১. মুহাম্মদ ইব্ন ইস্মাঈলের বংশধর থেকে একজন মনোনীত মাসূম ইমাম থাকা অত্যাবশ্যক।
২. ইসমাঈলীদের মতে কুরআনের প্রত্যেকটি আয়াত ও শব্দের দ্বিবিধ তাৎপর্য রয়েছে- একটি প্রকাশ্য অপরটি গোপনীয়। কেননা প্রতিটি প্রকাশমান বস্তুর নমূনা রয়েছে অদৃশ্য জগতে।
৩. যামানার ইমাম সম্বন্ধে অবগত না হয়ে যে মারা যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহেলী মৃত্যু।
৪. ইসমাঈলীরা স্বীয় ইমামের প্রতি এমন কতিপয় সিফাত আরোপ করেন, যা আল্লাহ্ তা'আলার সিফাতের সাথে সামঞ্জস্য রাখে। কেবলমাত্র ইমামই ইলমে বাতিন সম্বন্ধে পরিজ্ঞাত।
৫. ইসমাঈলীরা বিপদ ও অত্যাচারের সম্ভাবনা দেখা দিলে তাইয়া ও গোপন নীতি অনুসরণে বিশ্বাসী। জীবনের উপর যেখানে হামলা হওয়ার আশংকা দেখা দেয় সেখানে তারা নিজেদের মতামত গোপন করে শাসকের মতামত বাহ্যত মেনে নেয়।
৬. তাদের মতে ধর্ম হল মনের ব্যাপার। বাহ্যিক অনুষ্ঠান বা অনুশীলনের মধ্যে ধর্ম নিহিত নেই। কাজেই উৎকর্ষ সাধন করাই উত্তম।
৭. তারা হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে শেষ নবী বলে স্বীকার করে না, তাদের মতে ইসমাঈল ইব্ন জাফর সাদিক শেষ নবী ও ইমাম।
৮. যমীন কখনও প্রকাশ্য কিংবা অপ্রকাশ্য ইমাম থেকে খালি থাকে না।
৯. ইসমাঈলী সম্প্রদায় তানাসুখে বিশ্বাসী। ইমাম তাদের মতে সকল নবী পূর্ববর্তী ইমামগণের ওয়ারিস।
১০. ইসমাঈলীরা আল্লাহ্ তা'আ'লার যাবতীয় সিফাত অস্বীকার করে।
১১. ইস্মাঈলীদের কাছে সাত সংখ্যাটি বিশেষ আধ্যাত্মিক তাৎপর্য বহন করে। তাদের মতে, এ সংখ্যাটির নিগুঢ় একটি অর্থ রয়েছে। (الموسوعة الميسرة في الأديان والمذاهب المعاصرة পৃঃ ৪৫)
এছাড়া তারা আরও অনেক ভ্রান্ত আকীদা পোষণ করে। যেমন, কুরআন প্রসংগে ইসমাঈলিয়া গাইডে বলা হয়েছে কুরআন সর্বোমোট ৪০ পারা তার মধ্যে ৩০ পারা মানুষের ঘরে, বাকী ১০ পারা ইমামের ঘরে। এ দশ পারা কুরআনই ইমাম সম্পর্কিত। ইসমাইলিয়া সম্প্রদায় অযু করে না। তারা বলে, তাদের অন্তর সব সময় অযু অবস্থায় থাকে। বিয়ে ঠিক হলে তারা খাতনা করে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পরিবর্তে তারা তাদের জামাতখানায় গিয়ে তিনবার দু'আ করে। তাদের মতে এটা ফরয। রোযাকে তারা ফরয মনে করে না। তাদের মতে সংযম হল চোখ, কান ও জবানের। রোযা খাওয়া দাওয়া বন্ধের মধ্যে নয়। তারা যাকাত দেয় না। তবে তাদের আয়ের সাড়ে বারোভাগ আগাখানকে খাজনা দিতে হয়, এটাই যাকাত।