ইবনে হিশামের বর্ণনামতে-চৌদ্দ বছর এবং ইবনে ইসহাকের বর্ণনামতে বিশ বছর বয়সের সময় নবী করিম (দঃ) আপন চাচাদের সাথে ফিজার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই যুদ্ধে অনেক লোক হতাহত হয়। অনেক, নারী বিধবা হয় এবং অনেক শিশু ইয়াতিম হয়ে পড়ে। দেশে এক ভয়াবহ অরাজকতা দেখা দেয়। তখন নবী করিম (দঃ) সমমনা কিছু লোক নিয়ে মজলুমের সাহায্যার্থে একটি সেবাসংঘ গঠন করেন। এই সেবা সংগঠনের নাম রাখা হয় "হিলফুল ফুযুল" বা ফযলদের সংঘ। ফযল, ফুযাইল ও আফযল নামে তিনজন লোক এই সংগঠনের ব্যাপারে বিশেষ অবদান রাখার কারণে তাদের নামে এই নামকরণ করা হয় (বেদায়া ও নেহায়া)। এই সংঘের মাধ্যমে নবী করিম (দঃ) সমাজ সেবার এক মহান আদর্শ স্থাপন করেন।
যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের বিধবা, শিশু ও নিরাশ্রয়ের পুনর্বাসনে হিলফুল ফুযুলের মাধ্যমে নবী করিম (দঃ) সমাজ সেবার এক উত্তম আদর্শ স্থাপন করেন। অন্যায়ের প্রতিরোধ করা ছিল এই সংঘের লক্ষ্য। সততা ও মানবসেবায় অল্পদিনের মধ্যেই এই সংগঠন গোটা আরবে পরিচিতি লাভ করে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রমের মাধ্যমে নবী করিম (দঃ) মানুষের কাছে অতি প্রিয় হয়ে উঠেন। এভাবে হাবিবে কিবরিয়া (দঃ) যুবকদের জন্যে এক মহান আদর্শ স্থাপন করেন- যা বর্তমানে রেড ক্রিসেন্ট নামে পৃথিবীময় আদর্শ হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২৩) পিতৃব্য খাজা আবু তালিবের প্রতিপালনে | (০২৫) বিবাহ জীবনে প্রবেশ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |