আল-কুরআন আল্লাহ্ তরফ থেকে মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর ওপর নাযিল হয়েছে, যা অক্ষরের অবয়বে মাসহাফে লিপিবদ্ধ। দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এ কুরআন অবতীর্ণ হয়। অর্থের দিক দিয়ে কুরআনের সমস্ত আয়াত মর্যাদায় সমান। আল্লাহ্ রহমতের কথা কিংবা তাঁর গযবের বর্ণনা, তাঁর সন্তোষভাজনদের উল্লেখ কিংবা তাঁর দুশমনদের কথা, তাঁর সিফাত কিংবা বিধি-বিধানের কথা সবকিছুই বাক্য ও মর্মের দিক দিয়ে সম মর্যাদাসম্পন্ন। তবে কোন কোন আয়াতের মধ্যে বর্ণিত বিষয়ের মর্যাদার কারণে তার মর্যাদা দ্বিগুণ হয়ে যায় ৷ যেমন আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাস প্রভৃতি। এতো আল্লাহর কালাম। এদিক দিয়ে এর মর্যাদা অন্যান্য আয়াতের সমান । যেহেতু এতে মহামহিম আল্লাহর যাত সম্পর্কে বর্ণনা রয়েছে, তাই বর্ণিত বিষয়ের মর্যাদার কারণে এর মর্যাদা অন্যান্য আয়াতের মর্যাদার চাইতে অনেক বেশি। যেমন সূরা লাহাবে আবূ লাহাবের কথা আছে। এ কারণে আয়াত হিসাবে এর মর্যাদা অন্যান্য আয়াতের সমান। তবে যেহেতু আবূ লাহাব কাফির হওয়ার কারণে তার কোন বৈশিষ্ট্য নেই, নেই কোন শ্রেষ্ঠত্ব, তাই এ আয়াতেরও কোন ফযীলত অন্য আয়াতের ওপরে নেই। কিন্তু আল্লাহর বাণী হওয়ার কারণে এ আয়াতসমূহ তাঁর অন্যান্য বাণীর সম মর্যাদাসম্পন্ন ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(৪৭) ৪১. আল্লাহর সিফাতের ভাষান্তর বৈধ তবে يد এর নয় । তাঁর নৈকট্য ও দূরত্ব | (৪৯) ৪৩. আল্লাহর নাম ও সিফাত সমান |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |