ক্বলবে নিয়েত না করে শুধু মুখে নিয়েত পড়লে নামাজ হবেনা। নিয়েতের মধ্যে ৪ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য করুন।
ক) আমি কেবলমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ছি।
খ) আমি জোহরের ফরজ/আছরের ফরজ নামাজ পড়ছি।
গ) কেবলামুখী হয়ে নামাজ পড়ছি।
ঘ) মুকতাদীদের ইমামতি করছি। মোকতাদীদের ইমামতির সময় মেয়েদের ইমামতি করছি এ নিয়েত করুন।
মেয়েদের ইমামতির নিয়েত না করলে মেয়েদের নামাজ হবে না । নিয়েতের সময় মেয়েদের হাজির থাকা জরুরী নয়।
যে সব মছজিদে মেয়েরা হাজির হয়ে জামাতে নামাজ পড়ে কেবলমাত্র সেখানে মেয়েদের নিয়েত করুন। যে জামাতে মেয়েরা হাজির না হয় সে জামাতে মেয়েদের জন্যে নিয়েত করা জরুরী নয়। বিস্তারিত ১৪৭ পৃষ্টায় “নিয়েত করা” অধ্যায়ে দেখুন ।
মৌখিক নিয়েত করাকে কিছু ইমাম মুস্তাহাব ও কিছু ইমাম বেদআত বলেছেন। নিয়েত তাকবীরে তাহরীমার আগেই করুন।
তাকবীরে তাহরীমা বাধার পরে নিয়েত করলে নামাজ হবে না । মৌখিক নিয়েত করতে চাইলে – পড়ুন
নাওয়াইতু আন
আমি নিয়েত করছি
উছল্লিয়া
নামাজ পড়ার,
লিল্লাহি তাআ'লা
আল্লাহর জন্য
রাকআতাই
দু'রাকাত
ছলাতিল ফাজরি
ফজরের নামাজ
ফারদুল্লাহি তাআ'লা
যা আল্লাহ তাআ'লার নিকট থেকে ফরজ।
মুতাঅজ জিহান
মুখ ফিরালাম
ইলা জিহাতি
দিকে
কা'বাতিশ্ শরীফাতি
কাবা শরীফের
আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার
ফারদুল্লাহি তাআ'লার পরে ইমাম পড়ন “আনা ইমামুন লিমান হাদারা অমাইঁ ইয়াহ দুরু” অর্থাৎ যারা হাজির আছে আর যারা হাজির হবে, আমি তাদের ইমামতি করছি। উপরে ফজরের ফরজ নামাজের নিয়েত লেখা হয়েছে।
তাহরীমা বাধা যেন ইমামের আগে না হয়। হলে নামাজ হবে না।
২। ইমাম ও মোকতাদী উভয়ে ছানা পড়ুন। (ছুন্নাত)
৩। ইমামের কেরাত শুরু করার আগে মোকতাদী ছানা পড়া শেষ করুন।
৪। ইমাম কেরাত শুরু করলে মোকতাদী ছানা পড়বেন না।
৫। ইমাম ‘আউযুবিল্লাহ' ও ‘বিছমিল্লাহ' পড়ুন। মোকতাদী পড়বেন না ।
৬। ইমাম ফজর, মাগরিব ও এশার জামাতে ছুরা ফাতেহা এমন উচ্চস্বরে পড়ুন যেন মোকতাদীগণ শুনতে পান। (ওয়াজেব) উচ্চস্বরে বলতে স্বাভাবিক আওয়াজ বুঝায়। চিৎকার করা নয়। চিৎকার করে পড়া মাকরুহ।
যদি জামাআত অনেক বড় হয় তবুও ইমাম কেরাত ও তাকবীরে চিৎকার করবেন না বরং মোকাব্বের নিয়োগ করবে। মোকতাদী কম হলে ইমামের আওয়াজ ও সেই পরিমাণ কম হবে। মোকতাদী শুনতে পায় এর চেয়ে বেশী আওয়াজে কেরাত পড়া মাকরুহ। ইমাম কেরাত পড়ার সময় উচ্চারণ পদ্ধতি, কেরাতের অর্থ ও আল্লাহর কালাম দিয়ে আল্লাহর সামনে আবেদন পেশ করছেন এ তিনটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন ।
৭। জোহর ও আছরের জামাতে ইমাম ছুরা ফাতেহা চুপে চুপে পড়ুন । (ওয়াজেব) চুপে চুপে পড়ার পর্যায় হলো নিজের কানে শোনা। (ইচ্ছাকৃতভাবে এর বিপরিত করলে নামাজ ফাছেদ হবে)।
৮। মোকতাদী কখনো ইমামের পিছনে ছুরা কেরাত পড়বেন না । পড়লে নামাজ হবে না ।
১৩। ইমাম মোকতাদীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে ছোট ছুরা বা কেরাত পড়ুন ।
হযরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন- যখন তোমাদের কেউ লোকদের জামাতে নামাজ পড়ায় সে যেন নামাজ সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে রোগী, দুর্বল ও বৃদ্ধ ব্যক্তি আছে। আর যখন তোমাদের কেউ নিজে নিজে নামাজ পড়ে, তখন সে যে পরিমান ইচ্ছা লম্বা করতে পারে ।
(বোখারী মুছলীম, মেশকাত – ১০৬৩)
হযরত ওছমান বিন আবুল আছ রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আমাকে যে শেষ উপদেশ দিয়েছেন তা হল যখন তুমি লোকদের ইমামতি করবে সংক্ষেপ করে তাদের নামাজ পড়াবে।
(মুছলীম, মেশকাত – ১০৬৬)
কোরআন মাজীদে যে তরতীবে ছুরা কেরাত সাজানো আছে সে তরতীবে পড়ুন। তরতীব ব্যতীত অন্যভাবে পড়লে নামাজ মাকরুহ হবে।
১৪ । ছুরা কেরাত খুব তাড়াতাড়ী অথবা খুব ধীরে ধীরে পড়বেন না । বরং মধ্যমভাবে ছহি শুদ্ধভাবে উচ্চারণ করে পড়ুন।
১৫। পড়া শেষ হলে এক তছবীহ পরিমাণ দেরী করুন।
১৬ । ইমাম ‘আল্লাহু আকবার' বলে রুকুতে যান। (রুকুর নিয়ম পালন করুন) । মোকতাদীঃ ইমাম রুকুতে যাওয়ার পরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে রুকু করুন।
১১৬
রুকু ছেজদা যেন ইমামের আগে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আগে হলে নামাজ হবে না এবং হাদীছ অনুযায়ী কেয়ামতে তাকে গাধার আকৃতিতে উঠতে হবে।
১৭। ৩/৫/৭/৯/১১ বার ‘ছুবহানা রব্বিআল আজীম' পড়ুন।
১৮। ইমাম ‘ছামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ' বলে রুকু থেকে উঠে দাড়ান ।
মোকতাদীঃ ইহা না বলে ইমামের বলা লক্ষ্য করুন এবং ইমামের উঠা শেষ হলে উঠে দাড়ান।
ইমামঃ ‘রব্বানা লাকাল হামদ' পড়ন। (মুস্তাহাব)
মোকতাদীঃ ‘রব্বানা লাকাল হামদ' পড়ুন। (ছুন্নাত)
১১৭
দাড়ানোর সময় মাথা সোজা রাখুন। মাথা সোজা না করে ছেজদায় চলে গেলে রুকু আদায় হবে না। ফলে নামাজ ও শুদ্ধ হবে না ।
রছুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট চোর সেই ব্যক্তি যে তার নামাজের অংশ চুরি করে । ছাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, নামাজের অংশ কিভাবে চুরি করে? রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম জবাব দিলেন, তারা রুকু ও ছেজদা পুরাপুরি আদায় করে না।
(মেশকাত ৮২৫)
১৯। ইমাম এক তছবীহ পরিমাণ সময় খাড়াভাবে দাড়িয়ে থাকুন। (ওয়াজেব)
এক তছবীহ পরিমাণ দাড়ানো ওয়াজেব । ইমাম ইচ্ছা করে এক তছবীহ পরিমাণ সময় না দাড়ালে ওয়াজেব তরক করার কারণে নামাজ ফাছেদ হবে। ভুলে না দাড়ালে ছোহ ছেজদা করা ওয়াজেব হবে।
২০। ইমামঃ ‘আল্লাহু আকবার' বলে ছেজদায় যান। (ছেজদায় আগের লেখা নিয়ম পালন করুন)।
২১। মোকতাদীঃ ইমাম ছেজদায় যাওয়ার পর পরই ছেজদায় যান (ছেজদার নিয়ম পালন করুন)
৩৭। ছেজদা শেষে ‘আত্তাহিয়্যাতু বৈঠকে বসুন। ফজরের নামাজ হলে এ বৈঠক ফরজ। অন্যান্য নামাজ হলে ওয়াজিব।
৩৮ । ইমাম ও মোকতাদী সকলে আত্তাহিয়্যাতু পড়ুন।
৩৯। ফজরের নামাজ হলে আত্তাহিয়্যাতু শেষে ইমাম ও মোকতাদী সকলে দুরুদে ইব্রাহীমী ও দোয়া মাছুরা পড়ুন ।
৪০ । ডানে ছালাম ফিরান ।
ইমামঃ ছালামের সময় ফেরেশতা ও ডান পাশের মোকতাদীগণকে খেয়াল করে ছালাম দিন । তৎপরে বাম দিকে ছালাম ফিরান। এবারও ফেরেশতাসহ বাম দিকের মোকতাদীগণের প্রতি লক্ষ্য করে ছালাম পাঠ করুন।
মোকতাদীঃ ছালামে ফেরেশতা, ইমাম ও অন্যান্য মোকতাদীগণকে খেয়াল করুন।
৪১। চার রাকাত ওয়ালা নামাজ হলে আত্তাহিয়্যাতু শেষে তৃতীয় রাকাতের জন্য ইমাম ও মোকতাদী সকলে উঠুন।
৪২। ইমামঃ তৃতীয় রাকাতে বিছমিল্লাহসহ শুধুমাত্র ছুরা ফাতেহা পড়ুন (মোকতাদীগণ পড়বেন না)
৪৩। এরপর রুকু ছেজদা করুন।
৪৪ । ছেজদা শেষে চতুর্থ রাকাতের জন্য দাড়ান ।
৪৫। ইমামঃ বিছমিল্লাহসহ ছুরা ফাতেহা পড়ুন। মোকতাদীগণ পড়বেন না।
৪৬। রুকু ছেজদা করুন।
৪৭। ছেজদা শেষে কায়েদায়ে আখীরা বা শেষ বৈঠকে বসুন। (ফরজ)
৪৮ । ইমাম ও মোকতাদী সকলে আত্তাহিয়্যাতু পড়ুন। (ওয়াজেব)
৪৯। দুরুদে ইবরাহীমী ও দোয়া মাছুরা পড়ুন। (ছুন্নাত)
৫০ । ছালাম ফিরান । (ছালামে পূর্বের নিয়ম পালন করুন)।
১। দ্বিতীয় রাকাতে আত্তাহিয়্যাতু শেষে ইমাম ও মোকতাদী উঠে দাড়ান ।
২। ইমাম বিছমিল্লাহ সহ ছুরা ফাতেহা পড়ুন ।
৩। ফাতেহা শেষে রুকু ছেজদা করুন।
৪ । তৃতীয় রাকাতে আখেরী বৈঠকে বসুন। (ফরজ)
৫ । ইমাম ও মোকতাদী সকলে আত্তাহিয়্যাতু পড়ুন। (ওয়াজেব)
৬। তারপর দুরুদে ইব্রাহীমী ও দোয়া মাছুরা পড়ুন। (ছুন্নাত)
৭ । ছালাম ফিরান।
৮। ইমাম তিনবার এস্তেগফার পড়ুন।
৯ । জোহর, মাগরিব ও এশার নামাজে এই মোনাজাত করুন । ‘আল্লাহুম্মা আনতাচ্ছালাম, অমিনকাচ্ছালাম, তাবারাকতা ইয়া জাল জালালী অল ইকরাম'। পিছনে মাছবুক থাকলে ইমাম মোনাজাত চুপে চুপে পড়ুন । ইমামের পড়া মোকতাদীরা লক্ষ্য করে শোনে। এ জন্যে ইমাম জোরে মোনাজাত করলে সে মোনাজাতের তিনটি শব্দ মোকতাদী লক্ষ্য করে শুনলে মোকতাদীর নামাজ ফাছেদ হবে। এ নামাজ ফাছেদের জন্যে ইমামই দায়ী হবে। পিছনে মছবুক না থাকলে ইমাম জোরে মোনাজাত করতে পারেন।
১০। মোনাজাত শেষে ইমাম ও মোকতাদী দেরী না করে ছুন্নাত পড়ুন। অন্য আমল করবেন না।
১১। যেখানে ফরজ নামাজ পড়েছেন সেখান থেকে সরে যেয়ে অন্য জায়গায় ছুন্নাত পড়ুন ।
১২। মছজিদে ছুন্নাত না পড়ে বাড়ী যেয়ে ছুন্নাত ও নফল নামাজ পড়ুন ।
১৩। ছুন্নাত শেষে সকলে লম্বা মোনাজাত করতে পারেন। অন্য কোন আমল থাকলে তাও পুরা করুন।
১৪। ফজর ও আছর বাদ ইমাম লম্বা মোনাজাত করতে পারেন।
১৫। ফজর ও আছর বাদ ইমাম মোকতাদীর দিকে ফিরে মোনাজাত করুন।
১। মোকতাদী আত্তাহিয়্যাতু (তাশাহুদ) এর বৈঠকে শরীক হয়ে তাশাহুদ পড়া শেষ করার আগে ইমাম ছালাম ফিরালে অথবা তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাড়ালে মোকতাদী তাশাহুদ পড়া শেষ করে অথবা শেষ না করে বাকী নামাজের জন্য দাড়িয়ে যেতে পারে।
২। প্রথম বৈঠকে মোকতাদী তাশাহুদ পড়া ভুলে গেল। এ সময় ইমাম তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠে দাড়ালো। সাথে সাথে অন্য মোকতাদীও উঠে দাড়াল। তখন উক্ত মোকতাদী বসে তাশাহুদ পড়া শেষ করে তারপরে উঠে দাড়াবে।
৩। শেষ বৈঠকে মোকতাদী তাশাহুদ পড়ার পরে দরুদ পড়া অবস্থায় ইমাম ছালাম ফিরালে মোকতাদীও সাথে সাথে ছালাম ফিরাবে। দরুদ পড়বে না বা দরুদ পড়া শুরু করলেও বাকী অংশ শেষ করবে না।
৪ । মোকতাদী রুকু ছেজদার তিন তছবীহ পড়ার আগে ইমাম মাথা উঠালে মোকতাদীও সাথে সাথে মাথা উঠাবে। বাকী তছবীহ পড়বে না ।
৫। ইমাম রুকু অথবা ছেজদা থেকে মাথা উঠিয়েছে মনে করে মোকতাদী ইমামের আগে মাথা উঠালে সঙ্গে সঙ্গে রুকু অথবা ছেজদায় চলে যাবে। মাথা উঠানোর কারণে তার দু'টি রুকু বা দু'টি ছেজদা হবে না ।
১২১
ইমাম প্রথম ছেজদায় বেশীক্ষন থাকার কারণে মোকতাদী মাথা উঠিয়ে দ্বিতীয় ছেজদা দিল। ইমাম ছেজদা হতে মাথা উঠানোর পর ইমামের দ্বিতীয় ছেজদায় কপাল মাটিতে রাখার আগে মোকতাদী দ্বিতীয় ছেজদা থেকে মাথা উঠালে সাথে সাথে ছেজদায় যাবে। না গেলে নামাজ হবে না।
১। ইমাম ঈদের নামাজে অতিরিক্ত তাকবীর না পড়লে মোকতাদীও পড়বে না ।
২। ইমাম প্রথম বৈঠকে অর্থাৎ দ্বিতীয় রাকাতে ছেজদার পর না বসে উঠে দাড়ালে মোকতাদীও না বসে উঠে দাড়াবে।
৩। ইমাম নামাজের মধ্যে তেলাওয়াতের ছেজদা করলে মোকতাদীও সাথে সাথে ছেজদা করবে।
৪ । ইমাম ছোহ ছেজদা করলে মোকতাদীও ছোহ ছেজদা করবে।
৫। বেতেরের জামাতে ইমাম দোয়া পড়ে রুকুতে গেলে মোকতাদী দোয়া কুনুত পড়া শেষ করে রুকুতে যাবে। শেষ করতে গেলে যদি রুকু না পাওয়ার আশংকা থাকে তবে দোয়া কুনুত শেষ না করে রুকুতে যাবে।
৩। জানাযার নামাজে ইমাম চার তাকবীরের জায়গায় পাঁচ তাকবীর পড়লে ।
৪। ইমাম চতুর্থ রাকাতের বৈঠকের পর ভুলে পঞ্চম রাকাতের জন্য উঠে দাড়ালে মোকতাদী উঠবে না বরং বসে থাকবে। ইমাম পঞ্চম রাকাতের ছেজদা করার আগে যদি বসে ছালাম ফিরায় তাহলে মোকতাদীও ছালাম ফিরাবে। আর যদি ইমাম না বসে পঞ্চম রাকাতের রুকু করে তবে মোকতাদী ছালাম ফিরাবে। এ অবস্থায় আখেরী বৈঠক ও খুরুজ বি ছুনয়িহি আদায় হওয়ার কারণে মোকতাদীর নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
১২২
ইমাম চতুর্থ রাকাতে না বসে ভুলে পঞ্চম রাকাতের জন্য দাড়িয়ে গেলে মোকতাদী লোকমা দেবে। যদি ইমাম না বসে তবে মোকতাদী না দাড়িয়ে বসে তাশাহুদ পড়ে ছালাম ফিরাবে। এরপর যদি ইমাম পঞ্চম রাকাতের ছেজদার আগে বসে ছালাম ফিরায় তবে উক্ত মোকতাদীর নামাজ আদায় হবে। আর যদি ইমাম বসে ছালাম না ফিরিয়ে পঞ্চম রাকাতের ছেজদা করে তবে ইমাম আখেরী বৈঠক ফরজ রোকন আদায় না করার কারণে সকল মোকতাদীর নামাজ ফাছেদ হবে। (আলমগীরী)