হযরত আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ বিন আহমদ মালিকী কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাই হতে বর্ণিত, হযরত হাসান বাসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহির খিদমতে একজন মহিলা আরজ করল আমার যুবতী কন্যা মারা গেছে। কোন পদ্ধতি বলুন যাতে আমি তাকে স্বপ্নে দেখতে পায়। উনি আমল (এশার নামাজ পড়ে চার রাকাত নফল নামাজ পড়বে এবং প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহা র পর সূরা আল হাকু মুত্তাকাসুর পড়বে, তারপর ঘুম না আসা পর্যন্ত দরুদ শরীফ পড়তে থাকবে ) দিলেন মহিলাটি আমলটি করল এবং স্বপ্নে তার কন্যাকে আগুনের পোশাক পরিহিত ও গার্দানে ও পায়ে আগুনের জিঞ্জির দেখে মহিলাটি কেঁপে উঠল। দ্বিতীয় দিন সে খাজা হাসান বসরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে পুরো ঘটনা শোনাল। তাতে তিনি দুঃখিত হলেন কিছুদিন পর হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বপ্নে এক কন্যাকে দেখলেন জান্নাতে একটি তক্তের উপর এবং তার মাথায় নূরের তাজ ছিল। সে বলল আমি ওই মহিলা যার জন্য আমার মা আপনাকে আমার অবস্থার কথা বলেছিল।উনি বললেন ওর কথা মত তো তুই দোযখে ছিলি কিভাবে এত পরিবর্তন হলো। মেয়েটি বলল আমাদের কবরস্থান এর পাশ দিয়ে এক নেক ব্যক্তি যাচ্ছিলো আর তখন মুস্তাফা জানে রাহমত সাঃ এর উপর দরুদ পড়েছিল। ওর দরুদ পড়ার বরকতে আল্লাহ আযযাওয়া জাল্লাহ ৫৬০ টির কবরবাসীর আজাব উঠিয়ে নিয়েছেন।
(গুলদাস্তায়ে দরুদ ও সালাম,ফাযায়েলে দরুদ, কওলুল বাদী)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০৪৫) দরুদ ও সালাম এবং হায়াতে মুস্তাফা | (০৪৭) দরুদ ও লাশ সংরক্ষণ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |