ই'তিকাফ তিন প্রকারঃ ওয়াজিব ই'তিকাফ, সুন্নাত ই'তিকাফ ও নফল ই'তিকাফ।
ওয়াজিব ই'তিকাফঃ ই'তিকাফ ওয়াজিব হয় মানত করার দ্বারা। মানত দুই ধরনের হতে পারে। সাধারণ মানত অথবা কোন শর্তের সাথে সম্পর্কিত মানত। সাধারণ মানত যেমন, কেউ বলল, আমি অমুক তারিখে ই'তিকাফ করা মানত করলাম। শর্তের সাথে সম্পর্কিত মানত যেমন, কেউ বলল আমার উদ্দেশ্য পূরণ হলে আল্লাহর ওয়াস্তে ই'তিকাফ করব। মানতের ই'তিকাফ সহীহ্ হওয়ার জন্য রোযা রাখা শর্ত। এমন কি, কেউ যদি মানত করে যে, রোযা রাখা ব্যতীত আমি একমাস ই'তিকাফ করব তবু তার ই'তিকাফ আদায় কালে রোযা রাখতে হবে। মানত সহীহ হওয়ার জন্য মানতের কথা মুখে উচ্চারণ করা জরুরী। মনে মনে নিয়্যত করার দ্বারা মানত হয় না। এ প্রকার ই'তিকাফের হুকুম হলো, নিজের ওপর থেকে ওয়াজিব সাকিত হওয়া এবং সাওয়াব হাসিল করা (হাশিয়াতুত্ তাহতাবী ও বাহরুর রাইক, ২য় খণ্ড)।
সুন্নাত ই'তিকাফঃ রামাযানের শেষ দশকের ই'তিকাফে যা সুন্নাত মুয়াক্কাদা কিফায়া। মহল্লাবাসীর কোন একজন তা আদায় করলে অন্য সকালে দায়মুক্ত হবে। আর কেউ আদায় না করলে সকলেই তরকে সুন্নাতের জন্য দায়ী হবে। এই প্রকার ই'তিকাফের হুকুম হলো, সুন্নাতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া থেকে মুক্ত হওয়া এবং সাওয়াব হাসিল করা (হাশিয়াতুত্ তাহতাবী ও বাহরুর রাইক, ২য় খণ্ড)।
নফল ই'তিকাফঃ মানতের ই'তিকাফ এবং রামাযানের শেষ দশকের ই'তিকাফ ব্যতীত অন্য সময়ের ই'তিকাফ এ পর্যায়ের অন্তর্ভূক্ত। নফল ই'তিকাফের জন্য রোযা রাখা শর্ত নয়। সময়ের ব্যপারেও কোন সীমাবদ্ধতা নেই। দিনে বা রাত্রে যে পরিমাণ সময়ের জন্য ইচ্ছা নিয়্যত করে ই'তিকাফ করা যাবে।