এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ফিকহ্-সংকলন ও সম্পাদনার পরিকল্পনার সাথে সাথে তাঁর উৎস ও দলীল প্রমাণ হতে মাসাইল আহরণ-উদ্ঘাটনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলনীতি ও উসূল নির্ণয় অপরিহার্য হয়ে পড়ে। যাতে আত্কামের স্তর ফরয়, ওয়াজিব, হালাল-হারাম, মুবাহ্-মকরুহ প্রভৃতি নিরুপন করা যেতে পারে।
আল্লামা হাযরামী (র.) লিখেছেন, ইমাম আবূ ইউসুফ (র.) (মুত্যু: ১৮৩ হিজরী), ইমাম মুহাম্মদ (র.) (মৃত্যু: ১৮৯ হিজরী) সর্বপ্রথম 'উসূলুল-ফিকহ্' বিষয়ক কিতাব প্রনয়ণ করেন।
এরপর ইমাম শাফিঈ (র.) (মৃত্যু: ২৩৪ হিজরী) তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ 'কিতাবুল-উম্ম'- ভূমিকায় 'উসূলুল ফিকহ' বিষয়ে রিসালা'নামক একখানা মূল্যবান (পুস্তিকা) মুসলিম উম্মাহকে উপহার দিয়েছেন।
পরবর্তীতে এ বিষয়ের উপরে নিম্ন বর্ণিত উলামায়ে কিরাম নিম্নোল্লিখিত মূল্যবান গ্রন্থাদি প্রণয়ন করেনঃ:
বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ মুফতী শাইখ সাইয়েদ মুহাম্মদ আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বরকতী (র.) লিখেছেন, হযরত নবী করীম (সা.)-এর দীন যেন একটি স্বচ্ছ প্রস্রবণ। সেখান থেকে বিচ্ছুরিত হয়ে চলেছে ইল্মের ঝর্ণাধারা। সাহাবায়ে কিরাম (রা.) সে বারিধারা পৌছে দিয়েছেন দূর দিগন্তে। মাযহাবের ইমামগণ সে প্রবাহমান বারিধারা সঞ্চিত করেছেন সাগর, নদী, দীঘি ও পুকুরে। মুসলিম উম্মাহ্ তা দিয়ে তাদের পিপাসা নিবারণ করেছে। সময়ের বিবর্তনে কয়েক শতকে সে পানি চারটি জলাধারে সঞ্চিত হয়ে গিয়েছে, যা আজ মুসলিম উম্মাহর দিক দর্শনীয় বাহন ও উপকরণ। (তারীখে ইলমে ফিকহ্)।
ইমামে রাব্বানী মুজদ্দিদে আলফে-সানী হযরত শাইখ আহমাদ ফারুকী সিরহিন্দী (র.) লিখেছেন, দ্বিধাহীন চিত্তে এ কথা বলা যায় যে, হানাফী মাযহাবের বিস্তৃতি সমুদ্র এবং মুসলিম বিশ্বের বৃহত্তম জামা'আত ইমাম আবূ হানীফা (র.)-এর অনুসারী। তাঁদের প্রতি মহান আল্লাহ্ সন্তুষ্ট হোন (মাকতুবাত শরীফ, মাকতুবাত নং ৫৫. দ্বিতীয় খণ্ড)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২২) হযরত শাহ্ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী (র.) -এর মন্তব্য | (০২৪) ফিকহ শাস্ত্রে ব্যবহৃত আহকাম |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |