উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) রামাযানের তৃতীয় দশক আগমন করলে সারা রাত জেগে থাকতেন, নিজের পরিবার পরিজনকে জাগিয়ে রাখতেন (ইবাদত বন্দেগীতে) কঠোর পরিশ্রম করতেন এবং উম্মুল মু'মিনীনগন থেকে দূরে থাকতেন (মুসলিম)।
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) রামাযানের তৃতীয় দশকে পরিশ্রম করতেন, যে রকম কঠোর পরিশ্রম অন্য সময়ে করতেন না (মুসলিম)।
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) প্রত্যেক রামাযানে দশদিন ই'তিকাফ করতেন; কিন্তু যে বছর তিনি ইন্তিকাল করেছেন, সে বছর বিশদিন ই'তিকাফ করেছেন (বুখারী)।
হযরত উবাই ইব্ন কা'ব (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) রামাযানের শেষ দশদিন ই'তিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর তিনি ই'তিকাফ করেননি, এজন্যে পরের বছর বিশদিন ই'তিকাফ করেছেন (আবু দাউদ)।
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) সর্বদা রামাযানের শেষ দশদিন ই'তিকাফ করতেন। কিন্তু এক বছর তিনি সফর করেছিলেন সে জন্যে পরের বছর বিশদিন ই'তিকাফ করেছেন (ইবন মাজা)।
হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) রামাযানের শেষ দশদিন ই'তিকাফ করতেন। বর্ণনাকারী নাফি (র.) বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রা.) আমাকে মসজিদের সেই স্থানটি দেখিয়েছেন, যেখানে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ই'তিকাফ করেছেন (ইবন মাজা)।
হযরত ইবন উমর (রা.) রাসূলুল্লাহ্ (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন ই'তিকাফ করতেন, তখন তাঁর জন্য বিছানা বিছানো হতো (আবু লুবাবা ইবন মুনযির (রা.) -এর তাওবার খুঁটির পাশে (ইবন মাজা)।
হযরত আবু সাঈদ খুদ্রী (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) তুর্কী তাবৃতে রামাযানুল মুবারকের প্রথম দশদিন ই'তিকাফ করেছেন। এরপর দ্বিতীয় দশ দিনও। এরপর তাবু থেকে মাথা বের করে বললেন, আমি এই (কাদরের) রাতের অনুসন্ধানে প্রথম দশদিন ই'তিকাফ করেছি। এরপর দ্বিতীয় দশদিনও। তার স্বপ্নে একজন ফিরিশতা এসে আমাকে বললেন যে এ রাতটি রামাযানের শেষ দশকে। কাজেই যে আমার সঙ্গে ই'তিকাফ করেছে, সে যেন শেষ দশদিনও ই'তিকাফ করে। আমাকে এ রাতটি দেখানো হয়েছিল। এবং তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। (আমি স্বপ্নে) দেখেছি যে, এ রাতের সকালে ফজরের নামাযে আমি পানি ও কাদামাটিতে সিজদা করছি। তোমরা এ রাতের অনুসন্ধান করবে শেষ দশদিনের বিজোড় রাতগুলোতে। বর্ণনাকারী বলেন, ছাদ থেকে ঐ রাতে বৃষ্টি হয়েছিল, তখন মসজিদের ছাদ গাছের ডালা দ্বারা নির্মিত ছাপড়ার ন্যায় ছিল। এতে মসজিদের ছাদ থেকে পানি টকিয়ে পড়েছিল। বর্ণনাকারী সাহাবী বলেন, (রামাযানের) একুশ তারিখ সকালে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কপাল মুবারকে আমি স্বচক্ষে কাদামাটির চিহ্ন দেখেছি (মিশকাত)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৭৩) ই'তিকাফের ফযীলত ও উপকারিতা | (০৭৫) ই'তিকাফের প্রকারভেদ ও হুকুম |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |