'ইফতার' শব্দের আভিধানিক অর্থ রোযা ভংগ করা। শরীয়াতের পরিভাষায় রোযাদার ব্যক্তি সূর্যাস্তের পর যে পানাহার করে তাকে 'ইফতার' বলা হয়। হাদীস শরীফে ইফতারের বহু ফযীলত ও বরকতের কথা বর্ণিত রয়েছে।
যেমন রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন:
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم للصائم فرحتان فرحة عند فطرة و فرحة عند لقاء رَبِّه
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন যে, রোযাদার ব্যক্তির জন্য দু'টি আনন্দ। একটি তার ইফতারের সময় অন্যটি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়
(বুখারী ও মুসলিম)
عن أبى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ثلثة لا ترد دعوتهم الصائم حين يفطر و الإمام العادل و دعوة المظلوم
হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন যে, তিন ব্যক্তি যাদের দু'আ প্রত্যাখান করা হয় না। রোযাদার যখন ইফতার করে, ন্যায়পরায়ণ শাসক এবং মাযলুমের দু'আ।
عن عمر بن العاص رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم إن للصائم عند فطرة لدعوة ما ترد
হযরত আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: রোযাদার ব্যক্তির ইফতারের সময়ের দু'আ প্রত্যাখান করা হয় না (আত্তারগীব ওয়াত তারহীব)
সালমান ইবন আমির (রা.) বলেন রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: যখন তোমাদের কেউ ইফতার করে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। কেননা এতে বরকত রয়েছে। যদি খেজুর না পায় তবে সে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে। কেননা পানি পবিত্রকারী
(আহমাদ, তিরমিযী, আবূ দাউদ, ইবন মাজা ও দারেমী)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬৫) সাহরী সম্পর্কিত মাসাইল | (০৬৭) ইফতারের সময় |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |