হাবীবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বচক্ষে আল্লাহকে দেখেছেন। আল্লাহর দীদার বা দর্শন সম্ভব কিনা এবং সম্ভব হলে কিভাবে এবং কোথায় সম্ভব? এ প্রশ্নটি মি'রাজের সাথে সম্পৃক্ত বলে এ সম্পর্কে সামান্য আলোকপাত করতে চাই।
প্রথমতঃ নীতিগতভাবে আল্লাহর দর্শন লাভ করা সম্ভব। নবী করিম (দঃ) মি'রাজ গমন করে জাগ্রত অবস্থায় স্বচক্ষে আল্লাহর দীদার লাভ করেছিলেন। মাথার চক্ষু মোবারক দিয়ে এবং হৃদয় দিয়েও তিনি আল্লাহকে দেখেছিলেন। নবী করিম (দঃ)-এর চোখ এবং কলব উভয়ের দর্শনই সমান গুরুত্ববহ। আল্লাহপাক এরশাদ করেন-"তিনি চোখে যা দেখেছেন-হৃদয় তা অস্বীকার করেনি"।
হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহর নূরের তাজাল্লী এই চোখে সহ্য করতে পারেননি বলেই বেহুঁশ হয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। বুঝা গেল- সহ্য করতে পারলে তিনি দেখতেন। দুনিয়ার চোখে আল্লাহকে দেখার আরয করার কারণে আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন لن ترانی অর্থাৎ- এই চোখে কখনও দেখতে পাবে না।
কিন্তু নবী করিম (দঃ) কে সচক্ষে দর্শন দিয়েছেন মি'রাজে। একবার নয়- দশবার। আার ৩৩ বার দর্শন দিয়েছেন দুনিয়াতে স্বপ্নে। (বোখারীর হাশিয়া- আহম্মদ আলী সাহারানপুরী- নামায অধ্যায় দ্রষ্টব্য)। মহিউদ্দিন ইবনে আরবী (রাঃ) স্বীয় তাফসীরে উল্লেখ করেছেন যে, নবী করিম (দঃ)-এর মি'রাজ হয়েছিল ৩৪ বার। তন্মধ্যে ১ বার জাগ্রত অবস্থায় সশরীরে ও সচক্ষে এবং ৩৩ বার হয়েছিল স্বপ্নযোগে এবং রুহানীভাবে। সে সময় তিনি মদিনায় বিবি আয়েশা (রাঃ)-এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। ঐ স্বপ্নের মি'রাজের ব্যাপারেই হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) বলেছেন যে, "আমি মি'রাজের রাত্রে নবী করিম (দঃ)-এর দেহ মোবারককে আমার বিছানা হতে হারিয়ে ফেলিনি- বরং তিনি আমার বিছানায় শুয়েই মি'রাজ করেছেন"-অর্থাৎ স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন। বাতিলপন্থীরা এই হাদীসকে মক্কার মি'রাজের সাথে একত্রিত করে বলছে- হুযুরের সশরীরে মি'রাজ হয়নি। হাদীসের প্রেক্ষাপট জানা না থাকলে এরকমই হয়ে থাকে।
আল্লাহ্ তায়ালা মদিনায় ৩৩বার রূহানী সাক্ষাৎ দিয়েছেন নবীজীর সাথে। সশরীরের মি'রাজ হয়েছিল মক্কা শরীফ থেকে, যে সময় হযরত আয়েশা (রাঃ) স্বামীগৃহে গমনই করেননি। হযরত আয়েশা (রাঃ) কর্তৃক হুযুর (দঃ)-এর সশরীরে মি'রাজ গমনের অস্বীকৃতিসূচক বর্ণনা বা হাদীসখানা মদিনায় সংঘটিত রুহানী মি'রাজের সাথে সম্পর্কিত। মক্কা হতে মি'রাজে গমনের সাথে এর কোনই সম্পর্ক নেই। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সলফে সালেহীন ও অধিকাংশ সাহাবায়ে কেরামের মত।
আউলিয়ায়ে কেরামগণ স্বপ্নে বা মোশাহাদার মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছেন বলে আকায়েদের কিতাবে উল্লেখ আছে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ), ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) এবং ক্বেরাতের সপ্ত ইমামের অন্যতম ইমাম হযরত ক্বারী হামযা (রঃ) প্রমুখ অলীগণের আল্লাহ দর্শন এই শ্রেণীভূক্ত। আর পরকালে সকল মোমেনই আল্লাহকে চাক্ষুস দেখতে পাবে বলে ২৩ জন সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত মোতাওয়াতের হাদীসে প্রমাণ পাওয়া যায় (নিবরাছ)।
কিন্তু কিছু কিছু জ্ঞানপাপী আলেম- যারা নিজেকে বড় আলেম বা শাইখুল হাদীস বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে তারা নবী করিম (দঃ)-এর স্বপ্নে আল্লাহর দীদার লাভ করাকে অবাস্তব বলে এক ফতোয়ায় উল্লেখ করেছে। "তারা এও দাবী করেছে যে, কোন সাহাবী- এমনকি নবী করিম (দঃ)ও স্বপ্নে আল্লাহর দীদার লাভ করার দাবী করেননি। বাস্তবে বা স্বপ্নে আল্লাহর দীদারের ঘটনা নাকি গাজাখুরী কথা। হযরত বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ) রচিত সিররুল আসরার কিতাবে বর্ণিত এ সম্পর্কিত হাদীসকে এই পাপীরা সনদবিহীন হাদীস বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছিল"।
অধম লেখক (জলিল) ১৯৯৩ইং সনে ২৭ পৃষ্ঠা ব্যাপী এক ফতোয়ায় তাঁদের দাবীকে ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছি- তাদেরই দেওবন্দ মাদ্রাসার কিতার তালিকুছ ছবিহ্ ও ফয়যুল বারী-শরহে বোখারী দিয়ে এবং হাটহাজারী থেকে প্রকাশিত তাদের কিতাব তানজিমুল আশতাত ফি হাল্লিল মিশকাত থেকে সনদসহ হাদীস পেশ করে। এছাড়াও মোল্লা আলী ক্বারীর মিরকাত গ্রন্থের মধ্যেও উক্ত হাদীসখানা সনদসহ লিপিবদ্ধ আছে। নবী করিম (দঃ) উক্ত হাদীসে এরশাদ করেছেন, "আমি আমার প্রভূ আল্লাহতায়ালাকে গোফবিহীন যুবকের ন্যায় (নিখুঁত) দেখেছি”। এই হাদীসখানা মোতাশাবিহি বা দুর্বোধ্য- যার প্রকৃত অবস্থা রহস্যাবৃত। কেননা, হানাফী মাযহাব মতে আল্লাহর কোন আকৃতি নেই। তাই বলে এ হাদীস সনদ বিহীন নয়। আমার উক্ত ফতোয়ায় সনদ উল্লেখ করেছি।
মোদ্দাকথা হলো- আল্লাহতায়ালা বিভিন্ন অবস্থায় নিজেকে প্রকাশ করে থাকেন। হাশরের ময়দানে মুমিনগণ দেখবে রহমানী অবস্থায়, আর কাফেররা দেখবে গযবী ও কাহহারী অবস্থায়। নবী করিম (দঃ) ছাড়া অন্য কোন সৃষ্টি আল্লাহকে প্রত্যক্ষভাবে সচক্ষে দেখেনি। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল হযরত ইবনে আব্বাছ (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে জোর দিয়ে বলেছেন যে, "নবী করিম (দঃ) আল্লাহ তায়ালাকে সচক্ষে দেখেছেন"। এভাবে বার বার বলতে বলতে তার (ইবনে হাম্বল) নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে এসেছিল।
তাফসীরে রুহুল বয়ানে উল্লেখ আছে, হিজরতের সাত মাস পূর্বে মি'রাজ সংঘটিত হয়েছিল। নবী করিম (দঃ) কে আল্লাহ তায়ালা যে-সব এলেম দান করেছেন, তা উর্দ্ধজগতের যাবতীয় গায়েবী বিষয়ের এলেমের সমষ্টি বা ইলমে মুহীত। আরবী এবারত দেখুন:
صار عليه عليه السلام محيطا لِجَمِيعِ الْمَعْلُومَاتِ الْغَيْبِيَّةِ الْمَلَكُونِيةِ
অর্থ-"হুযুর (দঃ)-এর এলেম উর্দ্ধজগতের যাবতীয় গায়েবী বিষয়ের বেষ্টনকারী"।
সুতরাং নবী করিম (দঃ)-এর "ইলমে গায়েব মুহীত" অস্বীকারকারীদের দাবী মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ওহাবী সম্প্রদায় ইলমে গায়েব মৃহীত অস্বীকার করে।
ইমামে রাব্বানী (রহঃ) বলেছেন:
আল্লাহ তায়ালা তাঁর খাছ ইলমে গায়ব বিশেষ বিশেষ নবীগণকে দান করেছেন।
(মকতুব নং ৩১০ প্রথম খন্ড)
আল্লাহর খাছ এলেম পাঁচটি। যথাঃ (১) কিয়ামতের বিষয় (২) বৃষ্টি বর্ষন (৩) মাতৃগর্ভের সন্তান ছেলে-না মেয়ে (৪) আগামীদিনের রিযিক (৫) কোথায় কে মৃত্যু বরণ করবে। এগুলোর ইলম বিশেষ বিশেষ নবীকে দান করেছেন।
(মকতুবাত শরীফ প্রথমখন্ড মকতুব নং ৩১০)
বুঝা যাচ্ছে-পঞ্চ গায়েবের এলেমও আল্লাহপাক তাঁকে দান করেছেন।
মি'রাজের রাত্রিতে আল্লাহ তায়ালা নবী করিম (দঃ) কে যেভাবে সম্মানিত করেছেন, তাতেই বুঝা যায়- তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, অতিমানব এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী। কিন্তু জনৈক দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মওদুদীর মতবাদ গ্রহণ করে নবী করিম (দঃ) কে আল্লাহর 'দাস' বলে বিভিন্ন মাহফিলে তাফসীরের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সে বলতে চায়- عبده শব্দের অর্থ নাকি আল্লাহর দাস। নাউযুবিল্লাহ! আমি বলতে চাই- তার দাবী অনুযায়ী-দাসের জন্য কি এত অভ্যর্থনা ও এত শাহী এন্তেজাম করা হয়? দাস হলো নিকৃষ্ট শ্রেণীর লোক। হিন্দুদের মধ্যে দাশ হলো চতুর্থ শ্রেণীর বা সর্বনিম্ন শ্রেণীর শুদ্র জাত। عَبْدَه শব্দটি সাতাইশ অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে- "যার মাধ্যমে আল্লাহর পরিচয় হয় এবং যার জন্য স্বয়ং আল্লাহ প্রতীক্ষমান"।
আল্লামা ইকবাল عَبْدُه শব্দটির তাৎপর্য্য সুন্দরভাবে তার কাব্যে ফুটিয়ে তুলেছেন এভাবে-
عبد دیگر عبده چیزی دیگر + او سراپا انتظار این منتظر
অর্থ-'আবদ' এক জিনিস, আর 'আবদুহু' অন্য জিনিস। আব্দ অর্থ আল্লাহর জন্য এন্তেজারকারী এবং আবদুহু অর্থ- যার জন্য স্বয়ং আল্লাহ্ এন্তেজারী করেন।
যাক-মি'রাজ থেকে নবী করিম (দঃ) ফিরে এসে দেখতে পেলেন-বিছানা এখনও গরম রয়েছে। ভোরে তিনি কাবাগৃহে তশরীফ নিয়ে সকলের কাছে এ ঘটনা বললেন। আবু জাহল প্রমুখ কোরাইশ দলপতিরা একথা শুনে পরীক্ষার ছলে বাইতুল মোকাদ্দাসের দরজা-জানালা ইত্যাদির বিবরণ জান্তে চাইল। তারা জান্ত যে, নবী করিম (দঃ) কোনদিন বাইল মোকাদ্দাস যান নি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সাথে সাথে জিব্রাইলের মারফতে বাইতুল মোকাদ্দাসের পূর্ণ ছবি তাঁর চোখের সামনে তুলে ধরলেন- যেন বর্ণনা দিতে হুযুরের তকলীফ না হয়। নবী করিম (দঃ) দেখে দেখে সব বলে দিলেন। এতেও তারা ক্ষান্ত হলনা। পুনরায় জিজ্ঞেস করলো- আপনি কি আমাদের কোন বাণিজ্য কাফেলা দেখেছেন? নবী করিম (দঃ) বললেন- "হাঁ, তারা মক্কার অতি নিকটে পৌঁছেছে এবং বুধবার সূর্য উঠার পূর্বেই তারা মক্কায় প্রবেশ করবে”। (বেদায়া)
আবু জাহল প্রমুখ ঐদিন খুব ভোরে ঘরের ছাদে উঠে কাফেলার আগমন পরীক্ষা করতে লাগলো। এদিকে সূর্য উঠে উঠে অবস্থা-অথচ কাফেলা এখনও দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না। আবু জাহল বললো- এবার পরীক্ষা হয়ে গেছে- নবীর মি'রাজ মিথ্যা। কেননা, তিনি বলেছেন- বুধবার সূর্য উঠার পূর্বে কাফেলা মক্কায় প্রবেশ করবে- অথচ আমরা আমাদের দৃষ্টিপথে কাফেলার কোন চিহ্নই দেখছিনা। আল্লাহ তায়ালা নবী করিম (দঃ)-এর কথা ও সম্মান ঠিক রাখার জন্য সেদিন রাত্রিকে আরও দীর্ঘায়িত করে দিলেন-সূর্যের গতি থামিয়ে দিয়ে। পরে দেখা গেল, সূর্য উঠার পূর্বেই কাফেলা মক্কায় পৌঁছে গেছে। সুবহানাল্লাহ! (বেদয়া নেহায়া)।
এভাবে আল্লাহ তায়ালা নবী করিম (দঃ)-এর মি'রাজের ঘটনা সত্য প্রমাণিত করলেন। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। আবু জাহল নবীজীর মি'রাজ গমনকে অসম্ভব বলে প্রমাণ করার জন্য হৈ চৈ শুরু করে দিল। সে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) কে বাড়ী হতে আসতে দেখে মি'রাজ বিষয়ে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করলো। তার কথা শুনে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন-একথা কে বলেছেন? আবু জাহল উপহাস করে বললো, কে আর বলবে? তুমি যাঁর পিছনে এতদিন ঘুরছো, তিনি ছাড়া এমন অসম্ভব কথা আর কে বলতে পারে? তখন আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) বললেন- "নবী করিম (দঃ) বলে থাকলে সত্যই বলেছেন"। এ কথা শুনে আবু জাহল দমে গেল। আবু বকর (রাঃ) নবীজীর খেদমতে গিয়ে মি'রাজ ঘটনার প্রকৃত অবস্থা জানতে চাইলেন। নবী করিম (দঃ) ঘটনা স্বীকার করে এরশাদ করলেন-তুমি কিভাবে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে? আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) বললেন- এটা বিশ্বাস করা তো অতি সহজ। এর চেয়ে কঠিন বিষয় ছিল আল্লাহকে না দেখে বিশ্বাস করা এখন তাঁর কাছে যাওয়া তো অতি সহজ ব্যাপার। আবু বকর (রাঃ)-এর উত্তর শুনে নবী করিম (দঃ) এত প্রীত হলেন যে, 'সিদ্দিকে আকবর' খেতাব দিয়ে তাঁকে ভূষিত করলেন। নবী করিম (দঃ)-এর সব কথা এভাবে বিশ্বাস করা সিদ্দিনেরই পরিচায়ক।
সেযুগে বিজ্ঞানের জ্ঞান এত প্রসারিত ছিলনা। তাই তারা সময়ের সংকোচন এবং স্থানের সংকোচন সম্পর্কে ছিল সন্দিহান। গতিবেগ সম্পর্কেও তখনকার দিনে ধারনা ছিলনা। বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এবং চাঁদের দেশে মানুষের গমনের ফলে মি'রাজের ঘটনা সহজেই অনুধাবন করা যায়। আল্লাহর অসীম কুদরতের কোন সীমা নেই। তিনি আপন কুদরতে এবং নিজ ব্যবস্থাপনায় নবী করিম (দঃ) কে উর্দ্ধজগতে এবং লা-মাকানে নিয়ে তাঁর কুদরতের নিদর্শনাবলী, তাঁর যাত ও সিফাত দর্শন এবং তাঁর গোপন রহস্যরাজী সম্পর্কে অবহিত করেছেন- ঈমানদারদের জন্য নবীজীর কথাই সত্যতার মূলভিত্তি। এটাই মুমিনদের জন্য যথেষ্ঠ।
"আল্লাহ সর্ববিষয়ে আপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সর্বশক্তিমান"
(ছুরা বাক্বারা)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪৫) মি'রাজ হতে ষষ্ঠ আকাশে প্রত্যাবর্তন ও পুনঃ গমন | (০৪৭) হুযুর (দঃ)-এর দেহতত্ত্ব |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |