মিরাঠের বাসিন্দা গোলাম সরওয়ারের পুত্র হাজী মোহাম্মদ মমতাজ আলী খান সাহেব যারা সেই যুগে খান্দানী বংশ হিসাবে বিখ্যাত ছিলেন। একদা তিনি হারনীয়া রোগে আক্রান্ত হন । যার কারণে তিনি প্রচণ্ড কষ্ট পেতেন। বহু ডাক্তার দেখিয়ে কোন লাভ হয়নি। সেই সময় ভরতপুরে মিঞা বেদারশাহ নামে একজন দরবেশ থাকতেন । তিনি তাকে বললেন তুমি - পাক ও পবিত্র শরীর ও খানা এমনকি রন্ধনকারীও যেন পাক হয় তার ব্যবস্থা কর এবং প্রত্যহ পাঁচ হাজার বার করে দরুদ শরীফ পাঠ কর । এইভাবে তিনি শুরু করে দিলেন। দেওয়ার ৪০ দিন পার হতে পারল না একদিন খান সাহেব স্বপ্নে দয়ার নবী আলাইহিস সালামের যিয়ারত লাভ করলেন এবং ঈশার নামাজ তিনি নবী পাকের সাথে পাঠ করলেন এবং সকাল হতে দরবেশ সাহেব বললেন তোমার ইচ্ছা পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তারপর তিনি ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেলেন এবং আর কখনও ওই রোগ হয়নি। দরুদ শরীফটি হল –
আল্লা হুম্মা সাল্লে আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলে মুহাম্মাদিন বেদিদে কুল্লে শাইয়িন্ মালুমিন লাক।
( উমরা, সিরাতুন নবী)
হজরত মাওলানা শামসুদ্দিন কেশী ( রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর জমানায় প্রচণ্ডভাবে কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তিনি দয়ার নবী পাক কে স্বপ্নে দেখে আরজ করলেন ইয়া রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে এমন কোন দোওয়া শিখিয়ে দিন যার বরকতে আমি এই কলেরা হতে নিজে রক্ষা লাভ করতে পারি। দয়ার নবী আলাইহিস সালাম বললেন আমার উপরে যে কেউ এই দরুদটি পাঠ করবে সে মহামারি কলেরা হতে নাজাত পাবে। দরুদ শরীফটি হল –
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদিন বি আদাদে কুল্লে দায়িন ও দাওয়ায়ীন।
( সালাতে নাসেরী, সিরাতুন নবী)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৫৩) কাসিদা বুরদা শরীফ সংক্ষিপ্ত | (০৫৫) নবী পাক (সঃ) কে স্বপ্নে দেখার ঘটনা |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |