'সাহরী' শব্দটি আরবী 'সাহরুন' থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। রোযা রাখার উদ্দেশ্যে সুহি সাদিকের পূর্বে যা পানাহার করা হয় তাকে 'সাহরী' বলা হয়।
হাদীস শরীফে সাহরী খাওয়ার অনেক ফযীলত ও বরকতের কথা বর্ণিত রয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: তিনটি কাজে বরকত রয়েছে। মুসলমানদের জামা'আতে, সারীদ নামক খাদ্যে ও সাহরীতে তাবাণী নামক খাদ্যে। সাহরী খাওয়া মোস্তাহাব।
সাহরী খাওয়াতে বহু বরকত রয়েছে। কারণ এর দ্বারা রোযা রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং মন প্রফুল্ল থাকে। এগুলো হলো সাহরী খাওয়ার বাহ্যিক বরকত। এ অন্তর্নিহিত বরকত এই যে, ঐ সময়ে আল্লাহ্ তা'আলার বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়। এটা দু'আ কবুলের সময়। এ সময়কার দু'আ, যিকর, ইবাদত ও ইসতিগফার আল্লাহ্ তা'আলার নিকট অতি পসন্দনীয় (নব্বী শরহে মুসলিম)।
হযরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেছেন: তোমরা সাহরী খাও। কেননা সাহীতে বরকত রয়েছে (মুসলিম)।
হযরত আমর ইব্ন আস (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন: আমাদের রোযা ও আহলে কিতাব-এর (ইয়াহুদী ও নাসারাদের) রোযার মধ্যে পার্থক্য হল, সাহরী খাওয়া (বুখারী ও মুসলিম)।
হযরত ইরবায ইব্ন সারিয়া (রা.) বলেন, রামাযান মাসের কোন এক রাতে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আমাকে সাহরী খেতে ডাকলেন এবং বললেন: এসো মুবারক খানার দিকে (মিশকাত)।
'বাহরুর রায়িক' কিতাবে উল্লেখিত এক হাদীসে রয়েছে নবী করীম (সা.) বলেন: সাহরী খাওয়ার সব কাজেই বরকত রয়েছে। সুতরাং তোমরা তা পরিত্যাগ করো না।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬২) যেখানে চাঁদ কখনো দেখা যায় না সেখানে রোযার হুকুম | (০৬৪) সাহরীর সময় ও আদাব |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |