একটা মানুষের জীবনে অনেক ব্যক্তির এহসান বা উপকারিতা থাকে। আমাদের জীবনেও আমাদের মাতা পিতা, উস্তাদ এঁদের সকলেরই সান রয়েছে।কিন্তু সব চাইতে বেশি এহসান যদি কারোর রয়েছে তিনি হলেন মুহাম্মাদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যারাই আমাদের কে ভালোবেসেছেন বা কোনোরকম এহসান করেছেন তাঁরা তা করেছেন আমাদের দুনিয়ায় আসার পরে কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের উপর এহসান করেছেন দুনিয়ায় আসার আগে। আমাদের জন্য কেঁদেছেন দুনিয়ায় আসার আগে। এবং কিয়ামতের কঠিন দিনে তিনিই আমাদের চোখের পানির উপর দয়া করবেন এবং শাফায়াত করবেন।যদি কারোর উপকার করে তবে তার উপকারের বদলা দেওয়া উচিত যদি বদলা দেওয়া সম্ভব না হয়, তবে কমপক্ষে তার জন্য দোয়া করে দেওয়া উচিত। উম্মত হিসাবে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এহসান এর বদলা দেওয়া আমাদের উচিত আর আকা আলাইহিস সালাম এর চেয়ে বড় দাতা, বড় দরদী আর কেউ নেই। কাজেই তাঁর এহসানির বদলা তাঁর তাবেদারী করা,তাঁর নিসবাতের বস্তু সমূহ কে মুহাব্বাত করা এবং দরুদ ও সালাম পাঠের মাধ্যমে কিছুটা হলেও আদা করা যায়। কিন্তু আমরা এর বদলা দিতে অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে দুরুদ পাঠেও সক্ষম নই।তাইতো মওলায়ে কারিম রব্বুল আলামীনের দরবারে দরখাস্ত করছি, হে দয়াময় আমাদের প্রিয় আকা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শান ও আজমাত অনুযায়ী আপনিই বদলা দিয়ে দিন। যেমন টি আমরা বলে থাকি আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদ ৷
তাছাড়া দুরুদ শরীফ এমন একটি জিনিস যেটির মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছেও খুব সহজেই আমাদের চাওয়া পাওয়া চাইতে পারি।আমরা দুনিয়ার বুকে দেখেছি কোন ভিখারি যখন কোন দরজায় যখন ভিক্ষা করার জন্য যায়, তখন ঘরের মালিক এর সম্পদ সন্তান সন্ততি ইত্যাদির জন্য দোয়া করে থাকে।আর যখন এসব দোয়া বাড়ির মালিক শুনতে পান তখন তিনি দেখেন যে সে তার ছেলেমেয়েদের কল্যাণ কামনা করছে অতএব তিনি খুশি হয়ে কিছু না কিছু ভিখারী কে দিয়ে দেন। আমরা জানি মহান আল্লাহ পাক সন্তান-সন্ততি থেকে পবিত্র কিন্তু তার ও একজন প্রিয় হাবিব রয়েছেন । তিনি হলেন, মুহাম্মদ মুস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাই মহান আল্লাহ পাকের বন্ধু ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর দরুদ পড়লে আল্লাহ পাক খুশি হয়ে দুনিয়া ও আখিরাতের নেয়ামত সমুহ আতা করেন।
খুদা কা হুকুম সামাঝকার দারুদ পাড়হতে হে
গুলামে সাকিয়ে কাওসার দারুদ পাড়হতে হে।।
আসাদ বো ঘির নেহি সাকতে কাভি মুসিবত মে
যো সিদক দিল সে নাবী পার দারুদ পাড় হতে হে৷৷
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০০২) সালাতের অর্থ যা হুজুরের উপর পড়া হয় | (০০৪) দরুদ শরীফ কীভাবে পড়ব |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |