إِنَّ ٱللَّهَ وَمَلَـٰٓئِكَتَهُۥ يُصَلُّونَ عَلَى ٱلنَّبِىِّ ۚ يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ صَلُّوا۟ عَلَيْهِ وَسَلِّمُوا۟ تَسْلِيمًا
উচ্চারণ- ইন্নাল্লাহা ওয়া মালাইকাতাহু ইউসাল্লুনা আলান নাবীয়্যি ইয়া আইয়ুহাল্লাযীনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া সাল্লিমু তাসলিমা ।
অনুবাদঃ নিশ্চয় আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লাহ ও তাঁর ফারিস্তাগণ দুরুদ প্রেরণ করেন ঐঅদৃশ্যবক্তা ( নবী ) র প্রতি, হে ঈমানদারগণ ! তাঁর প্রতি দুরুদ ও খুব সালাম প্রেরণ করো ৷
( সুরা -আহযাব, পারা - ২২, সুরা নং –৩৩)
পবিত্র কুরআনের মধ্যে ঈমান, নামায, রোযা, হজ্ব, ইত্যাদি বহু বিষয়ে হকুম প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু কোন বিষয়ে এমনি করে বলা হয়নি যে, এ কাজ আমি করি এবং আমার ফ্যারিশ্তারাও করে, অতএব হে মুসলমানরা তোমরাও কর । শুধুমাত্র দরুদ শরীফের হুকুম দিতে গিয়েই এমনটি বলা হয়েছে । এর কারণ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কেননা এমন কোন কাজ নেই, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ও করবেন আর বান্দা ও করবে । আল্লাহ পাকের যে কাজ, তা আমরা কখনও করতে পারি না । তেমনই আমাদের কাজ গুলো হতে জাতে ইলাহী পবিত্র এবং অনেক উর্ধ্বে । যেমন সৃষ্টি করা, রিযক দান, মৃত্যু দেওয়া এবং পুনরুজ্জীবিত করা ইত্যাদি আল্লাহ পাকের শান,আমরা এগুলো কখনো করতে পারিনা । তেমন আমাদের কাজ হচ্ছে ইবাদত, আনুগত্য ইত্যাদি করা। মহান স্রষ্টা কিন্তু এগুলো হতে পবিত্র। তবে যদি এমন কোন কাজ থাকে, যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লা ও করেন, ফ্যারিশ্তারাও করে এবং মুসলমানদেরকেও করার হুকুম প্রদান করা হয়েছে, তা হচ্ছে একমাত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলা আলিহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরুদ শরীফ প্রেরণ করা । যেমনিভাবে চাঁদের উপর সবার দৃষ্টি থাকে, ঠিক তেমনিভাবে মদীনার চাঁদের উপরও গোটা সৃষ্টির এমনকি মহান স্রষ্টারও দৃষ্টি আরোপিত।
(শানে হাবীবুর রহমান)
হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপরে দুরুদ শরীফ পাঠ করা হল সমস্ত ইবাদাতের চেয়ে উত্তম। কারণ এটি সুন্নাতে ইলাহি। কেন না স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপরে দুরুদ শরীফ প্রেরণ করেন।
(তাফসীরে রুহুল বায়ান)
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০০২) সালাতের অর্থ যা হুজুরের উপর পড়া হয় | |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |