মােট কথা, মুখতার সাকাফী কারবালার শহীদদের পবিত্র রক্তের যথাযথ বদলা নিয়ে গেছে প্রায় ষাট হাজার ইয়াজিদ সমর্থক কুফাবাসীদেরকে হত্যা করেছিল। কারাে প্রতি কোন প্রকার সহানুভূতি দেখায়নি। এমন কি এক বর্ণনা মতে সীমার ছিল তার ভগ্নিপতি এবং সীমারের ছেলে ছিল তার ভাগিনা। সে এক সাথে ওদের দুজনকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। ভাগিনা যখন আপত্তি করে বলেছিল,আমার কি অপরাধ? আমি তো কারবালার যুদ্ধে শরীক হইনি, তখন মুখতার সাকাফী বলেছিল, তা ঠিক কিন্তু তুমি গর্ব করে বলে বেড়াতে আমার পিতা হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) কে হত্যা করেছে।
মুখতার সাকাফী হযরত ইমাম হুসাইন (রাঃ) এর হত্যাকারীদের ব্যাপারে যথাযথ প্রতিশোধ নিয়ে অতি প্রশংসনীয় কাজ আঞ্জাম দিয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, শেষকালে সে নিজেকে নবী বলে দাবী করে মুরতাদ হয়ে গেল। নতুবা, সে মুসলিম জাহানে এক অনন্য বীর পুরুষ হিসেবে চির স্মরনীয় হয়ে থাকতাে। অন্যান্য মুসলিম বীর পুরুষদের নামের সাথে ওর নামও স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকত। হযরত আবদুল্লাহ বিন জোবাইর যখন ওর নবুয়ত দাবীর খবর পেলেন, তখন তিনি এক বিরাট সৈন্য বাহিনী প্রেরণ করেন এবং ওকে পরাভূত করে সাতষট্টি হিজরীর রমজান মাসে এ ফিতনার অবসান ঘটান।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(৪৬) নরাধম ইবনে জিয়াদের পরিণতি | |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |