বেশী তালাক দেয়ার চেয়ে এক তালাক দেয়াটা শ্রেয়। কিন্তু যদি তিন তালাকই দিতে হয়, তাহলে প্রতি তোহরে (পবিত্র কালে) এক তালাক করে তিন তোহরে তিন তালাক দেওয়া উচিৎ। এক সঙ্গে কয়েক তালাক দেয়া জঘন্য পাপ, তবে যদি কেউ এক সঙ্গে কয়েক তালাক দিয়ে দেয়, তা হলে যদিও বা পাপ করেচে, কিন্তু তিন তালাক কার্যকরী হবে। যেমন ঋতুকালে তালাক দেয়া যদিও বা পাপ কিন্তু তালাক কার্যকরী হয়। প্রমাণাদি নিম্নে প্রদত্ত হলো-
الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ
¶ সূূরা বাক্বারা, আয়াত নং-২২৯।
পুনরায় ফরমান
فَإِنْ طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ
¶ সূূরা বাক্বারা, আয়াত নং-২৩০।
এ আয়াতদ্বয় থেকে বোঝা গেল দু-তালাক পর্যন্ত প্রত্যাহার করার অধিকার আছে, কিন্তু তিন তালাক দেয়ার পর পুনরায় গ্রহণ رجعت করার কোন অধিকার থাকে না এবং مرتان এর প্রয়োগ দ্বারা বোঝা গেল যে পৃথক ভাবে তালাক দেয়ার এমন কোন শর্ত নেই যে তা না হলে তালাক কার্যকরী হবে না। এক সঙ্গে দেয়া হোক বা পৃথক পৃথক দেয়া হোক, হুকুম তা-ই হবে।
যেমন তাফসীরে সাবীতে এ আয়াতের প্রেক্ষাপটে বর্ণিত আছে-
فان طلقها الى طلقة ثالثة سوء وقع الاثنتان فى مرة او مرأة فلا تحل
অর্থাৎ আয়াতের অভিপ্রায় হলো যদি তালাক দেয়া হয়, তাহলে তিন তালাকই কার্যকরী হবে, তা এক সাথে দেয়া হোক বা পৃথক দেয়া হোক, যে কোন অবস্থায় স্ত্রী হালাল থাকবে না।
¶ আল্লামা সাভী, তাফসিরে সাভী, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৭২, দারু ইহ্ইয়াউত্-তুরাশুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন।
এর আগে উল্লেখিত আছে-
كما اذا قال لها انت طالق ثلثا او البتة وهذا هو المجمع عليه
অর্থাৎ যদি কেউ এ রকম বলে ‘তোমাকে তিন তালাক’ তাহলে তিন তালাকই কার্যকরী হবে। এ ব্যাপারে উম্মতে মুহাম্মদী একমত। অনুরূপ অন্যান্য তাফসীর সমূহেও বর্ণিত আছে।
¶ আল্লামা সাভী, তাফসিরে সাভী, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-১৭২, দারু ইহ্ইয়াউত্-তুরাশুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন।
وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ لَا تَدْرِي لَعَلَّ اللَّهَ يُحْدِثُ بَعْدَ ذَلِكَ أَمْرًا
অর্থাৎ যে কেউ আল্লাহর সীমারেখা অতিক্রম করলো অর্থাৎ এক সঙ্গে তিন তালাক দিয়ে দিল, সে নিজের প্রতি জুলুম করলো।
¶ সূরা তালাক, আয়াত নং-১।
কেননা কোন কোন সময় মানুষ তালাক নিয়ে লজ্জিত হয় এবং প্রত্যাহার করতে চায়। কিন্তু তিন তালাক এক সঙ্গে দিয়ে দিলে, আর প্রত্যাহার করা যায় না। এ আয়াতে এটা বলা হয়নি যে এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে তালাক কার্যকরী হবে না। বরং বলা হয়েছে যে এ রকম লোক জালিম। যদি এর দ্বারা এক তালাকই কার্যকরী হয়, তাহলে জালিম কিভাবে হয়?
মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ নবীর الطلاق الثلث শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে
وَاحْتَجَّ الْجُمْهُورُ بِقَوْلِهِ تَعَالَى وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودُ اللَّهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَهُ ......قَالُوا مَعْنَاهُ أَنَّ الْمُطَلِّقَ قَدْ يَحْدُثُ لَهُ نَدَمٌ فَلَا يُمْكِنُهُ تَدَارُكُهُ لِوُقُوعِ الْبَيْنُونَةِ فَلَوْ كَانَتِ الثَّلَاثُ لَا تَقَعُ لَمْ يَقَعْ طَلَاقُهُ هذا إِلَّا رَجْعِيًّا فَلَا يَنْدَمُ
(উপরে আমি যা আরয করেছি, তাই এর তরজুমা)
¶ ইমাম নববী, শরহে সহীহ মুসলিম, খণ্ড-৫, পৃষ্ঠা-৬১।
হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) স্বীয় বিবি আয়েশা খশামিয়াকে এক সঙ্গে তিন তালাক দিয়ে দেন। পরে জানতে পারলেন যে সে (স্ত্রী) ইমাম হাসানের বিচ্ছেদে অনেক কান্নাকাটি করছে। এ খবর শুনে তিনি নিজেও কাঁদলেন এবং বললেন, যদি আমি আমার আব্বাজান সৈয়্যদুনা হযরত আলী (رضي الله عنه)কে এ রকম বলতে না শুনতাম- “যে কেউ নিজের স্ত্রীকে পৃথক পৃথক বা এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে, সেই মহিলা দ্বিতীয় স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্তা না হওয়া পর্যন্ত ওর জন্য জায়েয হবে না।”
¶ (ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৪৯, হাদিস-১৪৯৭১)
তাহলে নিশ্চয় আমি ওকে পুনরায় গ্রহণ করে নিতাম। হাদীছের শেষের বাক্যটি হচ্ছে-
لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ جَدِّي أَوْ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ سَمِعَ جَدِّي يَقُولُ: أَيُّمَا رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا عِنْدَ الْأَقْرَاءِ أَوْ ثَلَاثًا مُبْهَمَةً لَمْ تَحِلَّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ
قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فَقَالَ: طَلَّقْتُ امْرَأَتِي أَلْفًا قَالَ: ثَلَاثٌ تُحَرِّمُهَا عَلَيْكَ وَاقْسِمْ سَائِرَهَا بَيْنَ نِسَائِكَ
অর্থাৎ এক ব্যক্তি সৈয়্যদুনা আলী (رضي الله عنه) এর খিদমতে হাজির হয়ে বললেন- আমি আমার স্ত্রীকে হাজার তালাক দিয়েছি। হযরত আলী (رضي الله عنه) ফরমালেন তিন তালাকের দ্বারাই সে তোমার জন্য হারাম হয়ে গেল, বাকী তালাক সমূহ তোমার অন্যান্য স্ত্রীসমূহের মধ্যে বন্টন করে দাও। অর্থাৎ ওগুলো অর্থহীন।
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৪৭, হাদিস/১৪৯৬১; ইমাম ইবনে আবি শায়বাহ, আল-মুসান্নাফ, খণ্ড-৪, পৃষ্ঠা-৬২, হাদিস-১৭৮০২।
এটা সুস্পষ্ট যে ওই লোকটি হাজার তালাক হাজার মাসে দেয়নি। তাহলে তো ছিয়াশি বছর দুমাস তালাকের জন্য অতিবাহিত হয়ে যেত। নিশ্চয়ই এক সঙ্গে দিয়েছে এবং সৈয়দুনা মওলা আলী (رضي الله عنه) তিন তালাক কার্যকরী হওয়ার কথা বলেছেন।
عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ
অর্থাৎ ইমাম জাফর সাদিক স্বীয় পিতামহ হযরত আলী (رضي الله عنه) এর বরাত দিয়ে রেওয়ায়েত করেছেন- তিনি বলেছেন- যে কেউ নিজের স্ত্রীকে এক সঙ্গে তিন তালাক দিয়ে দিলে, দ্বিতীয় স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্তা হওয়া ব্যতীত সেই স্ত্রী ওর জন্য হালাল হবে না।
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৪৭, হাদিস/১৪৯৬০
এর প্রতি জোরালো সমর্থন বায়হাকী শরীফে আবি ইয়ালা বর্ণিত এ হাদীছে রয়েছে
عَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِيمَنْ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا قَبْلَ أَنْ يَدْخُلَ بِهَا قَالَ: " لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৪৭, হাদিস/১৪৯৫৯
فَسَأَلَ أَبَا هُرَيْرَةَ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَا: " لَا نَرَى أَنْ تَنْكِحَهَا [ص:৫৪৯] حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَكَ " , قَالَ: إِنَّمَا كَانَ طَلَاقِي إِيَّاهَا وَاحِدَةً , فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: " إِنَّكَ أَرْسَلْتَ مِنْ يَدِكَ مَا كَانَ لَكَ مِنْ فَضْلٍ
¶ (বায়হাকী, সুনানুল কোবরা, সপ্তম খণ্ডে ৫৪৮ পৃষ্ঠা, হা/১৪৯৬৫ দ্রষ্টব্য।)
عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ لِابْنِ عَبَّاسٍ: طَلَّقْتُ امْرَأَتِي مِائَةً قَالَ: تَأْخُذُ ثَلَاثًا وَتَدَعُ سَبْعًا وَتِسْعِينَ
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৫২, হাদিস/১৪৯৭৭
أَنَّ رَجُلًا جَاءَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ: طَلَّقْتُ امْرَأَتِي أَلْفًا فَقَالَ: " تَأْخُذُ ثَلَاثًا وَتَدَعُ تِسْعَمِائَةٍ وَسَبْعَةً وَتِسْعِينَ
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৫১, হাদিস/১৪৯৭৬
عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّهُ قَالَ لِرَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلَاثًا: حُرِّمَتْ عَلَيْكَ
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৫১, হাদিস/১৪৯৭৬
عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ عَدَدَ النُّجُومِ فَقَالَ: إِنَّمَا يَكْفِيكَ رَأْسُ الْجَوْزَاءِ
¶ ইমাম বায়হাকী, আস-সুনানুল কোবরা, খণ্ড-৭, পৃষ্ঠা-৫৫২, হাদিস/১৪৯৮০
قَالَتْ: طَلَّقَنِي زَوْجِي ثَلَاثًا وَهُوَ خَارِجٌ إِلَى الْيَمَنِ، فَأَجَازَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
¶ ইমাম ইবনে মাযাহ, আস-সুনান, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৫০৭, হাদিস-২০২৪, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন; সুনানে দারা কুতনী, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১০, হাদিস-৩৮৭২; সুনানে দারেমী, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১৩৬, হাদিস-২২৭৫; ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ, খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-৪১১
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ: أَنَّهُ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ الْبَتَّةَ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَسَأَلَهُ، فَقَالَ: مَا أَرَدْتَ بِهَا؟ قَالَ: وَاحِدَةً. قَالَ: آللَّهِ مَا أَرَدْتَ بِهَا إِلَّا وَاحِدَةً؟ قَالَ: آللَّهِ مَا أَرَدْتُ بِهَا إِلَّا وَاحِدَةً. قَالَ: فَرَدَّهَا عَلَيْهِ
এক সঙ্গে তিন তালাক দিলে যদি এক তালাকই কার্যকরী হতো, তাহলে হুযূর (ﷺ) হযরত রুকানাকে তাঁর নিয়তের কসম কেন করালেন? তিনি বলেছিলেন- أَنْتِ طَالِقٌ طَالِقٌ طَالِقٌ শেষের তালাক শব্দদ্বয় প্রথম তালাকের প্রতি জোর দেয়ার জন্যই বলেছিলেন। এ জন্য এক তালাকই ধরা হয়েছে।
¶ ইমাম ইবনে মাযাহ, আস-সুনান, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৬৬১, হাদিস-২০৫১; ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৬৩, হাদিস-২২০৮; ইবনে কাসির, জামিউল মাসানীদ, খণ্ড-৩২, পৃষ্ঠা-১১১, হাদিস-২৮৪৫।
এ রিওয়ায়েতটি একান্ত সহীহ ও নির্ভরযোগ্য। যেমন- ইবনে মাজা বলেন-
مَا أَشْرَفَ هَذَا الْحَدِيثَ
-‘‘এ হাদীছটি সনদের দিক দিয়ে খুবই উচ্চস্তরের।’’
¶ ইমাম ইবনে মাযাহ, আস-সুনান, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৬৬১, হাদিস-২০৫১
আবু দাউদ বলেছেন-
هَذَا أَصَحُّ مِنْ حديث ابن جريج
এ রিওয়ায়েতটি ইবনে জরিহের রিওয়ায়েতের তুলনায় অনেক বিশুদ্ধ। ৬৮২
¶ ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-২৬৩, হাদিস-২২০৮
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِيَاسٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَأَبَا هُرَيْرَةَ، وَعَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، سُئِلُوا عَنِ الْبِكْرِ يُطَلِّقُهَا زَوْجُهَا ثَلَاثًا؟ فَكُلُّهُمْ قَالُوا: لَا تَحِلُّ لَهُ حَتَّى تَنْكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ. قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَى مَالِكٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ الْأَشَجِّ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ أَبِي عَيَّاشٍ، أَنَّهُ شَهِدَ هَذِهِ الْقِصَّةَ
¶ সুনানে আবি দাউদ, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৪৫০, হাদিস-২১৯৮, ইমাম আব্দুর রায্যাক, আল-মুসান্নাফ, খণ্ড-৬, পৃষ্ঠা-২৬২-২৬৩, হাদিস-১১১২২, ইমাম তাহাভী, শরহে মা’আনীল আছার, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৫৭, হাদিস-৪৪৭৯।
فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: إِنَّ النَّاسَ قَدِ اسْتَعْجَلُوا فِي أَمْرٍ قَدْ كَانَتْ لَهُمْ فِيهِ أَنَاةٌ، فَلَوْ أَمْضَيْنَاهُ عَلَيْهِمْ، فَأَمْضَاهُ عَلَيْهِمْ
¶ ইমাম মুসলিম, আস-সহীহ, কিতাবুত-তালাক, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-১০৯৯, হাদিস/১৪৭২
لأن الحكم فيها لا يقبل الفصل عن السبب؛ لأنه إسقاط فيتلاشى
¶ মীরগীনানী, হেদায়া, পৃষ্ঠা-১৮০, আইনী, বেনায়া শারহুল হেদায়া, ৯/২৩১ পৃ:
অর্থাৎ ইসকাতে হুকুমকে স্বীয় সবব (কারণ) থেকে পৃথক করা যায় না। তালাক বলাটা হচ্ছে এসব (কারণ) এবং তালাক কার্যকরী হওয়াটা হচ্ছে এর হুকুম। তালাক দ্বারাই স্বামীর অধিকার বাস্তবায়িত হয়। সবব (কারণ) পাওয়া গেল, হুকুম পাওয়া গেল না অর্থাৎ দিল তিন তালাক, কার্যকরী হলো এক, তা হতে পারে না।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫৭) এক সঙ্গে তিন তালাক প্রদান সম্পর্কিত আলোচনা | (০৫৯) আলোচ্য মাসআলা প্রসঙ্গে উত্থাপিত আপত্তির জবাব |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |