আলহামদু লিল্লাহি রাব্বীল আলামীন!
হে আল্লাহ! হে রহমান, হে রহীম। আমরা এতক্ষণ তোমার হাবীবের শানে মিলাদ ও কিয়াম করেছি। সালাত ও সালাম পাঠ করেছি। আয়োজনকারী ও উপস্থিত সকলের পক্ষ হতে তুমি মেহেরবাণী করে এই পবিত্র মিলাদ মাহফিলকে কবুল ও মনজুর করে নাও। হে আল্লাহ! আমরা তোমার রহমতের ভিখারী। তুমি দাতা। ভিখারী ঘরের দরজায় এসে প্রথমে মালিকের প্রিয় সন্তানাদির জন্য দোয়া করে, পরে ভিক্ষা চায়। ভিখারীর প্রতি পিতা-মাতার স্নেহের উদ্রেক হয়। তারা ভিখারীকে খালী হাতে বিদায় দিতে পারে না। তদ্রূপ, তোমার শাহী দরবারে রহমতের ভিক্ষা চাওয়ার পূর্বে তোমার প্রিয় হাবীবের গুণগান করেছি। দরূদ ও সালাম আরজ করেছি। তুমি ওয়াদা করেছো তোমার হাবীবকে একবার সালাত ও সালাম জানালে তুমি তাঁর উপর দশবার রহমত নাজিল কর। হে মাওলা! আমরা তোমার হাবীবের উছিলায় তোমার রহমত চাই। তুমি আমাদেরকে রহমত থেকে বঞ্চিত করোনা মাওলা! হে আল্লাহ! আজকের মিলাদ শরীফের সওয়াব সর্বপ্রথম তোমার প্রিয় হাবীবের (দঃ) খেদমতে পৌঁছিয়ে দাও। তাঁর আহলে বাইত, আজওয়াজে মোতাহ্হারাত, সাহাবায়ে কেরাম, খোলাফায়ে রাশেদীন ও শহীদানে কারবালার রুহে পাকে মিলাদ শরীফের হাদিয়া পৌঁছিয়ে দাও। চার মজহাবের চার ইমাম, চার তরিকার চার ইমাম এবং তামাম বুজুর্গানে দ্বীন ও সলফে সালেহীনের রূহে পাকে এর সওয়াব বখশীষ করে দাও। আমাদের পিতা-মাতা, ওস্তাদ, পীর-মুর্শেদ, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ময়-মুরুব্বী ও আত্মীয়-স্বজনদের রূহে পাকে এই মিলাদ শরীফের সওয়াব পৌঁছিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমি মেহেরবানী করে আমাদের গুনাহ্ খাতা মাফ করে নেক কাজ করার তৌফিক দাও। রুজী রোজগারে বরকত দাও। বালা মুসিবত দূর করে দাও। খাতেমা বিল খায়ের নসিব কর। মউতের সময় নবী করিম (দঃ)-এর জামালে মোবারক দেখাইও। হাশরের দিনে তাঁর শাফায়াত আমাদের সকলকে নসিব করিও।
ওয়া সাল্লাল্লাহু তালা খাইরি খাকিহি ওয়া নূরে জাতিহী সাইয়েদিনা মোহাম্মাদিও ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাঈন। আমীন! বিহকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (দঃ)।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(৩১) উর্দু মিলাদ শরীফ পাঠ দরূদঃ বসে বসে (চট্টগ্রাম পদ্ধতি) | (৩৩) নবীজীর দরবারে ফরিয়াদ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |