ইমাম বায়হাকী (জন্ম ৩৮৪ হিঃ/৯৯৪ খ্রিষ্টাব্দ ওফাত ৪৫৮ হিঃ/১০৬৬ খ্রিষ্টাব্দ)
তিনি উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয়
ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয় যুগের হাদীস শরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদের মাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাত ব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট বলে স্বীকৃত। সেই সাত জনের একজন হলেন, ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।
— আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস
এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম, আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ননা করেন–
ان الله تعالي خلق قبل الاشياء نور نبيك
….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার “নূর” মুবারক সৃষ্টি করেন।
— দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা
উক্ত হাদিস সম্পর্কে সমর্থনকারী বিশ্ববিখ্যাত দের বিবৃতি দ্বারা উপরোক্ত সনদ এবং হাদিসের মান নির্নয় করিঃ
শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (রহ) (গাউসুল আযম দস্তগীর (রহ), ওফাত ৫৬১ হিজরি)
তিনি তার বিখ্যাত সিররুল আসরার ফি মা ইয়াহতাজু ইলাইহিল আবরার, পৃষ্ঠা ১২-১৪ কিতাবে বলেন,
আমি (রাসুল) আল্লাহর (নুর) থেকে সৃষ্টি আর আমার (নুর) থেকে সমস্ত বিশ্বাসীগন (ও সমস্ত কিছু) সৃষ্টি।
তিনি আরো বলেন,
রাসুল (সা) এর নুর থেকে আল্লাহর আরশ সৃষ্টি এবং এমন আরো কিছু (যা হাদিসে প্রথম) সৃষ্টি যেমন কলম, বুদ্ধিমত্তা
— The Secret of Secrets (Cambridge: Islamic Texts Society, 1994)
ইবনে আল-হাজ্ব আল-আবদারী ( ইমাম মুহাম্মদ ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৭৩৬ হি)
তিনি তার আল মাযখাল (২৩৪) (বৈরুতে সংরক্ষিত দারুল কিতাব আল আরাবী ) কিতাবে বর্ননা করেছেন যেখানে আল খতিব আবু আল রাবি মুহাম্মাদ ইবন আল লাইস (রহঃ) এর শিফা আস সুদূর কিতাব থেকে বর্ননা করা হয়েছে
সর্বপ্রথম আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং উক্ত নুর এসে আল্লাহর সামনে সিজদায় রত ছিল। আল্লাহ পাক একে ৪ ভাগ করলেন ১ম ভাগ দিয়ে আরশ, ২য় ভাগ দিয়ে কলম, ৩য় ভাগ দিয়ে লৌহে মাহফুজ এবং অত:পর সেই ৪ ভাগকে পুনরায় ভাগ করলেন আর তা দিয়ে বাকি সমস্তকিছু সৃষ্টি করলেন।
ইমাম আব্দুল করিম যিলি (জন্ম ৭৬৬ হি.)
তিনি ওনার নামুস আল আজাম ওয়াল কামুস আল আকদাম ফি মা রিফাত ক্বদর আল বানী কিতাবে দলিলস্বরুপ বর্ননা করেছেন।
ইমাম নাবহানী (ইউসুফ বিন ইসমাইল)
তিনি একে দলিলস্বরুপ (evidence হিসেবে) বর্ননা করেন, তার আল আনোয়ার আল মুহাম্মাদিয়া (পৃষ্ঠা ১৩) ও তার জাওয়াহির আল বিহার (পৃষ্ঠা ১১২৫ অথবা কায়রোতে বাবা সংস্করণ ৪র্থ খন্ড ২২০ পৃষ্ঠা) এবং তার হুজ্জাত আল্লাহ্ আলা আল আলামিন (পৃষ্ঠা ২৮)
ইমাম নিশাবুরি (নিজামউদ্দিন ইবনে হাসান, ওফাত ৭২৮ হি)
আমাকে আরো নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি প্রথম মুসলিম হই।
সুরা জুমার (৩৯.১২)
এই আয়াতের তফসীরে (গারাইবুল কুরআন, বাবা খন্ড ৮, পৃষ্ঠা ৬৬, কায়রোতে বাবা সংস্করণ) উক্ত হাদিসকে দলিলস্বরুপ গ্রহন করেছেন
ইমাম ইউসুফ আল-সাইয়্যিদ হাসিম (রিফাই) বলেন
এটা ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহ) বর্ননা করেছেন এবং এটা দলিল স্বরুপ
— আদিল্লাত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত আল মুসাম্মা আল রাদ্দুল মুহকাম আল মা'নী, পৃষ্ঠা ২২
মুহাদ্দীস আব্দুল হক দেহলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি হাদীসটিকে হাসান ও সহীহ বলেছেন। (মাদারিজুন নবুওয়াত)
ইমাম কুস্তালানী (রহঃ) (আহম্মদ ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৯২৩ হি) বলেন:
"এটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ)-এর রেওয়ায়েত, যিনি নিজ সনদে হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।"
সূত্র: কুস্তালানীর কিতাব "মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া", খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৭১।
তিনি তাঁর বিখ্যাত কিতাব [আল-মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া (১:৫৫)] — যা যুরকানীর ব্যাখ্যাসহ প্রকাশিত — তাতে হাদীসটি দলিল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম যুরকানী (রহঃ) তাঁর কিতাব [শরহে মাওয়াহিব ১:৫৬, মাদবাআ আল-আমিরা সংস্করণ, কায়রো]–তে এই হাদীস বর্ণনা করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, এটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ)-এর "মুসান্নাফ" কিতাবে রয়েছে।
ইযলুনি (১২শ শতাব্দী) তাঁর কিতাব "[কাশফুল খাফা]" (খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৩১১) এবং "[আরবাঈন]" (হাদীস নং ১৯)–এ বর্ণনা করেছেন। পরে এক কিতাবে বলেন, "আমি এর ইসনাদ পাইনি", এবং তিনি ইমাম কুস্তালানীর অনুসরণ করেছেন।
দিয়ারবাকরী (হুসাইন ইবনে মুহাম্মদ, ওফাত ৯৬৬ হি.) তাঁর ১০০০ পৃষ্ঠার ইতিহাস গ্রন্থ "তারীখুল খামিস"–এ লিখেছেন:
“সমস্ত কিছুর পূর্বে আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয় নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।”
সূত্র: ১:১৯ (মু'আসসাসাত শা'বান সংস্করণ, বৈরুত)
ইমাম ইবনে হাজর হায়তামী (রহঃ) [ওফাত ৯৭৪ হি.]:
তিনি তাঁর ফতোয়ার কিতাব [ফাতাওয়া হাদীসিয়া, পৃষ্ঠা ২৪৭]–তে বলেন: “এই হাদীসটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) বর্ণনা করেছেন।” তিনি কবিতায়ও তা উল্লেখ করেছেন।
গ্রন্থ: আন-নিয়ামাতুল কুবরা আলাল আলামীন, পৃষ্ঠা ৩
মোল্লা আলী কারী (রহঃ) [ছহীবে মিরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন] [ওফাত ১০১৪ হিজরি] বলেন:
ومنه قوله اول ما خلق اللّه نورى وفى رواية روحى ومعناهما واحد فان الارواح نورانية اى اول ما خلق اللّه من الارواح روحى অর্থ: “প্রথম বস্তু যা আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন তা হলো আমার নূর, এবং অন্য বর্ণনায় এসেছে ‘রুহ’। এই দুইটার অর্থ একই, কারণ রুহ হচ্ছে নূরানী। এই হাদীসের অর্থ এটাও যে, আল্লাহ সমস্ত রূহের সৃষ্টির পূর্বে আমার রূহ সৃষ্টি করেছেন।”
সূত্র: মিরক্বাতুল মাফাতীহ
এই হাদীসের সমর্থনে বলেন:
واما نوره صلي الله عليه و سلم فهو في غاية من الظهور شرقا و غربا واول ما خلق الله نوره وسماه في كتابه نورا
অর্থ: “রাসূলুল্লাহ (সা.)–এর নূর মুবারক পূর্ব-পশ্চিমে সর্বত্র প্রকাশ পেয়েছে। আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম তাঁর নূর সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁকে কুরআনে ‘নূর’ বলে অভিহিত করেছেন।”সূত্র: আল-মওযুআতুল কাবীর, পৃষ্ঠা ৮৩।
আলী ইবনে বুরহান উদ্দিন হালাবী (রহঃ) [ওফাত ১০৪৪ হি.]:
তাঁর বিখ্যাত কিতাব [আস-সীরাহ্ আল-হালাবিয়া (১:৩১, مكتبة إسلامية, বৈরুত)]–তে এই হাদীস দলিল হিসেবে উল্লেখ করে বলেন:
“এই হাদীসই প্রমাণ করে যে সমস্ত সৃষ্টির মূল হলো রাসূলুল্লাহ (সা.)–কে সৃষ্টি, এবং আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন।”
ফাসী (মুহাম্মদ ইবনে আহমদ, ওফাত ১০৫২ হি.)
তিনি [মাতালিউল মাসাররাত, পৃষ্ঠা ২১০ ও ২২১, مطبعة التازية সংস্করণ]–এ লিখেছেন:
“এই বর্ণনাগুলো রাসূলুল্লাহ (সা.)–এর অগ্রাধিকার ও শ্রেষ্ঠত্ব (আউওয়ালিয়্যাহ্) নির্দেশ করে এবং তিনিই সকল সৃষ্টির কারণ (সাবাব) ছিলেন।”
ইসলামীল হাক্কী (রহঃ) [বিখ্যাত মুফাসসির, ওফাত ১১৩৭ হি.]
তিনি তাঁর তাফসীর "রূহুল বয়ান"–এ বলেন:
“আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম রাসূলুল্লাহ (সা.)–এর নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর অস্তিত্বের কারণেই সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে।”
এই হাদীসটি ইমাম ইউসুফ নাবহানী (রহঃ) তাঁর [জাওয়াহিরুল বিহার, পৃষ্ঠা ১১২৫]–এ দলিলস্বরূপ উল্লেখ করেছেন।
ইমাম আজলুনী (রহঃ) বলেন:
“এটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ)-এর রেওয়ায়াত, যিনি নিজ সনদে বর্ণনা করেছেন।”
সূত্র: [কাশফুল খাফা, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৩১১, হাদীস ৮২৭]
ইমাম ইয়দারুসি (রহঃ) বলেন:
“এটি ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ)-এর রেওয়ায়াত, যিনি নিজ সনদে বর্ণনা করেছেন।”
সূত্র: [তারীখ আন-নূর আস-সাফির, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৮]
ইমাম আহমদ আবেদীন শামী (রহঃ) [(১১৯৮–১২৫২ হি.)]
হানাফী মাযহাবের বিশ্ববিখ্যাত ফিকহ গ্রন্থ “ফাতাওয়া শামী”–এর প্রণেতা। তিনি এই হাদীসকে দলিলস্বরূপ গ্রহণ করেছেন।
মালিকি আল-হাসানী (মুহাম্মদ ইবনে আলাভী)
তিনি মোল্লা আলী কারী (রহঃ)–এর মিলাদ সম্পর্কিত কিতাবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ [হাশিয়াত আল-মাওরিদ আর-রাওয়ী ফি আল-মাওলিদ আন-নববী, পৃষ্ঠা ৪০]–এ বলেন:
“নূরের সাথে সম্পর্কিত জাবির (রাঃ)–এর হাদীসটির সনদ কোনো আপত্তি ছাড়াই সহীহ। তবে বিভিন্ন আলিম তা বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।
ইমাম বায়হাকী (রহঃ)–ও এটি কিছুটা পরিবর্তিত রূপে বর্ণনা করেছেন।”
পরে তিনি বলেন,
“বিভিন্ন বর্ণনাই রাসূলুল্লাহ (সা.)–এর নূর সম্পর্কিত বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করে।”
ইমাম আব্দুল গনী নাবলুসী (রহঃ) [বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ]
তিনি হাদীসটিকে সরাসরি “সহীহ” বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন:
قد خلق كل شيي من نوره صلي الله عليه و سلم كما ورد به الحديث الصحيح
অর্থ: “নিশ্চয়ই প্রতিটি বস্তুকে হুজুর পাক (সা.)–এর নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, যেমন সহীহ হাদীসে এসেছে।”
সূত্র: হাদীকায়ে নাদিয়া, দ্বিতীয় অধ্যায়, ৬০তম অনুচ্ছেদ, ২য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ৩৭৫।
ইমাম আলূসী বাগদাদী (রহঃ) [ইমামুল মুফাসসিরীন, মুফতীয়ে বাগদাদ]
তিনি এই হাদীসকে নির্ভরযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন এবং তাঁর কিতাবে লিখেছেন:
ولذا كان نوره صلي الله عليه و سلم اول المخلوقات ففي الخبر اول ما خلق الله تعالي نور نبيك ياجابر
অর্থ: “সকল মাখলুকাতের মধ্যে সর্বপ্রথম সৃষ্টি হলো, নূরে মুহাম্মাদী (সা.)। যেমন হাদীসে এসেছে, হে জাবির! আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আপনার নবী (সা.)–এর নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন।”সূত্র: রূহুল মায়ানী, খণ্ড ১৭, পৃষ্ঠা ১০৫।
ইমাম মুহাম্মদ মাহদ ইবনে আহমদ ফারসী (রহঃ)
তিনি এই হাদীসকে তাঁর কিতাবে “সহীহ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বর্ণনা করেন:
اول ما خلق الله نوره ومن نوري خلق كل شيء
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং সেখান থেকে সব কিছু সৃষ্টি করেন।”সূত্র: মাতালিউল মাসাররাত, পৃষ্ঠা ২৬৫।
আল্লামা আবুল হাসান বিন আব্দুল্লাহ আল-বিকরী (রহঃ) বলেন:
قال علي رضي الله عنه كان الله ولا شيء معه فاول ما خلق نور حبيبه قبل ان يخلق الماء والعرش والكرسي واللوح والقلم والجنة والنار والحجاب
অর্থ: “হযরত আলী (রাঃ) বলেন, একমাত্র আল্লাহ তাআলাই তখন ছিলেন, অন্য কোনো কিছু ছিল না। অতঃপর তিনি পানি, আরশ, কুরসী, লওহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম ও পর্দা ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে তাঁর হাবীব (সা.)–এর নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।”সূত্র: আল-আনওয়ার ফী মাওলিদিন নবিয়্যিল মুহাম্মাদ (সা.), পৃষ্ঠা ৫।
ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) "তাখরীজ হাদীস (শরহে মাওয়াকিফ)"–এ বলেনঃ
“আমি এই শব্দটুকু খুঁজে পাইনি।”
ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) তাঁর "খাসাইস" কিতাবে এই হাদীসকে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ)-এর বর্ণনা বলে উল্লেখ করেছেন।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
রাবীগণের নির্ভরযোগ্যতা যাচাই | ইবারতের স্ক্যান কপি সমূহ |
এরকম আরো পেইজ |