নবী-রাসূলদের নবুওয়াত ও রিসালাতের স্বপক্ষে দলীল হিসাবে চ্যালেঞ্জ স্বরূপ যেসব অস্বাভাবিক বিস্ময়কর ঘটনার অবতারণা হয়েছে, তা কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত। মু'জিযার জন্য নবুওয়াতের ও রিসালাতের দাবি থাকা শর্ত। আর কারামতের জন্য এ ধরনের শর্ত নেই। তবে কোন নবীর উম্মত হতে হবে। তার কারামত নবীর নবুওয়াতের সত্যতার স্বীকৃতি। ওলী তিনি, যিনি আল্লাহ্ সম্পর্কে ভাল অবহিত, তাঁর ইবাদতে সদা রত, তাঁর নিষেধসমূহ বর্জনকারী, পার্থিব ভোগ বিলাসে অনাসক্ত, ষড়রিপুর ওপর নিয়ন্ত্রণকারী। রাসূলুল্লাহ্ (সা) বলেছেনঃ
তোমরা মু'মিনের ফিরাসাতকে ভয় করবে, কেননা সে দেখে আল্লাহর নূর দিয়ে।
তারপর তিনি সূরা আল-হিজর ১৫, আয়াত ৭৫ তিলাওয়াত করেনঃ
নিশ্চয় এতে রয়েছে নিদর্শন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য।
ফিরাসত-দূরদৃষ্টি বা অন্তর্দৃষ্টি তিন প্রকারঃ ফিরাসতে ঈমানিয়া, যা ঈমানের কারণে আল্লাহ্ তা'আলা অন্তরে পয়দা করেন, ফিরাসাতে রিয়াযিয়া, যা সাধনার মাধ্যমে অর্জন করে এবং ফিরাসাতে খালকিয়া, যা স্বভাবজাত। এখানে যে ফিরাসাতের কথা হাদীসে বলা হয়েছে তা প্রথম প্রকার ফিরাসাত। হযরত উমর (রা)-এর পত্রের দরুণ নীলনদের প্রবাহ সঞ্চারণ ; মদীনার মসজিদের মিম্বারে দাঁড়িয়ে নিহাওয়ান্দের যুদ্ধের সেনাপতিকে পাহাড়ের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করার নির্দেশ প্রদান ও তাঁর সে নির্দেশ শুনে সে অনুযায়ী কাজ করা ; হযরত খালিদ (রা)-এর বিষ পান করা ও তাতে কোন ক্রিয়া না করা ইত্যাদি সাহাবীদের থেকে প্রদর্শিত কয়েকটি কারামত । নবী-রাসূলদের মু'জিযাসমূহ কুরআনে ও হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(২৬) ২০. রিয়া ও অহংকার কর্মফল বিনষ্ট করে | (২৮) ২২. আল্লাহর দুশমনদের থেকে প্রকাশিত অলৌকিক ঘটনা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |