প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দঃ) ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ছুয়াইবা নাম্নী এক দাসী তার মনিব আবু লাহাবকে এই সুসংবাদ জানায়। আবু লাহাব ভাতিজার জন্মসংবাদে খুশী হয়ে আপন দাসী ছুয়াইবাকে আযাদ করে দেয়। ৫৫ বছর পর বদরের যুদ্ধের ৭দিন পর প্লেগ রোগে আবু লাহাবের মৃত্যু হয়। আবু লাহাবের ভাই হযরত আব্বাস (রাঃ) স্বপ্নে আবু লাহাবকে দেখে নবী দুশমনির পরিণতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আবু লাহাব আফসোস করে বললো-
নরকে আমার স্থান হয়েছে। তবে নবী করিম (দঃ)-এর জন্মসংবাদে খুশী হয়ে দাসীকে শাহাদৎ অঙ্গুলীর ইশরায় আযাদ করার কারণে প্রতি সোমবার আমার কবরের আযাব হালকা হয় এবং শাহাদৎ অঙ্গুলী চুষে কিছুটা তৃষ্ণা নিবারণ করি ।
— বোখারী ও মাওয়াহেব
ইবনে জজয়ী (রহঃ) এ প্রসঙ্গে বলেন 'আবু লাহাব নবী করিম (দঃ)-এর একজন কট্টর দুশমন-যার বিরুদ্ধে সূরা লাহাব নাযেল হয়েছে। নবীজীর (দঃ) জন্মদিনের খুশীতে যদি তার এই পুরস্কার হয়, তাহলে যে মুসলমান মিলাদুন্নবী উপলক্ষে খুশী উদযাপনব করবে এবং নবীর মহব্বতে সাধ্যমত খরচ করবে, তার পুরস্কার কী হতে পারে? আমার জীবনের শপথ করে বলছি-নিশ্চয়ই আল্লাহ জাল্লা শানুহু আপন অনুগ্রহে তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন (আনওয়ারে মোহাম্মদীয়া)'।
উক্ত ছুয়াইবা নবী করিম (দঃ) কে কয়েক দিন দুধ পান করিয়েছিলেন। সেজন্য নবী করিম (দঃ) তাঁকে মা বলে সম্মান করতেন। জন্মের পর নবী করিম (দঃ) ১৬/১৭ দিন আপন মা ও ছুয়াইবার দুধ পান করেছিলেন।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৫) মিলাদুন্নবী উৎসব যুগে যুগে | (০১৭) চাঁদের সাথে খেলা করা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |