জাবির ইব্ন সামুরাহ রেওয়ায়েত করেন-
আমি তাঁর (রাসূল সা-এর) উভয় কাঁধের মাঝখানে কবুতরের ডিমের মতো মোহরে নবুওয়াত দেখেছি।
— মুসলিম ও বায়হাকী
হযরত সায়ীদ ইব্ন ইয়াজিদ রেওয়ায়েত করেন-
আমি রাসূল (সা)-এর পিছনে দাঁড়ালাম এবং তাঁর কাঁধের মাঝ বরাবর চকোরীর ডিমের ন্যায় মোহরে নবুওয়াত দেখতে পেলাম।
— বুখারী ও মুসলিম
হযরত আবূ সায়ীদ খুদরী (রা) বর্ণনা করেন-
উভয় কাঁধের মাঝখানে মোহরে নবুওয়াত একটি উচুঁ গোশতের মতো ছিল।
— বায়হাকী
হযরত সালমান ফারসী (রা) বর্ণনা করেন-
আমি রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর খিদমতে গেলাম। তিনি তখন তাঁর গায়ের চাদর সরিয়ে বললেনঃ "যে আদেশে আমি আদিষ্ট হয়েছি তা দেখ ।”
আমি তাঁর উভয় কাঁধের মাঝ বরাবর কবুতরের ডিমের আকারে মোহরে নবুওয়াত দেখলাম।
— বায়হাকী
হযরত আলী (রা) বর্ণনা করেনঃ
রাসূল (সা)-এর বৈশিষ্ট ছিল যে তাঁর (দুই) কাঁধের মাঝখানে মোহরে নবুওয়াত অস্কিত ছিল।
— তিরমিযী ও বায়হাকী
হযরত ইব্ন আসাকির জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে,
রাসূল (সা) নিজের সওয়ারীর উপর তাঁর পিছন দিকে আমাকে উঠিয়ে নিলেন। আমি সুযোগ পেয়ে আমার মুখমন্ডল মোহরে নবুওয়াতের উপর ঝুঁকিয়ে দিলাম। সেখান থেকে আমি মেশকের সুঘ্রাণ পাচ্ছিলাম।
হযরত আবূ নামীয় বর্ণনা করেন যে, হযরত সালমান ফারসী রেওয়ায়েত করেন-
মোহরে নবুওয়াতের ভিতর দিকে লেখা ছিল-
আল্লাহু ওয়াহ্দাহু লা শারিকা লাহু ওয়া মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ
এবং বাইরের দিকে লেখা ছিল -
তাওয়াজ্জাহ হাইছু মা শিতা ফা ইন্নাকা মানসুর
অর্থাৎ যেদিক ইচ্ছা তুমি মুখ ফেরাও (কোন পরওয়া নেই) কারণ তুমি সাহায্যপাপ্ত (আল্লাহ্ কতৃর্ক)
— খাসায়েসুল কোবরা
পূর্ববর্তী পেইজ | পরবর্তী পেইজ |
(০১৫) আট বছর বয়সে সিরিয়ার আবূ তালিবের সাথে | (০১৭) মেঘের ছায়া প্রদান ও নবুওয়াতের লক্ষণ প্রকাশ |
সূচীপত্র | এরকম আরো পেইজ |