بسم الله الرحمن الرحيمِ
من الفقه الأكْبر للْإِمام الأعظم رضي الله تعالى عنه
أصل التوحيد وما يصح الاعتقاد عليه يجب أن يقول
(১) তাওহীদের মূল এবং যার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা বাঞ্ছনীয় তাহলো অনিবার্যভাবে একথা বলাঃ
٢ آمنت بالله وملائكته وكتبه ورسله
(২) আমি ঈমান এনেছি আল্লাহতে, তাঁর ফিরিশতায়, তাঁর কিতাবে, তাঁর রাসূলে
والْبعث بعد الموت والقدر خيره وشره من الله تعالى
মৃত্যুর পর জীবিত হওয়ায়, অদৃষ্টে যার ভালমন্দ সবই আল্লাহর তরফ থেকে
والحساب والميزان والجنة والنار حق كله
এবং হিসাব, মিযান, বিহিশত, দোযখ সবই সত্য
والله تعالى واحد ، لا من طريق العدد ولكن من طريق أنه
(৩) আল্লাহ্ তা'আলা এক, ইহা সংখ্যার দিক দিয়ে নয়, বরং এদিক দিয়ে
لا شريك له، قل هو الله أحد ، الله الصمد ، لم يلد
যে, তার কোন শরীক নেই। আপনি বলুন : তিনিই আল্লাহ্ এক অদ্বিতীয় ; আল্লাহ্ কারো মুখাপেক্ষী নন, সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী ; তিনি কাউকে জন্ম দেন নি
ولم يولد ، ولم يكن له كفوا أحد . (سورة الاخلاص)
এবং তাকেও জন্ম দেওয়া হয় নি ; আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
لا يشبه شيئا من الأشياء من خلقه ، ولا يشبهه شىء من خلقه
তিনি তাঁর সৃষ্টির কোন বস্তুর মত নন এবং তাঁর সৃষ্টির কোন বস্তুও তাঁর মত
لم يزل ولا يزال بأسمائه وصفاته الذاتية والفعلية
তিনি অনাদি, তিনি অনন্ত স্বীয় সত্তাগত ও ক্রিয়াগত নাম ও গুণাবলীসহ ।
أما الذاتية فالحياة والقدرة والعلم والكلام والسمع
তার সত্ত্বাগত গুণঃ জীবন, শক্তি, জ্ঞান, কথা, শ্রবণ
والبصر والارادة ، واما الفعلية فالتخليق
দর্শন, ইচ্ছা। আর তাঁর ক্রিয়াগত গুণ : সৃষ্টি করা,
والترزيق والإنشاء والإبداع والصنع وغير ذلك من صفات الفعل
আহার্য দান করা, আরম্ভ করা, উদ্ভাবন করা, তৈরি করা, এরূপ অন্যান্য ক্রিয়াগত গুণ ।
٤ لم يزل ولا يزال بأسمائه وصفاته ، لم يحدث له اسم ولا صفة
(৪) তিনি অনাদি, তিনি অনন্ত স্বীয় নাম ও গুণ সহ। কোন নতুনত্ব নেই তাঁর নামে আর গুণে ।
لم يزل عالما بعليه ، والعلم صفة في الأزل : وقادرا بقدرته ، ؛ بعلمه ،
তিনি স্বীয় জ্ঞানে সর্বদা জ্ঞানী, আর জ্ঞান তাঁর স্থায়ীগুণ ; এবং তিনি স্বীয় শক্তিতে শক্তিমান,
والقدرة صفة فى الازل ؛ متكلما بكلامه
আর শক্তি তাঁর স্থায়ী গুণ ; তিনি স্বীয় বাণীতে বাঙ্ময়,
والكلام صفة في والكلام صفة في الازل ؛ وخالفا بتخليقه ، والتخليق صفة في الازل
আর বাণী তাঁর স্থায়ী গুণ ; তিনি স্রষ্টা স্বীয় সৃষ্টিতে, আর সৃষ্টি তাঁর স্থায়ী গুণ ;
وفاعلا بفعله ، والفعل صفة في الأزل
তিনি কর্তা স্বীয় কর্মে, আর কর্ম তাঁর স্থায়ী গুণ ;
والفاعل هو الله تعالى ، الفعل صفة في الأزل
আল্লাহ্ তা'আলাই কর্তা এবং তাঁর ক্রিয়া স্থায়ী গুণ,
والمفعول مخلوق ، وفعل الله تعالى غير مخلوق
কর্ম হলো সৃষ্ট এবং আল্লাহ্ তা'আলার ক্রিয়া অবিনশ্বর ;
وصفاته فى الأزل غير محدثة ، ولا مخلوقة. وصفاته
আর তাঁর গুণাবলী চিরন্তন, শাশ্বত ও অবিনশ্বর ।
فمن قال : انها مخلوقة او محدثة او وقف او شك فيها
সুতরাং যে বলে : এসব সৃষ্ট অথবা নশ্বর, অথবা সিদ্ধান্ত প্রকাশে চুপ থাকে, অথবা তাতে সন্দেহ পোষণ করে,
فهو كافر بالله تعالى
সে তো অস্বীকার করে আল্লাহ্ তা'আলাকেই।
والقران كلام الله تعالى في المصاحف مكتوب
(৫) আল কুরআন আল্লাহ্ তা'আলার বাণী যা গ্রন্থে লিপিবদ্ধ,
وفي القلوب محفوظ وعلى الالسن مقرو، وعلى النبي عليه
অন্তরে সুরক্ষিত, রসনায় পঠিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
الصلاة والسلام منزل ، ولفظنا بالقران مخلوق
ওয়া সাল্লামের ওপর অবতীর্ণ। আল কুরআনে আমাদের উচ্চারণ সৃষ্ট,
وكتابتنا له مخلوقة وقراء تنا له مخلوقة ، والقران غير مخلوق
তাতে আমাদের লিখন সৃষ্ট, তাতে আমাদের পঠন সৃষ্ট, কিন্তু আল কুরআন সৃষ্ট নয়-শ্বাশত
وما ذكر الله تعالى فى القران حكاية عن موسى وغيره من الانبياء
যা কিছু আল্লাহ্ তা'আলা আল কুরআনে ঘটনা হিসাবে বর্ণনা করেছেন মুসা ও অন্যান্য আম্বিয়া
عليهم الصلاة والسلام وعن فرعون وابليس فان ذلك كله كلام الله تعالى
আলাইহিস সালাত ওয়াস সালাম এবং ফিরআউন ও ইবলীস সম্পর্কে, তা সবই আল্লাহ্ তা'আলার বাণী
اخبارا عنهم ، وكلام الله تعالى غير مخلوق وكلام موسى وغيره من المخلوقين
তাদের সংবাদ সম্বলিত। আল্লাহ্ তা'আলার বাণী সৃষ্ট নয়--শাশ্বত। মূসা ও অন্যান্য সৃষ্ট জীবের
مخلوق ، والقران كلام الله تعالى فهو قديم لا كلامهم
কথা সৃষ্ট-নশ্বর। আল কুরআন আল্লাহ্ তা'আলার বাণী--যা চিরন্তন, কিন্তু তাদের কথা চিরন্তন নয় ।
وسمع موسى عليه السلام كلام الله تعالى كما قال الله تعالى : وكلم الله
(৬) মুসা (আ) আল্লাহ্ তা'আলার বাণী শ্রবণ করেছিলেন, যেমন আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন: আর কথা বলেছিলেন আল্লাহ্
موسى تكليما (النساء ١٦٤/٤) وقد كان الله تعالى متكلما ولم يكن كلم موسى عليه السلام
মূসার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে (নিসা: ৪/১৬৪) আল্লাহ্ তা'আলা হলেন শাশ্বত বক্তা। কিন্তু মূসা (আ) সেরূপ নন।
وقد كان الله تعالى خالقا في الأزل وليس كمثله شي وهو السميع البصير
আল্লাহ্ তা'আলা হলেন শাশ্বত স্রষ্টা এবং কোন কিছু তাঁর মত নয় আর তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।
فلما كلم الله موسى كلمه بكلامه الذي هو له صفة في الأزل وصفاته كلها
যখন আল্লাহ্ মূসার সঙ্গে কথা বলেছেন তখন স্বীয় বাণী দিয়েই বলেছেন যা তাঁর শাশ্বত গুণ, আর তাঁর যাবতীয় গুণ
بخلاف صفات المخلوقين يعلم لا كعلمنا ويقدر لا كقدرتنا
সৃষ্ট জীবের গুণ থেকে আলাদা। তিনি জানেন তবে আমাদের জানার মত নয়। তিনি শক্তি রাখেন তবে আমাদের শক্তির মত নয়।
ويرى لا كرؤيتنا ويسمع لا كسمعنا ويتكلم لا ككلامنا
তিনি দেখেন তবে আমাদের দেখার মত নয়। তিনি শুনেন তবে আমাদের শুনার মত নয়। তিনি কথা বলেন তবে আমাদের কথা বলার মত নয়। নয়।
ونحن نتكلم بالآلات والحروف ، والله تعالى يتكلم بلا آلة ولا حروف
কেননা আমরা তো কথা বলি উপকরণ ও বর্ণের সাহায্যে আর আল্লাহ্ তা'আলা কথা বলেন উপকরণ ও বর্ণ ছাড়া।
والحروف مخلوقة ، وكلام الله تعالى غير مخلوق .
বর্ণসমূহ সৃষ্ট আর আল্লাহ্ তা'আলার কথা সৃষ্ট নয়।
وهو شي لا كالأشياء ، ومعنى الشي إثباته بلاجسم ولا جوهر
(৭) তিনি বস্তু তবে অন্যান্য সৃষ্ট বস্তুর মত নন। আর তাঁর বস্তু হওয়ার অর্থ তাঁর সত্তার নিত্যতার স্বীকৃতি দেয়া যে, তিনি দেহহীন, তিনি মৌল বস্তুও নন
ولا عرض ولا حد له ولا ضد له ولا يد له ولا مثل له .
এবং পরাশ্রয়ী বস্তুও নন, তাঁর কোন সীমা নেই, তাঁর কোন প্রতিপক্ষ নেই, তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং কোন সাদৃশ্যও নেই।
وله يد و وجه ونفس ، كما ذكره الله تعالى في القرآن
তাঁর হাত আছে, চেহারা আছে এবং প্রাণ আছে, যেরূপ আল কুরআনে আল্লাহ্ তা'আলা তা বর্ণনা করেছেন।
فما ذكره الله تعالى في القرآن من ذكر الوجه واليد والنفس
তবে আল্লাহ্ তা'আলা আল কুরআনে চেহারা, হাত ও প্রাণ সম্পর্কে যা উল্লেখ করেছেন
فهو له صفات بلا كيف ، ولا يقال : إن يده قدركه أو نعمته
، তা অবশ্যই তাঁরই গুণাবলী যার ধরন জানা নেই। একথা কদাচ বলা যাবে না যে, তাঁর হাত মানে তাঁর শক্তি অথবা তাঁর দান।
لأن فيه ابطال الصفة ، وهو قول أهل القدر والإعتزال
কেননা এতে রয়েছে গুণের অস্বীকৃতি। আর ইহা কাদারিয়া ও মু'তাযিলাদের মতবাদ।
ولكن يده صفته بلا كيف ، وغضبه ورضاه صفتان من صفاته تعالى بلا كيف .
বস্তুত: তাঁর হাত তাঁরই গুণ যার ধরন ও প্রকৃতি জানা নেই। অনুরূপভাবে তাঁর ক্রোধ এবং তাঁর সন্তুষ্টি তাঁর গুণাবলীর দুটি, গুণ যার ধরন ও প্রকৃতি জানা নেই।
خلق الله تعالى الأشياء لا من شيء،
(৮) আল্লাহ্ তা'আলা যাবতীয় বস্তু সৃষ্টি করেছেন তবে তা কোন বস্তু থেকে নয়।
وكان الله تعالى عالما في الأزل بالأشياء قبل كونها ،
সব বস্তুর অস্তিত্বের পূর্বেই আল্লাহ তা'আলা সে সম্পর্কে আদিতেই অবহিত ছিলেন।
وهو الذي قدر الأشياء وقضاها
(৯) তিনিই নির্ধারণ করেছেন যাবতীয় বস্তু এবং নির্দেশ করেছেন তা।
ولا يكون في الدنيا ولا في الآخرة شي
দুনিয়া ও আখিরাতে কোন কিছুই সংঘটিত হয় না
إلا مشيئته وعلمه وقضائه وقدره وكتبه في الأوح المحفوظ
তাঁর ইচ্ছা, তাঁর জ্ঞান, তাঁর সিদ্ধান্ত, তাঁর নির্ধারণ এবং লওহে মাহফুযে তাঁর লিখন ছাড়া।
ولكن كتبه بالوصف لا بالحكم . والقضاء والقدر والمشيئة
তবে তাঁর এ লিখন সংঘটনের বর্ণনারূপে, নির্দেশরূপে নয়। সিদ্ধান্ত, নির্ধারণ ও ইচ্ছা
صفاته في الأزل بلا كيف ، يعلم الله تعالى المعدوم في حال عدمه
তাঁর শাশ্বত গুণ, যার প্রকৃতি ও ধরন জানা নেই। আল্লাহ্ তা'আলা অনস্তিত্বময় বস্তুকে অস্তিত্বে না থাকা অবস্থায়ই
معدوما : ويعلم أنه كيف يكون إذا أوجده -
অনস্তিত্বময় বস্তু হিসাবে জানেন। এবং তা অস্তিত্বে আনয়ন করলে কিরূপ হতো তাও তিনি জানেন।
ويعلم الله تعالى الموجود في حال وجوده موجودا : ويعلم أنه كيف يكون فناؤه -
আল্লাহ তা'আলা অস্তিত্বে থাকা অবস্থায়ই অস্তিত্বশীল বস্তু হিসাবে জানেন। এবং তার বিলুপ্তি কিরূপে হবে তাও তিনি জানেন।
ويعلم الله تعالى القائم في حال قيامه قائما ، وإذا قعد علمه قاعدا
যেমন তিনি কোন দণ্ডায়মান ব্যক্তিকে তার দাঁড়ানো অবস্থায় দণ্ডায়মান হিসাবে জানেন এবং যখন সে উপবেশন করে তখন তাকে উপবিষ্ট হিসাবে জানেন
في حال قعوده من غير أن يتغير علمه أو يحدث له علم
তার উপবেশনের অবস্থায়; এতে তাঁর জ্ঞানে কোন পরিবর্তন সাধিত হয় না, আর না কোন নতুন জ্ঞানের প্রয়োজন হয়।
ولكن التغير والاختلاف يحدث في المخلوقين
-কেননা পরিবর্তন ও বিবর্তন সংঘটিত হয় সৃষ্টির মাঝে।
١٠. خلق الله تعالى الخلق سليما من الكفر والإيمان
(১০) আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সৃষ্টিকে ঈমান ও কুফর থেকে মুক্ত অবস্থায় সৃষ্টি করেছেন।
، فكفر من ثم خاطبهم وأمرهم ونهاهم ، ف من كفر بفعله ،
তারপর তিনি তাদের সম্বোধন করেছেন, আদেশ দিয়েছেন তাদের ও নিষেধ করেছেন তাদের। অতঃপর তাদের কেউ কেউ কুফরী করেছে স্বীয় কর্মের দ্বারা,
وإنكاره وجحوده بخذلان الله تعالى إياه ، وآمن من آمن بفعله
অস্বীকার ও অবাধ্যতার মাধ্যমে ছেড়ে দিয়ে আল্লাহকে। এবং তাদের কেউ কেউ ঈমান এনেছে স্বীয় কর্মের দ্বারা,
الله تعالى إياه ونصرته له واقراره وتصديقه بتوفيق الله تعالى إياه.
