রছুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন –
[আরবী]
ইমাম মোকতাদীদের নামাজের জামীন ।
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন-
قَالَ مَنْ أَمْ قَوْمًا فَلْيَتَّقِ اللَّهَ وَلِيَعْلَمَ أَنَّهُ ضَامِنٌ مَسْئُولٌ لِمَا ضُمِنَ - وَلِمَنْ أَحْسَنَ كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ صَلَّى خَلْفَهُ مِنْ غَيْرِ أَنْ يَنْقُصَ مِنْ أَجُوْرِهِمْ شَيْئًا ۖ وَمَا كَانَ مِنْ نَقْصٍ فَهُوَ عَلَيْهِ
যদি কোন ব্যক্তি কোন জামাআতের ইমামতি করে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে আর সে যেন মনে রাখে যে সে তাদের নামাজের জামিনদার। তার জামিন সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে। যদি সে নামাজকে সবচেয়ে সুন্দরভাবে আদায় করে তাহলে তার প্রতিদানে তার পিছনের সকলের নামাজের সম পরিমাণ নেকী লাভ করবে আর তাদের নেকীর মধ্যে কোন রকম কম করা হবে না। আর যদি নামাজের মধ্যে কোন ক্ষতি লোকসান হয় তার সবই তার উপর পতিত হবে। (তিবরানী, আততারগীব ১ম- ৩১০পৃঃ)
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন
مَنْ أَمَّ قَوْمًا فَإِنْ أَتَمَّ فَلَهُ السَّمَامُ . وَإِنْ لَمْ يُتِمَّ فَلَهُمُ التَّمَامُ وَعَلَيْهِ الام
যদি কোন ব্যক্তি জামাআতের ইমামতি করে যদি সে নামাজকে পূর্ণভাবে আদায় করে তা হলে তার নামাজ পূর্ণ হবে আর জামাআতের নামাজও পূর্ণ হবে। আর যদি সে নামাজকে পূর্ণরূপে আদায় না করে তাহলে তাদের নামাজ পূর্ণ হবে আর গোনাহ তার উপর পড়বে।
(আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, হাকিম, আততারগীব ১ম, ৩১০ পৃঃ)
রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম বলেছেন –
ثَلَثَةٌ لَا يَقْبَلُ اللهُ مِنْهُمْ صَلاَةً إِمَامُ قَوْمٍ وَهُمْ لَهُ كَارِهُوْنَ وَ اِمْرَأَةٌ بَاتَتْ وَزُوْجُهَا عَلَيْهَا غَضْبَانِ وَأَحْوَانِ مُتَصَارِمَانِতিন ব্যক্তির নামাজ আল্লাহ কবুল করেন না । ১) এমন জামাআতের ইমাম যাকে তার কওম অপছন্দ করে । ২) এমন স্ত্রী যার স্বামী তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে রাত কাটায়। ৩) এমন দু'ভাই যারা একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।
(তিরমিজি, ইবনু মাজাহ, ইবনু হাব্বান, আততারগীব ১ম, ৩১৪ পৃঃ)
২ | ১০৮ | ইমাম উপস্থিত থাকা অবস্থায় তাঁর চেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি বা অন্য কেউ তাঁর অনুমতি ছাড়া ইমামতি করলে নামাজ আদায় হবে না। |
১০৯ |
আহলে ছুন্নাত অল জামাত অর্থাৎ রছূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও ছাহাবাগণের আকিদা বিশ্বাসের বিপরিত আকিদা পোষণকারী ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়া হারাম। যেমন-
|
শরীয়তের খেলাপ করার কারণে মুছল্লীরা কোন ব্যক্তির পিছনে নামাজ না পড়তে চাইলে তার ইমামতি করা মাকরুহ।
বেদআতি ব্যক্তির পিছনে নামাজ পড়া মাকরুহ ।
১৫ | ১১০ | পাশা পাশি দাড়াতে চাইলে মাঝখানে পর্দা দেবে। পর্দা না দিলে নামাজ হবে না। |
১৬ | ১১১ | পুরুষ লোক মেয়েদের ইমামতি করলে নিয়েত করার সময়ই মেয়েদের ইমামতির নিয়েত করবে। নিয়েত পরে করলে মেয়েদের নামাজ হবেনা । মেয়েদের ইমামতির নিয়েত করার সময় মেয়েদের জামাতে হাজির হওয়া শর্ত নয়। (আলমগীরী) |
১১২ | ইমাম অনুপযুক্ত মোকতাদীকে খলিফা বানালে নামাজ ফাছেদ হবে। |
১১৩ | মোকতাদী ইমাম ব্যতীত অন্যের ভুলের জন্যে লোকমা দিলে মোকতাদীর নামাজ ফাছেদ হবে। |
১১৪ | নামাজের মধ্যে ইমাম মারা গেলে মোকতাদীর নামাজ বাতেল হবে। |
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৮৩) ইক্বামাত | (০৮৫) জামাআত শুরু |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |