প্রত্যেক নবী নিজ নিজ যুগে আমাদের প্রিয়নবী ও আল্লাহর প্রিয় হাবিবের আবির্ভাবের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন । হযরত আদম (আ) তাঁর প্রিয় পুত্র ও প্রতিনিধি হযরত শীস (আ) কে নুরে মুহাম্মদীর তাজিম করার জন্য নিম্ন অসিয়ত করে গেছেন ।
আনুবাদ অংশ টি নিম্নে বর্ননা করা হলো
আদম (আ) আপন পুত্র হযরত শীস (আ) কে লক্ষ্য করে বল্লেন : হে প্রিয় বৎস। আমার পরে তুমি আমার খলিফা । সুতরাং এই খেলাফত কে তাকওয়ার তাজ ও দৃঢ় একিনের দ্বারা মজবুত করে ধরে রেখো । আর যখনই আল্লাহর নাম ঝিকির (উল্লেখ) করবে তাঁর সাথেই মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নামও উল্লেখ করবে । তাঁর কারন এই : আমি রূহ ও মাটির মধ্যবর্তী থাকা অবস্থায় ই তাঁর পবিত্র নাম আরশের পায়ায় (আল্লাহর নামের সাথে ) লিখিত দেখেছি । এরপর আমি সমস্ত আকাশ ভ্রমন করেছি । আকাশের এমন কোন স্থান ছিলনা যেখানে মুহাম্মাদ(দ) -এর নাম অন্কিত পাই নি । আমার রব আমাকে বেহেস্তে বসবাস করতে দিলেন । বেহেস্তের এমন কোন প্রাসাদ ও কামরা পাইনাই যেখানে মুহাম্মদ (দ) -এর নাম ছিলনা । আমি মুহাম্মদ ( দ) -এর নাম আরোও লিখিত দেখেছি সমস্ত হয়রদের স্কন্ধ দেশে , বেহেস্তের সমস্ত বৃক্ষের পাতায় , বিষেশ করে তুলা বৃক্ষের পাতায় পাতায় , পর্দার কিনারায় এবং ফেরেসতাগনের চোখের মনিতে ঐ নাম অন্কিত দেখেছি । সুতরাং হে শীস ! তুমি এই নাম বেশী বেশী করে জপতে থাক । কেননা , ফেরেস্তাগন পুর্ব হতেই এই নাম জপনে মশগুল ররয়েছেন
— জুরকানি শরীফ
উল্লেখ্য যে সর্ব প্রথম দুনিয়াতে ইহাই ছিল জিকরে মিলাদুন্নবী ( দঃ ) ।
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০২) সর্বপ্রথম মিলাদ ও কেয়াম কে করেছিলেন ? | (০৪) হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর মিলাদ পাঠ ও কেয়াম |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |