ই'তিকাফকারী ব্যক্তি শরয়ী প্রয়োজন এবং মানবীয় প্রয়োজন ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে মসজিদের বাইরে গেলে ই'তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। শরয়ী প্রয়োজন যেমন, জুমু'আর সালাতের জন্য বের হওয়া। মানবীয় প্রয়োজন যেমন, মল-মূত্র ত্যাগ করার জন্য যাওয়া। মহিলাগণ যদি ই'তিকাফের জন্য নির্দিষ্ট স্থান থেকে ঘরের অন্যত্র যায় তবে ই'তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
প্রয়োজন পূর্ণ হওয়ার পর অল্প সময় মসজিদের বাইরে থাকলেও ই'তিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। ইচ্ছাকৃতভাবে বা ভুলে বের হলেও এ হুকুম প্রযোজ্য হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
কিছুক্ষণের জন্য বের হয় সে ক্ষেত্রে ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর মতে তার ই'তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে (হিদায়া, ১ম খণ্ড ও আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
ই'তিকাফকারী ব্যক্তি রোগীর শুশ্রুষা করার জন্য মসজিদ থেকে বের হবে না। তবে কেউ যদি ই'তিকাফের মানত করার সময় রোগী শুশ্রুষা, জানাযার নামায এবং ইল্মের মজলিসে উপস্থিত হওয়ার শর্ত করে নেয়, তবে তার জন্য এ কাজগুলো জায়িয আছে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
স্ত্রী সংগম বা এর আনুসংগিক কার্যাবলী যেমন, চুম্বন, স্পর্শ, আলিংগন ইত্যাদি কাজসমূহ করা ই'তিকাফ অবস্থায় হারাম। স্ত্রী সংগমে বীর্যপাত হউক বা না হউক ই'তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যাবে। তা ইচ্ছাকৃত হোক বা ভুলবশত হোক, দিনে হউক বা রাতে হোক সর্বাবস্থায় ই'তিকাফ ভংগ হয়ে যাবে। আনুসংগিক কার্যাবলীর ক্ষেত্রে বীর্যপাত হলে ই'তিকাফ ভংগ হবে, অন্যথায় ভংগ হবে না। চিন্তা বা দৃষ্টি দেওয়ার কারণে যদি বীর্যপাত হয় বা কারো স্বপ্নদোষ হয় তবে এর দ্বারা ই'তিকাফ ভংগ হবে না (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
শুধুমাত্র বেহুশী বা পাগল হওয়াতে ই'তিকাফ ভংগ হবে না। তবে এ অবস্থায় যদি একাধিক দিবস অতিবাহিত তবে ই'তিকাফ ভংগ হয়ে যাবে (শামী, ২য় খণ্ড)।
ই'তিকাফ অবস্থায় যদি কোন মহিলার মাসিক এসে যায়, তবে তার ই'তিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। (বাদায়েউস সানায়ে, ২য় খণ্ড)।
উপরি বর্ণিত কারণসমূহের দ্বারা ই'তিকাফ ভংগ হয়ে গেলে তা পরবর্তীতে যথানিয়মে কাযা করে নিতে হবে।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৭৮) ই'তিকাফের আদাবসমূহ | (০৮০) ই'তিকাফকারীর জন্য জায়িয কাজসমূহ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |