মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সাথে নবী করিম (দঃ)-এর কি কি কথোপকথন হয়েছিল, তা কোরআনে গোপন রাখা হয়েছে। শুধু ইরশাদ হয়েছেঃ
فاوحى إلى عبده ما أوحى
অর্থ-'যা গোপনে বলার- আল্লাহ তায়ালা তা আপন প্রিয় বান্দার কাছে গোপনেই বলে দিয়েছেন'।
নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেছেন:
أوتيت العلوم وأمرت بكتمان بعضها
অর্থ-"আমাকে অনেক প্রকারের গুপ্ত-সুপ্ত এলেম দান করা হয়েছে এবং সাথে
সাথে ঐ এলেমের কোন কোন বিষয় গোপন রাখতেও আমাকে নির্দেশ করা হয়েছে"।
কাসাসুল আম্বিয়া নামক উর্দু কিতাবে নব্বই হাজার কালামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ত্রিশ হাজার কালাম হাদীসের আকারে সকলের জন্য এবং ত্রিশ হাজার কালাম খাছ খাছ লোকদের নিকট প্রকাশ করার জন্য এবং অবশিষ্ট ত্রিশ হাজার সম্পূর্ণ নিজের কাছে গোপন রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। (তাফসীরে ছাভী দেখুন সূরা নিছা-১১৩ আয়াত)
তাফসীরে রুহুল বয়ানে বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবী করিম (দঃ) এক পর্যায়ে আল্লাহর দরবারে আরয করেছিলেন- "আমার উম্মতকে সর্বশেষে এবং কিয়ামতের নিকটবর্তী করে কেন পাঠান হলো এবং তাদের হায়াত পূর্বের তুলনায় কম রাখা হলো কেন"? উত্তরে আল্লাহ তায়ালা বলেছিলেন, "আপনার উম্মতগণ যেন গুনাহ্ করার সময় কম পায়, সেজন্য তাদের হায়াত সংকীর্ণ করেছি এবং আপনার উম্মত যেন কম সময় কবরে থাকে- তাই তাদেরকে কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে সর্বশেষে প্রেরণ করেছি”। সুবহানাল্লাহ! এই সময়ের সদ্ব্যবহার করা প্রত্যেক জ্ঞানী লোকেরই উচিত। নবীজীর উম্মত হওয়ার কারণেই আমাদেরকে এ সুযোগ দেয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪১) লা মাকানের উদ্দেশ্যে রওনা | (০৪৩) প্রত্যক্ষ দর্শন |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |