আল-কুরআনে কাফিরদের জন্য ধমকি ও ভীতি প্রদর্শনের যত আয়াত এসেছে মীযান ও ওজন সম্পর্কে তার চাইতে অধিক আয়াত এসেছে। কারণ ওজন ও মীযান মু'মিন ও কাফির উভয়ের জন্য। কুফরীর শাস্তির স্তর ও ঈমানের পুরস্কারের ও মর্যাদার মান নির্ধারণের জন্য এর স্থাপনা। আল-কুরআনে এসেছে : সেদিনের ওজন সত্য, যাদের পাল্লা ভারী হবে তারাই হবে সফলকাম। (৮ : ৮) আর যাদের পাল্লা হালকা হবে তারাই নিজেদের ক্ষতি করেছে, কেননা তারা আমার আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যান করতো। (৭ : ৯) কিয়ামতের দিন আমি স্থাপন করবো ন্যায়বিচারের মানদণ্ড, সুতরাং কোন অবিচার করা হবে না কারো প্রতি এবং কর্ম যদি তিল পরিমাণ ওজনেরও হয় তবুও তা আমি উপস্থিত করবো। হিসাব গ্রহণে আমি যথেষ্ট। (২১ : ৪৭) এ সম্পর্কে আল-কুরআনের ২৩ : ১০২, ১০৩; ১০১ঃ ৬, ৮ দ্রষ্টব্য।
ইমাম আ'যম (র) বলেন যে, মীযান যেমন সত্য-সঠিক, তেমনি আমলনামাও সত্য এবং আমলনামা পাঠ করাও সত্য। আল কুরআনে এসেছে : তুমি তোমার আমলনামা পাঠ কর, আজ তুমি নিজেই তোমার হিসাব-নিকাশের জন্য যথেষ্ট। (১৭ঃ ১৪) আর যাকে দেওয়া হবে তার আমলনামা তার ডান হাতে, তার হিসাব-নিকাশ সহজেই নেয়া হবে, এবং সে ফিরবে তার আপনজনদের কাছে প্রফুল্ল চিত্তে। তবে যাকে দেওয়া হবে তার আমলনামা তার পিঠের পেছন দিক থেকে, অবশ্যই সে তার ধ্বংস আহ্বান করবে এবং জ্বলন্ত অগ্নিতে প্রবেশ করবে। (৮৪ : ৭-১২) ইমাম আ'যম (র) মীযানের উল্লেখ করেছেন, কিন্তু আমলনামা ও হিসাবের উল্লেখ করেননি । কারণ এ দু'টির জন্যই তো মীযান। তাছাড়া যদি হিসাব না থাকবে, মীযান থাকবে কি জন্য ? আর আমলনামা না থাকলে হিসাব হবে কিসের ভিত্তিতে ? তাই মীযান উল্লেখ করে হিসাব ও আমলনামার কথাও এর মধ্যে তিনি বলতে চেয়েছেন ও বলেছেন ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(৩৯) ৩৩. নবীদের শাফায়াত হক | (৪১) ৩৫. হাওযে কাওসার |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |