ইহরামের নিয়্যত মনে মনে করা জরুরী, মুখে উচ্চারণ করে নিয়্যত করা উত্তম। যে কাজের জন্য ইহরাম বাঁধবে মনে মনে তার নিয়্যত করবে। যেমন আমি ইফরাদ, কিরান বা তামাত্তু হজ্জের ইহরাম বাঁধলাম। যদি কেউ মনে মনে ইফরাদের নিয়্যত করে কিন্তু মুখে কিরান বা তামাতুর কথা বের হয়ে যায় তবে অন্তরের কথাই ধর্তব্য হবে। নিয়্যত ও তালবিয়া একত্রে হওয়া শর্ত। কেউ যদি শুধু ইহরাম বাঁধার নিয়্যত করে এবং হজ্জ অথবা উমরা কোন কিছুর কথাই উল্লেখ না করে তবুও তার ইহরাম সহীহ হবে। তবে ব্যক্তি হজ্জ অথবা উমরার কাজ শুরু করা পূর্বে এই ইহরামকে হজ্জ অথবা উমরার জন্য নির্ধারিত করে নিতে হবে।
যদি ফরয বা নফল হজ্জের কথা নির্দিষ্ট না করে শুধু হজ্জের ইহরাম বাঁধে তবে তার উপর হজ্জ ফরয হয়ে থাকলে এই ইহরাম ফরয হজ্জের ইহরাম বলে গণ্য হবে। আর যদি মানত নফল অথবা অন্য কারো পক্ষ হতে বদলী হজ্জের নিয়্যত করে থাকে তবে যা নিয়্যত করেছে তাই হবে। যদি কেউ ইহরাম বাঁধার পর কিসের জন্য ইহরাম বেঁধেছিল তা ভূলে যায় অথবা এ ব্যাপারে সন্দেহ হয় তবে তার উপর হজ্জ ও উমরা উভয়ই ওয়াজিব হবে। যদি কেউ বলদী হজ্জ আদায় করে তবে যার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করছে তার পক্ষ হতে হজ্জ আদায় করার নিয়্যত করবে এবং মুখে উচ্চারণ করে বলবে, আমি অমুকের পক্ষে হজ্জের ইহরাম বাঁধছি (আলমগীরী ১ম খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(২২২) ইহরামের অবস্থায় বিবাহ করা ও বিবাহ করান | (২২৪) তালাবিয়ার মাসাইল |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |