ইহরামের জন্য গোসল করা সুন্নাত। এ গোসল পরিচ্ছন্নতার উদ্দেশ্যে করা হয়। কাজেই হায়িয ও নিফাস ওয়াসী মহিলা এবং শিশুদের জন্যও এই গোসল মুস্তাহাব। গোসল করতে না পারলে উযূ করে নিবে। অবশ্য উযূ গোসল ছাড়াও ইহরাম বাঁধা জায়িয, কিন্তু মাকরূহ। পানি না পাওয়া গেলে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করা জায়িয নয়।
ইহরামের চাদর এমন লম্বা হতে হবে যেন সহজে ডান বগলের নীচের দিক হতে পেচিয়ে বাম কাঁধের উপর ঝুলিয়ে রাখা যায়। আর লুঙ্গি এ-ই পরিমাণ হতে হবে যাতে সতর ঠিকমত আবৃত হয়। ইহরামের কাপড় সাদা হওয়া উত্তম। ইহরামের জন্য একটি কাপড়ও যথেষ্ট এবং দুই এর অধিক কাপড়ও জায়িয। ইহরামের জন্য রঙ্গিন কাপড় ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। তবে তা যেমন কুসুম এবং যাফরান দ্বারা রঞ্জিত না হয়। ইহরাম অবস্থায় কম্বল, লেপ, কাঁথা, শাল ইত্যাদি গায়ে দেওয়া জায়িয। মাকরূহ ওয়াক্ত ব্যতীত যে কোন সময় ইহরামের দুই রাক'আত নামায আদায় করা জায়িয। যদি ফরয নামাযের পর ইরামের নিয়্যত করা হয় তবে এ নামাযই ইহরামের দুই রাক'আত নামাযের জন্য যথেষ্ট হবে। অবশ্য স্বতন্ত্র দুই রাক'আত নামায আদায় করা উত্তম। নামায ছাড়াও ইহরাম জায়িয। কিন্তু মাকরূহ। অবশ্য মাকরূহ ওয়াক্তে ইহরাম বাঁধলে বিনা নামায়ে ইহরাম বাঁধা মাকরূহ নয়। হায়িয ও নিফাসওয়ালী মহিলাগণ উযূ গোসল করে কিবলামূখী হয়ে বসে ইহরামের নিয়তে তালবিয়া পাঠ করবে। নামায পড়বে না। পুরুষগণ ইহরামের উদ্দেশ্যে যে নামায আদায় করা হয় তা অনাবৃত্ত মাথায় আদায় করতে হবে। যতদিন ইহরাম থাকবে ততদিন পর্যন্ত যাবতীয় নামায অনাবৃত মাথায়ই আদায় করতে হবে (আলমগীরী, ১ম খণ্ড ও শামী ২য় খণ্ড)।