الإسماعيلية فرقة باطنة انتسبت إلى الأمام إسماعيل بن جعفر الصادق ظاهرها التشيع لأهل البيت وحقيقتها هدم عقائد الإسلام تشعيت فرقها وافتدت عبر الزمان حتى وقتنا الحاضر
ইসমাঈলী একটি বাতেনী সম্প্রদায়। এরা ইমাম ইসমাঈল ইব্ন জাফর সাদিকের সাথে নিজেদেরকে সম্পর্কিত করে। এ দলটি আহলে বাইতের সহমর্মীতা প্রকাশ করে। মূলত ইসলামের মৌলিক আকীদা সমুহকে ধ্বংসের করাই এদের উদ্দেশ্য এ সম্প্রদায়ের শাখা-প্রশাখা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে এবং কালক্রমে এ দল বিস্তার লাভ করে, বর্তমান সময়ে উপনীত হয়েছে। (إسلامي مذاهب ৭৮-৭৯ পৃষ্ঠা)
মূলত ইসমাঈলীগণ ইমামিয়া সম্প্রদায়েরই একটি শাখা। এরা ইসমাঈল ইব্ন জাফর -এর দিকে সম্পর্কযুক্ত। এ সম্প্রদায়ের লোক ইমাম নির্দ্ধারণের ক্ষেত্রে ইমাম জাফর (র.) সাদিক পর্যন্ত ইস্স্না আশারিয়ার সাথে ঐক্যমত। তবে ইমাম জাফর সাদিকের পর ইমাম নির্বাচনের ব্যাপারে দু'দলের মধ্যে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। ইস্স্না আশারিয়া তাঁর মৃত্যুর পর তার দ্বিতীয়পুত্র মূসা পক্ষান্তরে ইসমাঈলী সম্প্রদায় ইমাম জাফর সাদিকের ছেলে ইসমাঈলকেইমাম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তাদের মতে ইমাম জাফর সাদিকের পরে তাঁর ছেলে ইস্মাঈল স্বীয় পিতার মনোনয়ন হিসেবে ইমাম বিবেচিত হন। যদিও ইসমাঈল পিতার মৃত্যুর পূর্বেই ইন্তিকাল করেন। ইস্মাঈলের পর ইমামতের দায়িত্ব মুহাম্মদ মামের উপর বর্তায়। তিনি তাদের কথিত গুপ্ত ইমামের প্রথম ইমাম ছিলেন। মুহাম্মদ মাভূমের পর জাফর মোসাদ্দিক -এর ছেলে মুহাম্মদ হাবীব ইমাম নিযুক্ত হন। তাদের মতে তিনিই শেষ গুপ্ত ইমাম ছিলেন।
অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় শী'আদের এ দলটিও ইরাকের যমীনে বিস্তৃতি লাভ করে। তারা এখানে অত্যাচারিত ও নির্যাতিত হয়ে পারস্য খোরাসান এবং পাক ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে আশ্রয় নেয়। এ সকল দেশে অবস্থান কালে পারিপার্শ্বিক আকীদায় অনুপ্রাণীত হয়ে বিভিন্ন খেয়ালের লোক তৈয়ার হয় এবং স্বীয় উদ্দেশ্য চরিতার্থে ধর্মের নামে বিভিন্ন আকীদা পোষণ করে। এ কারণে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক ইসমাঈলী নামে পরিচয় লাভ করে। এ সময় কেউ কেউ ইসলামের মৌলিক অনুশাসন ছেড়ে ইসলাম হতে বের হয়ে যায়। (إسلامي مذاهب ৭৮-৭৯ পৃষ্ঠা)
ইমাম ইসমাঈলের সাথে যুক্ত হওয়ায় এ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ইসমাঈলী বলা হয়। এবং গুপ্ত ইমামের আকীদা পোষণ করার কারণে এদেরকে বাতেনিয়াও বলা হয়। ইসমাঈলী দল বাতেনিয়া নামে আখ্যায়িত হওয়ার কারণ নিম্নে প্রদত্ত হলঃ
এ ছাড়া এ সম্প্রদায়ের লোকদেরকে ধর্মত্যাগীও বলা হয়। কারণ তাদের মতবাদে প্রচলিত ধর্মমত ত্যাগের উপাদান বিদ্যমান। তাদের মতবাদের অনেকগুলো প্রাচীন এবং অনেকগুলো নবীন। সাতজন ইমামে বিশ্বাসী বলে শী'আদের এ দলকে সাবইয়াও বলা হয়ে থাকে।
সুতরাং এ সম্প্রদায়ের লোক ইরাকে বাতেনীয়া, কারামাতিয়া এবং মাযদাকিয়া নামে অভিহিত হয়। আর খোরাসানে এরা তালিমিয়া এবং মোলহিদা নামে আখ্যায়িত হয়। (الملل والنحل ১ম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৯২)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪২) বাহায়ী মতবাদের অসারতা | (০৪৪) ইসমাঈলীদের মতবাদ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |