তালবিয়া মুখে উচ্চারণ করা শর্ত। শুধু মনে মনে বললে যথেষ্ট হবে না। বোবা ব্যক্তির পক্ষে শব্দ উচ্চারণ করা সম্ভব না হলেও জিব্বা নাড়াচাড়া করা শর্ত। 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ আলহামদু লিল্লাহ আল্লাহু আকবর' ইত্যাদি যিকর তালবিয়ার স্থলাভিষিক্ত হতে পারে। তবে বিনা কারণে তালবিয়া পরিত্যাগ করা মাকরূহ। তালাবিয়ার বিশেষ শব্দ যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে তা উচ্চারণ করা সুন্নাত। শর্ত নয়। ইহরাম বাঁধার সময় একবার তালবিয়া পাঠ করা ফরয। একাধিক বার পাঠ করা সুন্নাত। তিনবার পাঠ করা উত্তম। অবস্থা পরিবর্তনের সময় যেমন সকাল-সন্ধ্যায় উঠাবসা করার সময় লোকজনের সাথে সাক্ষাতের সময়, ঘুম হতে জাগ্রত হওয়ার সময়, সাওয়ারীতে আরোহন কালে এবং কোন উচু স্থানে উঠার সময় ও অবতরণের সময় তালবিয়া পাঠ করবে। ফরয নামাযের পর বেশী করে তালবিয়া পাঠ করবে। অধিক পরিমাণে তালবিয়া পাঠ করা মুস্তাহাব। অনেক মানুষ একত্রে থাকলে প্রত্যেকে পৃথক পৃথকভাবে তালবিয়া পাঠ করবে। উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করবে। কিন্তু অধিক চিৎকার করে নয়। উচ্চস্বরে তালবিয়া পাঠ করা সুন্নাত। তবে এত বেশী জোরে নয়, যদ্দরুন নিজের অথবা কোন নামাযীর কিংবা ঘুমন্ত ব্যক্তির কোন অসুবিধা হতে পারে। হরম শরীফে, মিনা, আরাফা এবং মুযদালিফায় তালবিয়া পাঠ করবে। তবে মসজিদের ভেতর বেশী জোরে পাঠ করবে না। তাওয়াফ ও সায়ী পালনের সময় তালবিয়া পাঠ করবে না। তালবিয়া পাঠের মাঝখানে কোন কথা বলবে না। তালবিয়া পাঠ রত অবস্থায় সালাম দেওয়া মাকরূহ। কেউ যদি তালবিয়া পাঠের সময় সালাম দেয় তবে তালবিয়া পাঠের মাঝখানে এর জওয়াব দেওয়া জায়িয। কিন্তু সালাম দানকারী চলে যাবে বলে আশংকা না হলে তালবিয়া সমাপ্ত করে সালামের জবাব দিবে। ১০ই যিলহজ্জ কংকর নিক্ষেপের পূর্ব মুহুর্তে তালবিয়া বন্ধ করে দিবে। উমরার মধ্যে তাওয়াফ শুরু করা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করা যায় (আলমগীরী, ১ম খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(২২৩) ইহরামের মাসাইল | (২২৫) বিবিধ মাসাইল |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |