অনেক মাসজিদে দেখা যায় আযানের আগে ও আযানের পরে দরুদ পাঠ করা হয়।- এ ব্যপারে কিছু আলেমরা বাঁধাও দিয়ে থাকেন। তবে এ বিষয়ে বহু ওলামায়ে কেরাম গণ বলছেন যে – যেহেতু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা দরুদ পাঠের বিষয়টি মুতলাক রেখেছেন। তাতে কোন সময়,স্থান ও ইত্যাদির শর্ত জুড়ে দেননি, সুতরাং কেউ যদি দরুদ শরীফ আযানের আগে পাঠ করে বা আযানের পরে পাঠ করে, সকালে পড়ে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে, রাতে পড়ে কিংবা দিনে পড়ে তাতে শরীয়তের পক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আযানের আগে দরুদ পাঠ করার নিয়ম পূর্বযুগে এত বেশি চালু ছিল না। তবে এ ব্যপারে যেহেতু নিষেধাজ্ঞাও কুরআন সুন্নাহ তে নেই, অতএব এটা জায়েজ। তবে এটাকে ফরয অথবা ওয়াজিবও মনে করা ঠিক নয়। বরং মুস্তাহাব কাজ কেউ যদি আযানের আগে দরুদ ও সালাম পড়ে নেকীর অধিকারী হবে আর না পড়লে গুনাহগার হবে না। আযান দেয়ার কিছুক্ষণ আগে ৩/৪ মিনিট আগে দরুদ পড়লে ভালো যাতে কেউ দরুদ ও ছালামকে আযানের অংশ না ভেবে নেই ।
অতএব আমাদের মনে রাখতে হবে কেউ যদি আযানের আগে দরুদ ছালাম পড়ে তাকে নিষেধ করা যাবে না। অনেকে বলতে চাইছেন আযানের আগে ও পরে দরুদ পাঠ করলে সেটি আযানের অংশ হয়ে যায় তাদের কাছে আমাদের প্রশ্ন আপনারা যে কুরআন মাজিদ তিলাওয়াতের পর “সদাকাল্লাহুল আজিম” পড়েন এটা আপনাদের দলিল মতে কোরানের আয়াতের বৃদ্ধি নয় ? যদি তা না হয় তাহলে আযানের আগে ও পরে দরুদ পড়লে তা আযানের শব্দ কিভাবে বৃদ্ধি করল !!
আযানের পরে দরুদ পাঠের ব্যাপারে কিছু হাদীস ও রয়েছে, যেমন – হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম) বলেছেন
হে মুসলমানেরা যখন তোমরা আযান শুনতে পাও তখন তার অনুরূপ শব্দ তোমরাও বলবে। অতঃপর যখন আযান শেষ হবে আমার উপর দরুদ পাঠ করবে। কেননা যে আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে তাকে আল্লাহ ১০টি নেকী বা প্রতিদান দান করবেন।
মুসলিম, মেশকাত
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৬৩) শুধু কি একটি দরুদ শরীফ পড়তে হবে? | (০৬৫) যে সময় দরুদ পড়া যাবেনা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |