১। ইমামের তাকবীরে তাহরীমা বাধার পরে হাজির হলে মুখে নিয়েত না করে ক্বলব বা অন্তর দিয়ে নিয়েত করে তাহরীমা বাধুন। নিয়েতের সময় ৪ বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখুন।
২। ইমাম ছুরা কেরাত শুরু করলে ছানা পড়বেন না ।
৩
১২৩
ইমাম রুকুতে যাওয়ার পর হাজির হলে প্রথমে দাড়িয়ে তাকবীরে তাহরীমা বাধুন । তারপর রুকুতে যান। তাহরীমা বাধতে বাধতে রুকুতে গেলে নামাজ হবে না।
৪। আপনি রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম রুকু হতে উঠলে আপনি প্রথম রাকাত পেলেন না। কিন্তু নিয়েত করার কারণে ইমামের একতেদা করে ছেজদা করুন। ইমামের ছালাম ফিরানোর পরে উঠে দাড়িয়ে ছানা, আউযু বিল্লাহ, বিছমিল্লাহ, ছুরা ফাতেহা ও অন্য ছুরা বা কেরাত পড়ুন ।
৫। তারপর রুকু ছেজদা ও আখেরী বৈঠকের সব নিয়ম-কানুন পালন করে ছালাম ফিরান । ইমামের সাথে রুকু পেলে প্রথম রাকাত আদায় হবে। তখন ইমামের সাথেই ছালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করুন।
৩। রুকুর আগে তাহরীমা বাধা হলে দ্বিতীয় রাকাত পাওয়া হলো । যদি ইমাম রুকু থেকে উঠার পর আপনি হাজির হন তা হলে অপেক্ষা করুন।
৪ । ইমাম বৈঠকে বসলে আপনি দাড়িয়ে তাহরীমা বাধুন ।
৫। তাহরীমা শেষে ইমামের আখেরী বৈঠকে বসুন ।
৬। কেবলমাত্র আত্তাহিয়্যাতু পড়ুন।
৭। দুরুদে ইব্রাহীমি ও দোয়া মাছুরা পড়বেন না । আত্তাহিয়্যাতু পড়ার পরে ভুলে ‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা মুহাম্মাদ’ পর্যন্ত বা তার বেশী পড়লে আপনার উপর ছোহ ছেজদা ওয়াজেব হবে।
৮। ইমাম ছোহ ছেজদার জন্য ডান দিকে ছালাম ফিরালে আপনিও ছালাম ফিরান।
৯। ইমাম ছোহ ছেজদা দিলে আপনিও ছোহ ছেজদা দিন।
১০। ছেজদা শেষে শুধুমাত্র আত্তাহিয়্যাতু পড়ুন। অন্যকিছু পড়বেন না ।
১১। পুনরায় ইমাম ডান পাশে ছালাম ফিরানোর পর বাম পাশে ছালাম ফিরালে আপনি কোন দিকে ছালাম না ফিরিয়ে উঠে দাড়ান।
১২ । ছানা পড়ুন ।
১৩। আউয়ু, বিছমিল্লাহ সহ ছুরা ফাতেহা পড়ুন।
১৪ । বিছমিল্লাহ সহ অন্য ছুরা বা কেরাত পড়ুন ।
১৫। রুকু ছেজদা শেষে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য উঠুন।
১৬। বিছমিল্লাহ সহ ছুরা ফাতেহা ও অন্য ছুরা পড়ে রুকু ছেজদা করে আখেরী বৈঠকে বসুন।
ইমাম বা একাকী নামাজী আখেরী বৈঠকে না বসে সোজা উঠে দাড়ালে ছেজদার আগে আগে স্মরণ হওয়া মাত্রই বসে যাবে এবং আত্তাহিয়্যাতু পড়ে ছোহ ছেজদা দিবে। এরপর আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ ও দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরাবে।
১২৫
আখেরী বৈঠকের আত্তাহিয়্যাতু শেষে ছোহ ছেজদা করার পর না বসে ইচ্ছা করে দাড়িয়ে গেলে নামাজ ফাছেদ হবে।
উঠার সময় যদি এক তছবী পরিমাণ সময় বসার পরে উঠে দাঁড়ায় তাহলে ফরজ রোকন আদায় হয়ে যাবে ও নামাজ ফাছেদ হবে না। অবশ্য ওয়াজেব তরক করার কারণে ছোহ ছেজদা দিতে হবে।
খ) আগে ছানা না পড়ে থাকলে ছানা, আউযুবিল্লাহ, বিছমিল্লাহ, ছুরা ফাতেহা ও অন্য ছুরা পড়ুন। অর্থাৎ প্রথম রাকাত শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে নিয়মে পড়তে হয় সে নিয়মে পড়ন। ছুরা কেরাত চুপে চুপে পড়ুন। চুপে চুপে পড়া ওয়াজেব।
গ) রুকু ছেজদা করে আখেরী বৈঠকে বসে আত্তাহিয়্যাতু দুরুদে ইব্রাহীমী ও দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরান।
খ) প্রথম রাকাতে যা পড়তে হয় অর্থাৎ ছানা, আউযুবিল্লাহ বিছমিল্লাহ সহ ছুরা ফাতেহা ও অন্য ছুরা পড়ে রুকু ছেজদা করুন। ছুরা কেরাত আস্তে আস্তে পড়ুন। (ওয়াজেব)
গ) ছেজদা শেষে আখেরী বৈঠক করুন।
ঘ) আত্তাহিয়্যাতু দুরুদে ইবরাহীমী ও দোয়া মাছুরা পড়ে ছালাম ফিরান।
ইমামের ডান দিকে ছালাম ফিরানোর সঙ্গে সঙ্গে আপনি দাড়িয়ে যাওয়ার পর ইমামকে ছোহ ছেজদা দিতে দেখলে পুনরায় বসে ছোহ ছেজদা দিবেন না। বসলে নামাজ ফাছেদ হবে। কারণ আপনার এ কেয়াম ফরজ আর ছোহ ছেজদা ওয়াজিব। ফরজ বাদ দিয়ে ওয়াজিবের অনুসরণ করা যায় না। অবশ্য পরে আপনি ছোহ ছেজদা আদায় করে নেবেন।
১২৭
আখেরী বৈঠক শেষে ইমাম উচ্চ শব্দে হাসলে বা ইচ্ছা করে অজু ভাঙলে (যেমন, শরীর চুলকিয়ে রক্ত বের করলে) মছবুকের (অর্থাৎ যিনি ইমামের সাথে পুরো নামাজ পাননি তার) নামাজ ফাছেদ হবে।
মোদরেক অর্থাৎ যিনি ইমামের সাথে পুরা নামাজ পেয়েছেন তার নামাজ আদায় হয়ে যাবে।