১. শী'আদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি হচ্ছে আবদুল্লাহ্ ইব্ন সাবা عبد الله بن سباء সে ছিল ইয়ামানী ইয়াহুদী। বাহ্যিকভাবে সে নিজেকে মুসলমান বলে বলে প্রকাশ করত এবং মুসলমানদের মধ্যে ইয়াহুদী চিন্তাধারা সবিস্তারে প্রসার ঘটাত। সে বলত হযরত মূসা (আ.)-এর 'ওসী' ছিলেন ইউসা ইব্ নূন। অনুরূপভাবে ইসলামী ধর্মমতে মুহম্মদ (সা.) -এর 'ওসী' হলেন আলী (রা.)।
২. মনসুর আহমাদ ইব্ন আবু তালিব আত্ তাবরাসী منصور أحمد بن أبي طالب الطبرسی তিনি ৫৮৮ হিজরী সনে ইন্তিকাল করেন। তাঁর লিখিত গ্রন্থ 'কিতাবুল ইহতিজাজ' (کتاب الاحتجاج) ১৩০২ হিজরীতে ইরানে প্রকাশিত হয়।
৩. আল কুলাইনী তাঁর লিখিত গ্রন্থ 'কিতাবুল কাফী' ১২৭৮ হিজরী সনে ইরানে প্রকাশিত হয়। এ কিতাবখানি শী'আদের নিকট বুখারী শরীফের মর্যাদায় স্থান পেয়েছে। আর এ কিতাব খানিতে ১৬১৯৯ টি হাদীস রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪. আলহাজ্জ মীর্যা হুসাইন ইবন মুহাম্মদ তাকী আন-নূরী আত্-তাবরাসী। তিনি ১২০ হিজরী সনে ইস্তিকাল করেন। তিনি 'ফাসলুল খিতাব ফী ইসবাতে তাহরীফে কিতাবে রাব্বিল আরবাব فصل الخطاب في إثبات تحريف كتاب ربالأرباب কিতাবের লেখক। উক্ত কিতাবে তিনি কুরআনের কারীমের ভিতরে বাড়ানো ও কমানোর অভিযোগ উত্থাপন করেন। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, সুরায়ে আল্ ইনসিরাহ্-এর ভিতর থেকে এটি আয়াত বাদ দেওয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে ، وجعلنا علياً صهرك ' আর আমি আলীকে আপনার জামাতা হিসেবে নির্ধারণ করেছি। এ কিতাবটি ইরানে ১২৮৯ হিজরী সনে ছাপা হয়।
৫. আয়াতুল্লাহ্ আল মামকানী। তিনি 'তানকীহুল মাকাল ফী আহওয়ালুর রিজাল' (تنقيح المقال في أحوال الرجال) কিতাবের লেখক। তিনি শী'আদের কাছে যুক্তিপূর্ণ সাম্যবাদী ইমাম নামে সুপরিচিত। এ কিতাবে তিনি আবূ বকর ও উমর (রা.) কে 'আজ্জিত্ উয়াত্ তাগুত' খেতাবে ভূষিত করেছেন।
৬. আবু জাফর আত্-তৃসী 'তাহযীবুল আহকাম' কিতাবের লেখক ছিলেন।
৭. আয়াতুল্লাহ খোমেনী। তিনি ইরানী শী'আ আন্দোলনের আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি বর্তমান শী'আ পন্থীদের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তিনি হলেন, 'কাশফুল আস্ত্রার ওয়া কিতাবুল হুকুমাতুল ইসলামিয়া' কিতাবের লেখক। (الموسوعة الميسرة في الأديان والمذاهب المعاصرة, দ্বিতীয় সংস্করণ, ২৯৯ পৃষ্ঠা)