স্বীকৃতির দ্বারা, এবং অন্তরের প্রত্যয় দ্বারা, আল্লাহ্ তা'আলার তাওফীকে ও তার প্রতি আল্লাহর মদদে।
أخرج ذرية آدم من صلبه على صور الدر ، فجعلهم عقلاء . (فجعل لهم عقلا )
আদম (আ)-এর পৃষ্ঠ থেকে তাঁর সন্তানদের বের করেছেন, অতি ক্ষুদ্র পিঁপড়ার মত। তাদের দিয়েছেন জ্ঞান,
فخاطبهم وأمرهم بالإيمان ونهاهم عن الكفر ، فأقروا له بالبونية
'অতঃপর তাদের সম্বোধন করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন ঈমান আনতে আর বারণ করেছেন কুফরী করতে, তখন তারা স্বীকৃতি দিয়েছিল তাঁর রাবুবিয়্যাতের।
فكان ذلك منهم إيمانا ، فهم يولدون على تلك الفطرة
আর ইহাই হলো তাদের প্রকৃত ঈমান এবং এই প্রকৃতির ওপরই তারা ভূমিষ্ঠ হয়।
ومن كفر بعد ذلك فقد بدل وغير : ومن آمن وصدق فقد ثبت
কিন্তু যে পরে কুফরী করল সে তো বদলে দিলো ও পরিবর্তন করে দিল (তার ঈমান কুফরী দিয়ে)। আর যে ঈমান আনলো এবং সত্য প্রমাণ করলো (তার ঈমানের অঙ্গীকার)
عليه وداوم ولم يجبر أحدا من خلقه على الكفر ولا على الإيمان
(১১) আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সৃষ্টির মধ্যে কাউকে বাধ্য করেন না কুফরী করতে আর না ঈমান আনতে, সে তো স্থির ও স্থায়ী রইলো (তার দীনে)।
ولا خلقهم مؤمنا ولا كافرا ، ولكن خلقهم أشخاصا
এবং তাদের কাউকে তিনি সৃষ্টি করেননি মু'মিন হিসাবে আর না কাফির হিসাবে। বরং তাদের সৃষ্টি করেছেন ব্যক্তি হিসাবে।
والإيمان والكفر فعل العباد . ويعلم الله تعالى من يكفر في حال كفره كافرا
ঈমান এবং কুফর বান্দার কর্ম। যে কুফরী করে তাকে আল্লাহ্ তা'আলা কুফরী করা অবস্থায় কাফির হিসাবে জানেন।
فإذا آمن بعد ذلك علمه مؤمنا في حال إيمانه
، পরে যখন সে ঈমান আনে তখন ঈমান আনা অবস্থায় তাকে মু'মিন হিসাবে জানেন,
من غير أن يتغير علمه وصفته
এতে তাঁর জ্ঞান ও তাঁর গুণের কোন পরিবর্তন হয় না।
١٢. وجميع أفعال العباد من الحركة والسكون كسبهم على الحقيقة . والله تعالى خالقها
(১২) প্রকৃতপক্ষে বান্দার কার্যাবলী যেমন গতি ও স্থিতি সবই তাদের উপার্জন, এবং আল্লাহ তা'আলা সে সবের স্রষ্টা,
وهي كلها بمستته وعلمه وقضائه وقدره
এবং সে সবই সংঘটিত হয় তাঁর ইচ্ছায়, তাঁর জ্ঞানে, তাঁর ফয়সালায় এবং তার নির্ধারণে।
والطاعات كلها كانت واحبة بأمر الله تعالى وبمحبته وبرضائه وعلمه ومنته وقضانه وتقديره
যাবতীয় ইবাদত আল্লাহ্ তা'আলার নির্দেশে, তাঁর ভালবাসায়, তাঁর সন্তুষ্টিতে, তাঁর জ্ঞানে তাঁর ইচ্ছায়, তাঁর ফয়সালায় ও তাঁর নির্ধারণ অনুযায়ী হয়।
والمعاصي كلها بعلمه وقضائه وتقديره
আর যাবতীয় পাপ সংঘটিত হয় তাঁর জ্ঞানে, তাঁর ফয়সালায়,
ومشيئته لا بمحبته ولا يرضائه ولا بأمره .
তাঁর নির্ধারণ অনুসারে কিন্তু তাঁর ভালবাসায় নয়, তাঁর সন্তুষ্টিতে নয় এবং তাঁর নির্দেশেও নয়।
والأنبياء عليهم الصلاة والسلام كلهم منزهون عن الصغائر والكبائر والكفر والقبائح
(১৩) সব নবীরা (আ) ছোট বড় পাপ থেকে পবিত্র, যেমন তাঁরা পবিত্র কুফর ও গর্হিত কাজ থেকে।
وقد كانت منهم زلات وخطايا
কিন্তু তাদের থেকে সংঘটিত হয়েছে ছোটখাট ত্রুটি-বিচ্যুতি ও ভুলভ্রান্তি।
١٤. ومحمد عليه الصلاة والسلام حبيبه وعبده ونبيه ورسوله وصفيه ونقيه .
(১৪) মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হলেন আল্লাহর বন্ধু, তাঁর বান্দা, তাঁর রাসূল, তাঁর নবী, তাঁর মনোনীত, তাঁর নির্বাচিত।
ولم يعبد الصنم ولم يشرك بالله تعالى طرفة عين قط ، ولم يرتكب صغيرة ولا كبيرة فت
এবং তিনি কখনো মূর্তিপূজা করেননি আর না তিনি এক পলকের জন্যও আল্লাহ্ তা'আলার সঙ্গে শরীক করেছেন। ছোট বা বড় কোন পাপ তিনি কখনো করেননি।
١٥وأفضل الناس بعد النبيين عليهم الصلاة والسلام أبو بكر الصديق
(১৫) নবীদের (আ) পরে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা),
ثم عمر بن الخطاب الفاروق ثم عثمان بن عفان ذو النورين ین
তাঁরপর হযরত উমর ইবন আল-খাত্তাব আল ফারূক (রা), তাঁরপর হযরত উসমান ইবন আফ্ফান যুন্নুরাইন (রা),
ثم على بن أبي طالب المرتضى رضوان الله تعالى عليهم أجمعين عابدين ثابتين على الحق ومع الحق كانوا :
তাঁরপর হযরত আলী ইবন আবূ তালিব আল মুরতাজা (রা)। এরা সবাই ছিলেন ইবাদতকারী, সত্যের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং সর্বদা অবিচল।
نتولاهم جميعا ، ولا تذكر أحدا من أصحاب رسول الله إلا بخير
এদের সবাইকে আমরা ভালবাসি। রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর সাহাবীদের কাউকে আমরা উত্তম ছাড়া স্মরণ করি না।
١٦. ولا تكفر مسلما بذنب من الذنوب وإن كانت كبيرة
(১৬) কোন পাপের কারণে আমরা কোন মুসলিমর্কে কাফির বলবো না যদিও সে পাপ বড় পাপ হয় (কবীরা গুনাহ),
، ونسميه مؤمنا حقيقة إذا لم يستحلها ، ولا نزيل عنه اسم الإيمان
যতক্ষণ না সে তা হালাল মনে করে; এবং তাঁর ঈমান নেই একথাও বলবো না; বরং তাকে প্রকৃত মু'মিন হিসাবেই নাম দিব।
ويجوز أن يكون مؤمنا فاسقا غير كافر .
এবং কোন মু'মিন ব্যক্তি ফাসিক হতে পারে কিন্তু কাফির নয়।
والمسح على الخفين سنة ، والتراويح في ليالي شهر رمضان سنة
(১৭) মোজার ওপর মসৃহে করা সুন্নতে রাসূল দ্বারা প্রমাণিত। রমযান মাসের রাতে তারাবীহ নামাযও অনুরূপ সুন্নত।
والصلاة خلف كل بر وفاجر من المؤمنين جائزة
(১৮) প্রত্যেক নেককার ও বদকার ও বদকার মু'মিনের পেছনে নামায আদায় করা বৈধ।
ولا تقول : إن المؤمن لا تصره الذنوب ، ولا تقول : أنه لا يدخل النار ، ولا تقول : إنه يخلد فيها
আমরা একথা বলি না যে, মু'মিন ব্যক্তিকে তার পাপ ক্ষতি করে না; এবং একথাও বলিনা যে, সে দোযখে প্রবেশ করবে না; আর একথাও বলিনা যে, সে চিরকাল তথায় থাকবে,
وإن كان فاسقا بعد أن يخرج من الدنيا مؤمنا ، ولا نقول : إن
যদিও সে হয় একজন ফাসিক আর দুনিয়া থেকে মু'মিন হিসাবে মৃত্যুবরণ করে থাকে। আমরা এ কথাও বলিনা যে,
حسناتنا مقبولة وسيئاتنا مغفورة كقول المرجنة ، ولكن تقول :
আমাদের নেককাজ গুলো গৃহীত এবং আমাদের গুনাহগুলো মার্জনাকৃত, যেমন মুরজিয়ারা বলে থাকে। বরং আমরা বলি:
من عمل حسنة بجميع شرائطها خالية عن العيوب المفسدة
যে কেউ ভাল কাজ করে তার যাবতীয় শর্ত সহকারে, যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সব ত্রুটিমুক্ত
والمعاني المبطلة ولم يبطلها بالكفر والردة حتى خرج من الدنيا مؤمنا -
এবং যা কুফরী ও ধর্মচ্যুতি বিনষ্ট করেনি এবং সে মু'মিন অবস্থায় দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়।
فإن الله تعالى لا يضيعها بل يقبلها منه ويشيبه عليها
তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তার নেক কাজগুলো বিনষ্ট করবেন না বরং তা তার থেকে কবুল করবেন এবং সেজন্য তাকে প্রতিদান দিবেন।
وما كان من السيئات دون الشرك والكفر ولم يتب عنها صاحبها حتى مات مؤمنا
(১৯) শিরক ও কুফর ছাড়া যেসব পাপ রয়েছে তা থেকে যদি কোন মু'মিন ব্যক্তি মৃত্যুর আগে তওবা না করে থাকে
فإنه في مشيئة الله تعالى، إن شاء عذبه بالنار، وإن شاء عفا عنه
তাহলে তার ব্যাপার আল্লাহর ইচ্ছার ওপর, তিনি ইচ্ছা করলে তাকে দোযখে শাস্তি দিবেন অথবা মাফ করে দিবেন,
ولم يعذبه بالنار أبدا
তবে তাকে চিরকালের জন্য দোযখের শাস্তি দিবেন না।
والرياء إذا وقع في عمل من الأعمال فإنه يبطل أجره ، وكذلك العجب
(২০) যখন কোন কাজে রিয়া অনুপ্রবেশ করে তখন তা সে কাজের প্রতিফল বিনষ্ট করে দেয় এবং অহঙ্কারও অনুরূপ।
والآيات ثابتة للأنبياء ، والكرامات الأولياء حق
(২১) নবীদের মু'জিযা প্রতিষ্ঠিত আর অলীদের কারামত সত্য।
٢٢ وأما التي تكون لأعدانه مثل أبليس وفرعون والدجال مما روي في الأخبار أنه كان ويكون لهم -
(২২) কিন্তু যেসব অলৌকিক ঘটনা আল্লাহ্ তা'আলার দুশমন যেমন ইবলীস, ফিরআউন ও দাজ্জালের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে, যা হাদীসে বর্ণিত আছে, সেগুলোকে আমরা
لا نسميها آيات ولا كرامات ولكن نسميها فضاء حاجات لهم
. মু'জিযা বা কারামত বলবো না, বরং সেসব তাদের প্রয়োজন মিটানোর জন্য সংঘটিত হয়েছিল এ কথাই বলবো।
وذلك لأن الله تعالى يقضى حاجات أعدائه استدراجا لهم وعقوبة لهم
কেননা আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর দুশমনদের প্রয়োজনসমূহ পূরণ করেন দুনিয়ায় তাদের কুমন্ত্রণার অবকাশের জন্য আর আখিরাতের শাস্তির জন্য।
فيغترون به ويزدادون طغيانا وكفرا ، ذلك كله جائز وممكن
، ফলে তারা এতে আরো উদ্ধত হয় এবং কুফরী ও অবাধ্যতায় বেড়ে যায়। এসবই বৈধ ও সম্ভব।
٢٣. وكان الله تعالى خالقا قبل أن يخلق ورازقا قبل أن يرزق
(২৩) আল্লাহ্ তা'আলা সৃষ্টি করার পূর্বেই স্রষ্টা এবং রিযকদানের পূর্বেই রিযকদাতা ছিলেন।
٢٤. والله تعالى يرى في الآخرة ، وبراه المؤمنون وهم في الجنة بأعين روسهم بلا تشبيه ولا كيفية .
(২৪) আখিরাতে আল্লাহ্ তা'আলাকে দেখা যাবে। বিহিশতে মু'মিনরা তাঁকে পরিমাপ-পরিমাণ-তুলনা ছাড়া চাক্ষুষ দেখবেন।
بينه وبين خلقه مسافحة ولا يكون بينه
তাঁর ও তাঁর সৃষ্টির মধ্যে কোন দূরত্ব থাকবে না।
٢٥ والإيمان هو الإقرار والتصديق ، وإيمان أهل السماء والأرض لا يزيد ولا ينقص من جهة المؤمن به
(২৫) ঈমান হল প্রকাশ্য স্বীকৃতি ও অন্তরের বিশ্বাস। আসমান ও যমীনের অধিবাসীদের ঈমান মু'মিন হিসাবে বাড়েও না এবং কমেও না।
٢٦. ويزيد وينقص من جهة اليقين والتصديق
(২৬) তবে প্রত্যয় ও বিশ্বাস হিসাবে ইহা বাড়ে ও কমে।
المؤمنون مستوون في الإيمان والتوحيد متفاضلون في الأعمال
(২৭) তওহীদ ও ঈমানের দিক দিয়ে সব 'মু'মিনরা সমান তবে আমলের নিরিখে মর্যাদায় তারতম্য হয়।
والإسلام هو التسليم والإنقياد لأوامر الله تعالى فمن طريق اللغة فرق بين الإيمان والإسلام ،
(২৮) ইসলাম হল আত্মসমর্পণ ও আল্লাহ্ তা'আলার আদেশের আনুগত্য। তবে আভিধানিক দিক থেকে ঈমান ও ইসলামে পার্থক্য রয়েছে।
ولكن لا يكون إيمان بلا إسلام ولا يوجد إسلام بلا إيمان ، وهما كالظهر مع البطن
বস্তুত: ঈমান কখনো ইসলাম ছাড়া হয় না এবং ইসলামও ঈমান ছাড়া পাওয়া যায় না। এ উভয়ের তুলনা যেন পিঠ ও পেট।
والدين اسم واقع على الإيمان والإسلام والشرائع كلها
(২৯) আর 'দীন' হল ঈমান, ইসলাম ও যাবতীয় শরীয়তের সমন্বিত নাম।
فعرف الله تعالى حق معرفته كما وصف الله نفسه في كتابه بجميع صفاته .
(৩০) যাবতীয় গুণাবলীসহ আল্লাহ্ তা'আলা যেভাবে নিজেকে স্বীয় কিতাবে বর্ণনা করেছেন আমরা তাঁকে ঠিক সেভাবেই জানি।
وليس يقدر أحد أن يعبد الله تعالى حق عبادته كما هو أهل له
আল্লাহ্ তা'আলা যেরূপ ইবাদতের অধিকারী কোন বান্দাই সেরূপ ইবাদত করার শক্তি রাখে না,
ولكنه يعبده بأمره كما أمر بكتابه وسنة رسوله
তবে যেভাবে ইবাদত করার জন্য আল্লাহ্ কিতাবে ও রাসূলের সুন্নাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেভাবেই তাঁর ইবাদত করে।
ويستوي المؤمنون كلهم في المعرفة واليقين والتوكل والمحبة والرضاء والخوف والرجاء والإيمان ويتفا وتون فيما دون الإيمان في ذلك كله
(৩১) মু'মিনরা সবাই জানায়, প্রত্যয়ে, ভরসায়, ভালবাসায়, সন্তুষ্টিতে, ভয়ে, আশায় এবং ঈমানে সমান। তবে ঈমান ছাড়া বাকি সবগুলোতে বিভিন্ন হয়ে থাকে।
٣٢ والله تعالى متفضل على عباده عادل قد يعطى من الثواب أضعاف ما يستوجبه العبد تفضلا منه .
(৩২) আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অনুগ্রহপরায়ণ ও ন্যায়বিচারক। তাই কখনো তিনি অনুগ্রহ করে তাঁর বান্দাকে তার প্রাপ্যের চেয়ে অধিক ছওয়াব প্রদান করে থাকেন।
وقد يعاقب على الذنب عدلا منه ، وقد يعفو فضلا منه .
আবার কখনো গুনাহের দরুণ ন্যায়বিচারের জন্য তাকে শাস্তি দেন। এবং কখনো দয়া পরবশে তাকে মাফ করে দেন।
٣٣ وشفاعة الأنبياء عليهم الصلاة والسلام حق ، وشفاعة نبينا عليه الصلاة والسلام للمؤمنين المذنبين
(৩৩) নবীদের (সা) শাফায়াত সত্য। এবং গুনাহগার মু'মিন বিশেষ করে
ولأهل الكبائر منهم المستوجبين العقاب حق ثابت
তাদের মাঝে যারা কবীরা গুনাহ করার জন্য শাস্তির হকদার হয়েছে, তাদের জন্য আমাদের নবী (সা)-এর শাফায়াত প্রতিষ্ঠিত সত্য।
٣٤. ووزن الأعمال بالميزان يوم القيامة حق
(৩৪) কিয়ামতের দিন মীযানে আমলের ওজন করা সত্য।
٣٥. وحوض النبي عليه الصلاة والسلام حق
৩৫. নবী (সা)-এর হাওযে কাওসারও সত্য।
٣٦. والقصاص فيما بين الخصوم بالحسنات يوم القيامة حق
৩৬. কিয়ামতের দিন বাদী-বিবাদীদের মধ্যে নেক আমলের বদলা ও ফয়সালা সত্য।
وإن لم تكن لهم الحسنات فطرح السيئات عليهم حق جائز .
তবে যদি নেক আমল না থাকে তাহলে তাদের ওপর বদ আমল চাপিয়ে দেওয়া সত্য ও সংগত।
والجنة والنار مخلوقتان اليوم لا تفنيان أبدا ، ولا تموت الحور العين أبدا
৩৭. বিহিশত ও দোযখ বর্তমানে সৃষ্ট, কখনো তা লয় হবে না। আয়তলোচনা বিহিশতের হুরকুল কখনো মরবে না।
ولا يفنى عقاب الله تعالى وتوابه سرمدا
আর কখনো বিলীন হবে না আল্লাহ্ তা'আলার শান্তি আর তাঁর প্রতিদান হচ্ছে চিরায়ত।
والله تعالى يهدي من يشاء فضلا منه ، ويضل من يشاء عدلا منه واضلاله خذلانه .
৩৮. যাকে ইচ্ছা আল্লাহ্ তা'আলা সঠিক পথে পরিচালনা করেন, এ তাঁর অনুগ্রহ। এবং যাকে চান বিপথগামী করেন, এ তাঁর ইনসাফ। বিপথগামী করার প্রকৃত অর্থ কাউকে পরিত্যাগ করা।
وتفسير الخذلان أن لا يوفق العبد إلى ما يرضاه منه، وهو عدل منه
আর পরিত্যাগ করার মর্মার্থ হল, যে কাজ করলে আল্লাহ তা'আলা সন্তুষ্ট হন বান্দাকে সে কাজ করার তওফীক না দেওয়া। এ হল তাঁর ইনসাফ।
وكذا عقوبة المخدول على المعصية
এভাবে পরিত্যক্ত ব্যক্তিকে গুনাহের দরুণ শাস্তি প্রদান করাও তাঁর ইনসাফ।
٣٩ ولا يجوز أن نقول : إن الشيطان يسلب الإيمان من العبد المؤمن قهرا وجبرا
৩৯. এ কথা বলা আমাদের জন্য বৈধ নয় যে, বল প্রয়োগ করে জোর-পূর্বক শয়তান বান্দার ঈমান ছিনিয়ে নেয়।
ولكن نقول: العبد يدع الإيمان، فحينئذ يسلبه منه الشيطان
বরং আমরা এ কথা বলতে পারি যে, বান্দা ঈমান পরিত্যাগ করে আর তখন শয়তান তা নিয়ে নেয়।
وسؤال منكر ونكير حق كائن في القبر، وإعادة الروح إلى جسد العبد في قبره حق
৪০. কবরে মুনকার ও নাকীরের প্রশ্ন প্রতিষ্ঠিত সত্য। কবরে বান্দার দেহের মধ্যে আত্মার প্রত্যাবর্তন সত্য।
وضغطة القبر وعذابه حق كائن للكفار كلهم ولبعض عصاة المؤمنين
সব কাফির ও কতক গুনাহগার মু'মিনের ওপর কবরের সংকোচন ও এর আযাব সত্য।
وكل شيء ذكره العلماء بالفارسية من صفات الله تعالى عز اسمه، فجائر القول به
৪১. মহিমান্বিত মহান আল্লাহ্ তা'আলার গুণাবলী সম্পর্কে পণ্ডিতরা ফারসী ভাষায় যেসব বর্ণনা দিয়েছেন তা বৈধ,
سوى اليد بالفارسية ، ويجوز أن يقال : بروى خداى عز و بلا تشبيه ولا كيفية
কেবল 'আল্লাহর হাত' এর ফারসী অনুবাদ ছাড়া। তুলনা ও উপমা ছাড়া একথাও বলা যাবে: 'মহান খোদার ওয়াস্তে'।
وليس قرب الله تعالى ولا بعده من طريق طول المسافة وقصرها
আল্লাহ্ তা'আলার নৈকট্য ও তাঁর দূরত্ব দীর্ঘত্ব বা হ্রাস্বত্ব পরিমাণের নিরিখে নয়।
ولكن على معنى الكرامة والهوان والمطيع قريب منه بلا كيف ، والعاصي بعيد عنه بلا كيف .
বরং তা হল মর্যাদা ও অমর্যাদার নিরিখে। অনুগত ব্যক্তি আল্লাহর নিকটবর্তী কোন বিশ্লেষণ ছাড়া। আর গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহ্ থেকে দূরে কোন বিশ্লেষণ ছাড়া।
والقرب والبعد والإقبال يقع على المناجي .
নৈকট্য, দূরত্ব ও অগ্রগামীতা বিনীত প্রার্থনাকারীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
وكذاك جواره في الجنة والوقوف بين يديه بلا كيفية
এভাবেই বিহিশতে আল্লাহর পাশে ও তাঁর সম্মুখে অবস্থান এসবই বিশ্লেষণ ছাড়া।
٤٢ والقرآن منزل على رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو في المصاحف مكتوب
৪২. আল-কুরআন রাসূল (সা)-এর ওপর নাযিল হয়েছে এবং মসহাফে লিপিবদ্ধ।
وآيات القرآن في معنى الكلام كلها مستوبة في الفضيلة والعظمة
কুরআনের আয়াতসমূহ আল্লাহর কালামের অর্থে মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্বে সমান।
إلا أن لبعضها فضيلة الذكر وفضيلة المذكور مثل آية الكرسي
তবে এর কতকের রয়েছে বর্ণনা ও বর্ণিতের মর্যাদা, যেমন আয়াতুল কুরছি।
-لأن المذكور فيها جلال الله تعالى وعظمته وصفاته، فاجتمعت فيها فضيلتان
কেননা এতে বর্ণিত হয়েছে আল্লাহ্ তা'আলার মহিমা, শ্রেষ্ঠত্ব ও গুণাবলী। সুতরাং এতে সন্নিবেশিত হয়েছে দুটো মর্যাদা-
فضيلة الذكر وفضيلة المذكور ، ولبعضها فضيلة الذكر فحسب مثل قصة الكفار وليس للمذكور فيها فضل وهم الكفار
বর্ণনার মর্যাদা এবং বর্ণিতের মর্যাদা। এবং কতক আয়াতে রয়েছে শুধু বর্ণনার মর্যাদা, যেমন কাফিরদের কাহিনী। এতে বর্ণিতের কোন মর্যাদা নেই, কারণ তারা হল কাফির।
٤٣. وكذلك الأسماء والصفات كلها
৪৩. অনুরূপ মহান আল্লাহর নামসমূহ ও গুণসমূহ
مستوية في العظمة والفضل لا تفاوت بينهما
সম্মানে ও মর্যাদায় সমান, কোন পার্থক্য নেই এতে।
وأبو طالب عمه صلى الله عليه وسلم وأبو علي رضي الله عنه مات كافرا
৪৪. আবু তালিব, রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর চাচা এবং আলী (রা)-এর পিতা কাফির অবস্থায় মারা যান।
٤٥. وقاسم وطاهر وإبراهيم كانوا بني رسول الله صلى الله عليه وسلم
৪৫. কাসিম তাহির ও ইবরাহীম রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর পুত্র।
وفاطمة ورقية وزينب وأم كلثوم كن جميعا بنات رسول الله صلى الله عليه وسلم ورضي عنهن
ফাতিমা, রুকাইয়া, যায়নাব ও উম্মু কুলসুম তাঁর কন্যা। আল্লাহ্ এদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন।
٤٦. وإذا أشكل على الإنسان شي من دقائق علم التوحيد
৪৬. যখনই কোন মানুষের মনে তওহীদের জ্ঞান সম্পন্ন কোন প্রশ্নের উদ্রেক হয় তখনই তার উচিত
فإنه ينبغي له أن يعتقد في الحال ما هو الصواب عند الله تعالى، إلا أن يجد عالماً فيسأله
তাৎক্ষণিকভাবে দৃঢ় প্রত্যয় স্থাপন করা যা আল্লাহর কাছে সত্য তার ওপর, যতক্ষণ না সে কোন বিজ্ঞ ব্যক্তির সন্ধান পায়, যার কাছে সে সত্য জেনে নিবে।
ولا يسعه تأخير الطلب ولا يعذر بالوقف فيه ، ويكفر إن وقف
এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করতে দেরী করার অবকাশ নেই। এ ব্যাপারে চুপ করে বসে থাকা কৈফিয়ত নয়। যদি চুপ করে বসে থাকে তাহলে সে কাফির হবে।
وخبر المعراج حق، ومن رده فهو مبتدع ضال
৪৭. মি'রাজের সংবাদ সত্য। যে এটা অস্বীকার করে সে তো বিদ'আতী ও বিপথগামী।
٤٨. وخروج الدجال ويأجوج ومأجوج وطلوع الشمس من مغربها ونزول عيسى عليه السلام من السماء
৪৮. দাজ্জালের আবির্ভাব ও ইয়াজুজ ও মাজুজের আগমন, পশ্চিমে সূর্যোদয়, আসমান থেকে ঈসা (আ)-এর অবতরণ
وسائر علامات يوم القيامة على ما وردت به الأخبار الصحيحة حق كائن
এবং কিয়ামতের অন্যান্য আলামত, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে তা সবই যথার্থ সত্য।
٤٩. والله تعالى يهدي من يشاء إلى صراط مستقيم
৪৯. আল্লাহ্ তা'আলা যাকে ইচ্ছা করেন সঠিক পথে পরিচালিত করেন।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫) ইমাম আবূ হানীফা (র) সম্পর্কিত তথ্যসূত্র | (০৭) ১. তওহীদ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |