رِجَالٌ لَّا تُلْهِيْهِمْ تِجَارَةٌ وَلَا بَيْعٌ عَنْ ذِكْرِ اللَّهِ وَ إِقَامِ الصَّلوةِ وَإِيتَاءِ الزَّكُوةِ يَخَافُوْنَ يَوْمًا تَتَقَلَّبُ فِيْهِ الْقُلُوْبُ وَالْأَبْصَارُ
(সেই সব লোক, যাহাদিগকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ হইতে এবং সালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান হইতে বিরত রাখে না, তাহারা ভয় করে সেই দিনকে যেই দিন অনেক অন্তর ও দৃষ্টি বিপর্যস্ত হইয়া পড়িবে)
সুরা নূর, আয়াত ৩৭
'জিকরিল্লাহ্' (আল্লাহ্ স্মরণ) অর্থ এখানে নামাজ পাঠের উদ্দেশ্যে মসজিদে গমন। সালেম সূত্রে বাগবী লিখেছেন, হজরত ইবনে ওমর রা. বলেছেন, একবার আমি ছিলাম বাজারে। এমন সময় নামাজের ইকামত শুরু হলো। বাজারের লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে শামিল হলো নামাজের জামাতে। তাদের সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছে এই আয়াত।
অথবা এখানে 'জিকরিল্লাহ্' অর্থ আল্লাহর সার্বক্ষণিক জিকির। এভাবে 'জিকির' শব্দটি হবে ব্যাপক অর্থবোধক। যাঁরা সারাক্ষণ আল্লাহ্ ইবাদতে মগ্ন থাকেন, তাঁরা সকলেই হবেন এর অন্তর্ভুক্ত। অন্তর্ভুক্ত হবেন তাঁরাও, যাঁরা জাগতিক কাজকর্ম পরিহার করেন না বটে, কিন্তু যাঁদের অন্তর থাকে সতত স্মরণমুখর। ব্যবসা-বাণিজ্য ও পার্থিব দায়িত্ব যাঁদের অন্তরকে আল্লাহ্ স্মরণচ্যুত করতে পারে না। অর্থাৎ তাঁদের বাহির পৃথিবীর প্রয়োজনসমূহের সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু অন্তর সংযুক্ত আল্লাহর জিকিরের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, এই আয়াতের প্রতি ইঙ্গিত করেই ইমামুত্ তরিকত হজরত বাহাউদ্দিন নকশবন্দ র. বলেছেন, এই তরিকার (নকশবন্দিয়া) বিশেষত্ব এই যে, একই সঙ্গে মানুষের 'জাহের' দুনিয়ার সঙ্গে এবং বাতেন আল্লাহ্পাকের স্মরণে মশগুল থাকে।