পরিশেষে সারা দুনিয়ায় এ চার মাযহাবের তাকলীদ প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল। অন্যান্য ইমামগণের অনুগামী আর কেউ অবশিষ্ট রইল না। সর্বসাধারণ চার মাযহাবের বিরোধিতার সব দুয়ার বন্ধ করে দিল। কারণ, ইল্মী পরিভাষা হয়ে গেল ব্যাপক এবং লোকদের মধ্যেও লোপ পেল ইজতিহাদের মর্যাদায় উপনীত হবার যাগ্যতা। অযোগ্য ও দূর্বল অভিমতের অধিকারী আলিমগণের মুজতাহিদ বনে যাওয়া আশঙ্কা দেখা দিল। এজন্য আলিমগণ নিজেদের অপারগতা ও সামর্থহীনতা স্বীকার করে নিয়ে ইমাম চতুষ্ঠয়ের তাকলীদের প্রতি জনগণকে উৎসাহিত ও আকৃষ্ট করতে লাগলেন। ফলে প্রতিটি মানুষ কোন না কোন ইমামের তাকলীদ করতে আরম্ভ করল এবং ইমামগণের মধ্যে কারো তাকলীদ করা অবস্থায় অন্য ইমামের তাকলীদ করাকে অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। কারণ, তাতে শরী'আতের হুকুম আহকাম পালনের ব্যাপারটি হল খেলো ও উপহাসে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এভাবে তাকলীদ চার ইমামের মাযহাবে সীমিত হয়ে গেল।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২০) তাকলীদের কারণ সমূহ | (০২২) হযরত শাহ্ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী (র.) -এর মন্তব্য |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |