে পারেনা।
— আততারগীব ১ম-৩৮১ পৃঃ
নামাজ তরককারীর ব্যাপারে ইমামগনের মতভেদ আছে। যদি কোন ব্যক্তি ফরজ নামাজকে অস্বীকার করে নামাজ না পড়ে তবে সকল ইমামের মতে সে ব্যক্তি কাফির, ইছলাম থেকে খারেজ। আর যদি কোন ব্যক্তি ফরজ নামাজকে স্বীকার করে কিন্তু অলসতা বশতঃ নামাজ না পড়ে তার ব্যপারে মতভেদ আছে। ইমাম মালেক, শাফেয়ী ও অধিকাংশ ইমামের মতে সে ব্যক্তি কাফির নয় বরং ফাছেক। যদি সে নামাজ ত্যাগের জন্য তওবা না করে তবে তাকে হত্যা করা যাবে। যেমন- সৎ ব্যক্তির জেনার শাস্তি দেয়া হয়। ইমাম আবু হানিফার মতে, সে কাফির হবেনা এবং তাকে হত্যা করা যাবেনা বরং তাকে কারা বদ্ধ করে রাখবে।
মূল কথা নামাজের দ্বারা গোনাহ মাফ হয়। নামাজ না পড়লে গোনাহ বৃদ্ধির কারণে সে র্শিক কুফরীতে লিপ্ত হয়ে কাফির হয়ে যায়।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১০) নামাজ মু’মিনের জন্য মি’রাজ | (০১২) নামাজের মধ্যে শিরক |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |