মাযহাব অবলম্বনের ক্ষেত্রে এ চারটি সীমিত থাকার উপযোগিতা ও বাস্তবতা অনস্বীকার্য। এর ব্যতিক্রম হলে বিশৃংখলা ও ক্ষতির আশংকা রয়েছে। কয়েকটি কারণে আমি এ কথা বলতে বাধ্য,
১. মুসলিম উম্মাহ্ এ বিষয়ে ইজমায় (ঐক্যমতে) উপনীত হয়েছে যে, শরী'আতের পরিচিতি লাভের ক্ষেত্রে পূর্বসূরীগণের অনুসরণ করতে হবে। আর প্রতিষ্ঠিত এ চার মাযহাবের মধ্যে যেহেতু পূর্ববর্তীগণের গবেষণালব্ধ ব্যাখ্যা ও অভিমত হতে বিশুদ্ধভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয় পরিমার্জিত রয়েছে তাই এর অনুসরণ অপরিহার্য।
২. হাদীস শরীফে আছে "বৃহত্তম মুসলিম জামা'আতের অনুসরণ করবে।" যেহেতু পূর্বেকার অন্যান্য মাযহাবের ধারাবাহিকতা বিলুপ্ত হয়ে কেবলমাত্র মাযহাব চারটিতে সীমিত হয়েছে এবং বিশ্ব মুসলিম এরই অনুসরণ করছে তাই এখন এর ব্যতিক্রমের অবকাশ নেই।
৩. উত্তম যুগ-এর থেকে যেহেতু সময়ের ব্যবধান দীর্ঘতর হয়েছে; আমানতদারী ও বিশ্বস্ততার চরম অভাব দেখা দিয়েছে, তাই উলামায়ে স্' (অসৎ আলিমরা) কিংবা এমন লোকের অনুসরণের আশংকা বিদ্যমান, যার মাঝে ইজতিহাদের শর্তাবলী অনুপাতে তা যাচাই করে দেখাও কঠিন কাজ; কাজেই স্বীকৃত প্রসিদ্ধি প্রাপ্ত চার মাযহাবের অনুসরণ করাই অপরিহার্য। (ইকদুল্-জীদ)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২১) ঐতিহাসিক ইব্ন খালদূনের ভাষ্য | (০২৩) উসূলুল্-ফিকহ্ (ফিকহের মূলনীতি) |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |