সমস্ত আম্বিয়া ও আমাদের নবী (সা) হাশরের দিন শাফায়াত করবেন। মু'মিনদের মধ্যে যারা ছগীরা গুনাহ্ করে শাস্তির যোগ্য হয়েছে এবং কবীরা গুনাহ করার কারণে যাদের ওপর শাস্তি অবধারিত হয়েছে, এদের সকলের জন্য তাঁরা শাফায়াত করতে পারবেন। আল-কুরআনে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-কে বলা হয়েছেঃ
আপনি ক্ষমা প্রার্থনা করুন আপনার ও মু'মিন নর-নারীদের গুনাহের জন্য।
(৪৭ঃ ১৯)
আরো বলা হয়েছেঃ
কেউ শাফায়াতের অধিকারী হবে না সেদিন তবে সে যে গ্রহণ করেছে দয়াময় আল্লাহর কাছে প্রতিশ্রুতি।
(১৯ঃ ৮৭)
সেদিন কোন কাজে আসবে না শাফায়াত, তবে তার শাফায়াত কাজে আসবে যাকে অনুমতি দিবেন দয়াময় আল্লাহ্ এবং যার কথা তিনি পছন্দ করবেন।
(২০ : ১০৯)
যাকে অনুমতি দেওয়া হবে সে ছাড়া অন্য কারো শাফায়াত আল্লাহর কাছে কোন কাজে আসবে না।
( ৩৪ঃ ২৩)
রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর শাফায়াত ও আম্বিয়া (আ)-এর শাফায়াত সম্পর্কে হাদীস গ্রন্থসমূহে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আহমদ, আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবন হাব্বান ও হাকিম আনাস (রা) থেকে ; তিরমিযী, ইবন মাজা, ইবন হাব্বান ও হাকিম জাবির (রা) থেকে ; তিবরানী ইবন আব্বাস (রা) থেকে ; খাতীব ইবন উমর (রা) ও কা'ব ইবন উজরা (রা) থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর শাফায়াত সম্পর্কে রিওয়ায়াত করেছেন। রাসূলুল্লাহ্ (সা) শুধু তাঁর গুনাহগার উম্মতকেই শাফায়াত করবেন না, বরং সব নবী রাসূলদের উম্মতদের শাফায়াত করবেন।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(৩৮) ৩২. আল্লাহ্ অনুগ্রহশীল, ন্যায়বিচারক | (৪০) ৩৪. কিয়ামতের দিন মীযানে আমলের ওজন সত্য |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |