আল্লাহকে জানা, দীনের ব্যাপারে একীন রাখা, শুধু আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি মহব্বত রাখা, ক্বাযা ও কদরে সন্তুষ্ট থাকা, আল্লাহর আযাব ও গযবের ভয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি ও সওয়াবে আকাঙ্খা এবং আল্লাহর যাত ও সিফাতের প্রতি ঈমানের ব্যাপারে সমস্ত মু'মিনরা সমানভাবে আদিষ্ট। হযরত উমর (রা) বলেনঃ
হাশরের দিন যদি ঘোষণা দেয়া হয় যে, একজন শুধু বিহিশতে যাবে, তবে আশা করব আমিই হবো ; যদি ঘোষণায় বলা হয় যে, শুধু একজন দোযখে যাবে, তবে ভয় করব যে, হয়তো আমিই হবো ।
হযরত আলী (রা) বলেনঃ
যদি কেউ কোন পার্থিব বস্তু লাভের আশায় ইবাদত করে, তবে সে ব্যবসায়ী, যদি কেউ ভয়ে শঙ্কিত হয়ে ইবাদত করে, তবে সে দাস ; যদি কেউ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ইবাদত করে, তবে সে আজাদ, স্বাধীন।
হাদীসে কুদসীতে এসেছেঃ
আমি তো আমার বান্দার কাছে তার ধারণা অনুযায়ী, তাই সে ধারণা করুক আমার সম্পর্কে যেমন সে চায়।
বর্ণিত আছে, যে শুধু আল্লাহর মহব্বতের জন্য ইবাদত করে, সে হলো যিনদীক; যে শুধু তাঁর ভয়ে ইবাদত করে, সে হলো হুরুরী; যে শুধু তাঁর সওয়াবের আশায় ইবাদত করে, সে হলো মুরজিয়া । আর যে তাঁর মহব্বতে, ভয়ে ও আশায় ইবাদত করে, সে হলো মু'মিন একত্ববাদী ।
কর্মের দিক দিয়ে মু'মিনরা উপরোক্ত যাবতীয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন হয়ে থাকেন। নির্দেশ পালনের ক্ষেত্র হিসাবে সবাই সমান। কিন্তু আমলের তারতম্যের কারণে মর্যাদার তারতম্য হয়। ইমাম আবূ জা'ফর তাহাবী বলেনঃ
ঈমান তো এক। কিন্তু যারা ঈমানের ধারক তারা তাকওয়ার কারণে, রিপু নিয়ন্ত্রণের কারণে, ইবাদতে নিরবচ্ছিন্নতার কারণে, আল্লাহ্ ভীতির কারণে ও অন্যান্য কারণে মর্যাদার দিক দিয়ে বিভিন্ন হয়ে থাকেন।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(৩৬) ৩০. মানুষ তার ক্ষমতা অনুযায়ী আল্লাহকে জানে ও তাঁর ইবাদত করে | (৩৮) ৩২. আল্লাহ্ অনুগ্রহশীল, ন্যায়বিচারক |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |