ভৌগলিক অবস্থানের বিভিন্নতার দরুন বিভিন্ন দেশে চন্দ্র উদয়ের সময়েও পার্থক্য হয়ে থাকে। একেই 'ইখতিলাফে মাতালি' বলা হয়। এ অবস্থায় কোন এক অঞ্চলের চাঁদ দেখা গেলে সারা বিশ্বের লোকদের রোযা ও ঈদ ইত্যাদির ব্যাপারে তা গৃহিত হবে কিনা এ নিয়ে পূর্ববর্তী উলামায়ে কেরামের মধ্যে কিছু মতভেদ ছিল।
একদল ফিকহবিদের বর্ণনায় রয়েছে যে, বিশ্বের কোন এক অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেলে রামাযানের রোযা ও ঈদুল ফিত্রের ক্ষেত্রে তা সর্বত্রই গ্রহণীয় হবে। এমনকি তাঁদের মতে প্রাচ্যের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা পশ্চাত্যের জন্য প্রযোজ্য হবে। অনুরূপ পশ্চাত্যের কোথাও চাঁদ দেখা গেলে তা প্রাচ্যের জন্য প্রযোজ্য হবে। যাহেরী রিওয়ায়াতে এরূপ উল্লেখ রয়েছে।
কিন্তু পরবর্তী ফকীহগণ এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন যে, কোন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলে ও তার নিকটবর্তী দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে। দূরবর্তী দেশের জন্য তা প্রযোজ্য হবে না।
মুতা'আখিরীন ফকীহগণ যাহেরী রিওয়ায়াতের ব্যাখ্যা এরূপ করেছেন যে, 'ইখতিলাফে মাতালি' গ্রহণযোগ্য নয়'।
মুতাকাদ্দিমীন উলামায়ে কিরামের এ বক্তব্যের উদ্দেশ্য হলো এই যে, 'ইখতিলাফে মাতার্লি নিকটবর্তী দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না। দূরবর্তী দেশসমূহ যেখানে চাঁদের উদয়ে এক দিনেরও পার্থক্য হয়ে থাকে সেখানে ইখতিলাফে মাতালি' মু'তাবার হবে। মুহাকিক্ক অলিমগণ এ মতের উপর 'ইজমা' ঐকমত্য রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন (বাদায়েউস সানায়ে ও তাবঈনুল হাকাইক, যায়লায়ী, বিদায়তুল মুজাতাহিদ, মা'আরিফুস্ সুনান)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫৬) চাঁদ দেখার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান | (০৫৮) সারা বিশ্বে একই দিনে রোযা রাখা ও ঈদ উদ্যাপন প্রসঙ্গে |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |